ঢাকা , সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভিয়েতনামের বাণিজ্য উদ্বৃত্ত বেড়েছে, শঙ্কা ট্রাম্পের শুল্ক নীতি

  • পোস্ট হয়েছে : ০২:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৪
  • 57

বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের প্রধান লক্ষ্য হলো আমদানির ক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশের ওপর নতুন করে শুল্ক আরোপ করা। এরই মধ্যে এ বিষয়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন ট্রাম্প। তবে তার এই নীতির ফলে অনেক দেশই বিপাকে পড়তে যাচ্ছে।

এ সব দেশের মধ্যে রয়েছে ভিয়েতনামও। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দেশটির বাণিজ্য উদ্বৃত্ত বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে।

কমিউনিস্ট শাসিত দেশটিতে অ্যাপলসহ অনেক বহুজাতিক কোম্পানি রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য উদ্বৃত্তের ক্ষেত্রে ভিয়েতনামের অবস্থান চতুর্থ। দেশটির আগে রয়েছে চীন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও মেক্সিকো।

মার্কিন বাণিজ্য পরিসংখ্যানের প্রকাশিত তথ্যে দেখা গেছে, চলতি বছরের প্রথম দশ মাসে ভিয়েতনামের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতি ১০২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে, যা ২০২৩ সালের একই সময়ের চেয়ে প্রায় ২০ শতাংশ বেশি। এশিয়াভিত্তিক হিনরিক ফাউন্ডেশনের বাণিজ্য নীতির প্রধান ডেবোরা এলমস বলেছেন, ট্রাম্পের প্রধান লক্ষ্য হলো বাণিজ্য ঘাটতি কমানো।

তিনি বলেন, ভিয়েতনামের ক্ষেত্রে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। কারণ দেশটি সহজে প্রতিশোধমূলক কোনো পদক্ষেপ নিতে পারবে না। ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে ক্ষমতাগ্রহণ করবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরই মধ্যে তিনি বলেছেন, সব ধরনের আমদানির ক্ষেত্রে তিনি ২০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করবেন।

ভিয়েতনামের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্ভাব্য শুল্ক সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। তবে দেশটির কর্মকর্তরা বারবার ওয়াশিংটনকে নিরবচ্ছিন্ন বাণিজ্য ব্যবস্থা বজায় রাখার আহ্বান জানিয়ে আসছে।

সূত্র: রয়টার্স

বিজনেস আওয়ার/ ০৭ ডিসেম্বর / হাসান

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

ভিয়েতনামের বাণিজ্য উদ্বৃত্ত বেড়েছে, শঙ্কা ট্রাম্পের শুল্ক নীতি

পোস্ট হয়েছে : ০২:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৪

বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের প্রধান লক্ষ্য হলো আমদানির ক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশের ওপর নতুন করে শুল্ক আরোপ করা। এরই মধ্যে এ বিষয়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন ট্রাম্প। তবে তার এই নীতির ফলে অনেক দেশই বিপাকে পড়তে যাচ্ছে।

এ সব দেশের মধ্যে রয়েছে ভিয়েতনামও। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দেশটির বাণিজ্য উদ্বৃত্ত বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে।

কমিউনিস্ট শাসিত দেশটিতে অ্যাপলসহ অনেক বহুজাতিক কোম্পানি রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য উদ্বৃত্তের ক্ষেত্রে ভিয়েতনামের অবস্থান চতুর্থ। দেশটির আগে রয়েছে চীন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও মেক্সিকো।

মার্কিন বাণিজ্য পরিসংখ্যানের প্রকাশিত তথ্যে দেখা গেছে, চলতি বছরের প্রথম দশ মাসে ভিয়েতনামের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতি ১০২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে, যা ২০২৩ সালের একই সময়ের চেয়ে প্রায় ২০ শতাংশ বেশি। এশিয়াভিত্তিক হিনরিক ফাউন্ডেশনের বাণিজ্য নীতির প্রধান ডেবোরা এলমস বলেছেন, ট্রাম্পের প্রধান লক্ষ্য হলো বাণিজ্য ঘাটতি কমানো।

তিনি বলেন, ভিয়েতনামের ক্ষেত্রে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। কারণ দেশটি সহজে প্রতিশোধমূলক কোনো পদক্ষেপ নিতে পারবে না। ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে ক্ষমতাগ্রহণ করবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরই মধ্যে তিনি বলেছেন, সব ধরনের আমদানির ক্ষেত্রে তিনি ২০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করবেন।

ভিয়েতনামের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্ভাব্য শুল্ক সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। তবে দেশটির কর্মকর্তরা বারবার ওয়াশিংটনকে নিরবচ্ছিন্ন বাণিজ্য ব্যবস্থা বজায় রাখার আহ্বান জানিয়ে আসছে।

সূত্র: রয়টার্স

বিজনেস আওয়ার/ ০৭ ডিসেম্বর / হাসান

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: