ঢাকা , সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫, ৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়ি দেখে অবাক হয়েছিলেন জাহিদ মালেক

  • পোস্ট হয়েছে : ১১ মিনিট আগে
  • 1

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: সাটুরিয়া উপজেলার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আফাজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে ওঠা নানা অভিযোগ চমকপ্রদ। সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক একদিন আফাজ উদ্দিনের বাড়ি দেখে অবাক হয়ে যান এবং আফাজ উদ্দিনের বিপুল সম্পদের উৎস সম্পর্কে প্রশ্ন তোলেন।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, আফাজ উদ্দিন সরকারি প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ, চাঁদাবাজি এবং অবৈধ জমি দখলের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা কামিয়েছেন। তিনি সাটুরিয়া উপজেলার ফুকুরহাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান থাকার সময় নিজের রাজনৈতিক প্রভাব ব্যবহার করে সিএনজি স্ট্যান্ড থেকে মাসোহারা আদায়, সরকারি জমিতে দোকান নির্মাণ, এবং অডিট আপত্তি উড়িয়ে লাখ লাখ টাকার আর্থিক অনিয়ম করেছেন। এমনকি তিনি ২১ লাখ টাকা সরকারের জমা দেয়ার পরিবর্তে নিজের নামে জমা করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

তবে, আফাজ উদ্দিন এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি কোনো সিএনজি স্ট্যান্ড থেকে টাকা নেননি এবং তার বাড়ি ও ব্যবসা নিজস্ব টাকা দিয়ে করেছেন। এর মধ্যে ২০২০-২১ অর্থবছরের অডিট আপত্তিতে তার বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে, যার কারণে ইউনিয়নের সব প্রকল্প বন্ধ হয়ে যায়।

এদিকে, স্থানীয় একজন আওয়ামী লীগ নেতা জানান যে, আফাজ উদ্দিন দীর্ঘ ১৫ বছর ইউপি চেয়ারম্যান থাকার পরও কোনো প্রকল্প বাস্তবায়ন করেননি, বরং নিজের সম্পদ বাড়িয়েছেন। আফাজ উদ্দিনের এই দুর্নীতির ঘটনা স্থানীয় জনগণের মধ্যে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করেছে, এবং তার বিরুদ্ধে আরও তদন্তের দাবি উঠেছে।

বিজনেস আওয়ার/ ২০ জানুয়ারি / কাউছার

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়ি দেখে অবাক হয়েছিলেন জাহিদ মালেক

পোস্ট হয়েছে : ১১ মিনিট আগে

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: সাটুরিয়া উপজেলার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আফাজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে ওঠা নানা অভিযোগ চমকপ্রদ। সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক একদিন আফাজ উদ্দিনের বাড়ি দেখে অবাক হয়ে যান এবং আফাজ উদ্দিনের বিপুল সম্পদের উৎস সম্পর্কে প্রশ্ন তোলেন।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, আফাজ উদ্দিন সরকারি প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ, চাঁদাবাজি এবং অবৈধ জমি দখলের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা কামিয়েছেন। তিনি সাটুরিয়া উপজেলার ফুকুরহাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান থাকার সময় নিজের রাজনৈতিক প্রভাব ব্যবহার করে সিএনজি স্ট্যান্ড থেকে মাসোহারা আদায়, সরকারি জমিতে দোকান নির্মাণ, এবং অডিট আপত্তি উড়িয়ে লাখ লাখ টাকার আর্থিক অনিয়ম করেছেন। এমনকি তিনি ২১ লাখ টাকা সরকারের জমা দেয়ার পরিবর্তে নিজের নামে জমা করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

তবে, আফাজ উদ্দিন এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি কোনো সিএনজি স্ট্যান্ড থেকে টাকা নেননি এবং তার বাড়ি ও ব্যবসা নিজস্ব টাকা দিয়ে করেছেন। এর মধ্যে ২০২০-২১ অর্থবছরের অডিট আপত্তিতে তার বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে, যার কারণে ইউনিয়নের সব প্রকল্প বন্ধ হয়ে যায়।

এদিকে, স্থানীয় একজন আওয়ামী লীগ নেতা জানান যে, আফাজ উদ্দিন দীর্ঘ ১৫ বছর ইউপি চেয়ারম্যান থাকার পরও কোনো প্রকল্প বাস্তবায়ন করেননি, বরং নিজের সম্পদ বাড়িয়েছেন। আফাজ উদ্দিনের এই দুর্নীতির ঘটনা স্থানীয় জনগণের মধ্যে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করেছে, এবং তার বিরুদ্ধে আরও তদন্তের দাবি উঠেছে।

বিজনেস আওয়ার/ ২০ জানুয়ারি / কাউছার

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: