ঢাকা , বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কোচ বার্সা এমন প্রত্যাবর্তন আগে দেখেনি

  • পোস্ট হয়েছে : ১২ মিনিট আগে
  • 2

স্পোর্টস ডেস্ক: ৯ গোলের ম্যাচে জয় নির্ধারিত হয়েছে যোগ করা সময়ে। পেনাল্টি, আত্মঘাতি গোল, লাল কার্ডের মহানাটকীয় ম্যাচটি বার্সেলোনা জিতেছে ৫–৪ ব্যবধানে। অথচ ম্যাচের শুরুর চিত্র ছিল ভিন্ন। শুরুর ৩০ মিনিটে ভাঙ্গেলিস পাভলিদিসের হ্যাটট্রিকে ৩–১ গোলে এগিয়ে গিয়েছিল বেনফিকাই। একসময় মনে হচ্ছিল বার্সেলোনার বিপক্ষে স্মরণীয় এক জয়ই পেতে যাচ্ছে পর্তুগিজ ক্লাবটি।

কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে রূপকথার গল্প লিখে ঘুরে দাঁড়ায় বার্সেলোনা। ৬৪ মিনিটে রাফিনিয়া ৩-২ করার মিনিট চারেক পর আত্নঘাতী গোলে আবারও পিছিয়ে পড়ে বার্সা। এর পরই মূলত ঘুরে দাঁড়ায় কাতালানরা।

৭৮ মিনিটে লামিনে ইয়ামালের আদায় করা পেনাল্টি থেকে গোল করে বার্সাকে ম্যাচে ফেরান লেভানদোস্কি। ৮৬তম মিনিটে এরিক গার্সিয়া সমতা টানার পর রাফিনিয়ার শেষের জাদু-বেনফিকা ৪–৫ বার্সেলোনা।

জয়সূচক গোল করে ম্যাচ শেষে রাফিনহা মুভিস্টারকে বলেন, ‘আমরা জানতাম এটি একটি কঠিন ম্যাচ হবে। আমি জানি তাদের মাঠে বেনফিকার বিরুদ্ধে খেলাটা কতটা কঠিন।

তাদের খেলোয়াড়রা অত্যন্ত উচ্চমানের। তবে আমরা ৩-১ গোলে পিছিয়ে পড়ার পরও হাল ছাড়িনি। এটি একটি দুর্দান্ত ম্যাচ ছিল। এখানে যেকোনো দলই জিততে পারত।’ম্যাচ জয়ের পর বার্সেলোনার কোচ ফ্লিক বলেছেন, ‘পাগলাটে ম্যাচ ছিল।

সবচেয়ে পজিটিভ দিক ছিল আমাদের মানসিকতা। আমরা ফিরে এসেছি এবং এটা দারুণ। ফুটবল এমনই, এবং এজন্যই আমরা এটি ভালোবাসি ‘আমি মনে করি না আমি কখনো এমন একটি প্রত্যাবর্তন দেখেছি। এটি অবিশ্বাস্য।’—যোগ করেন ফ্লিক।

চ্যাম্পিয়নস লিগ ইতিহাসে এ নিয়ে মাত্র দ্বিতীয়বার কোনো দল ৪ গোল খেয়েও ম্যাচ জিতল। প্রথমবার এমনটা হয়েছিল ২০১৬ সালের নভেম্বরে, লেগিয়া ওয়ারশকে ৮–৪ গোলে হারিয়েছিল বরুসিয়া ডর্টমুন্ড। এ জয়ে সরাসরি শেষ ষোলোতে খেলাও নিশ্চিত হলো হান্সি ফ্লিকের দলের।

বিজনেস আওয়ার/ ২২জানুয়ারি / রানা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

কোচ বার্সা এমন প্রত্যাবর্তন আগে দেখেনি

পোস্ট হয়েছে : ১২ মিনিট আগে

স্পোর্টস ডেস্ক: ৯ গোলের ম্যাচে জয় নির্ধারিত হয়েছে যোগ করা সময়ে। পেনাল্টি, আত্মঘাতি গোল, লাল কার্ডের মহানাটকীয় ম্যাচটি বার্সেলোনা জিতেছে ৫–৪ ব্যবধানে। অথচ ম্যাচের শুরুর চিত্র ছিল ভিন্ন। শুরুর ৩০ মিনিটে ভাঙ্গেলিস পাভলিদিসের হ্যাটট্রিকে ৩–১ গোলে এগিয়ে গিয়েছিল বেনফিকাই। একসময় মনে হচ্ছিল বার্সেলোনার বিপক্ষে স্মরণীয় এক জয়ই পেতে যাচ্ছে পর্তুগিজ ক্লাবটি।

কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে রূপকথার গল্প লিখে ঘুরে দাঁড়ায় বার্সেলোনা। ৬৪ মিনিটে রাফিনিয়া ৩-২ করার মিনিট চারেক পর আত্নঘাতী গোলে আবারও পিছিয়ে পড়ে বার্সা। এর পরই মূলত ঘুরে দাঁড়ায় কাতালানরা।

৭৮ মিনিটে লামিনে ইয়ামালের আদায় করা পেনাল্টি থেকে গোল করে বার্সাকে ম্যাচে ফেরান লেভানদোস্কি। ৮৬তম মিনিটে এরিক গার্সিয়া সমতা টানার পর রাফিনিয়ার শেষের জাদু-বেনফিকা ৪–৫ বার্সেলোনা।

জয়সূচক গোল করে ম্যাচ শেষে রাফিনহা মুভিস্টারকে বলেন, ‘আমরা জানতাম এটি একটি কঠিন ম্যাচ হবে। আমি জানি তাদের মাঠে বেনফিকার বিরুদ্ধে খেলাটা কতটা কঠিন।

তাদের খেলোয়াড়রা অত্যন্ত উচ্চমানের। তবে আমরা ৩-১ গোলে পিছিয়ে পড়ার পরও হাল ছাড়িনি। এটি একটি দুর্দান্ত ম্যাচ ছিল। এখানে যেকোনো দলই জিততে পারত।’ম্যাচ জয়ের পর বার্সেলোনার কোচ ফ্লিক বলেছেন, ‘পাগলাটে ম্যাচ ছিল।

সবচেয়ে পজিটিভ দিক ছিল আমাদের মানসিকতা। আমরা ফিরে এসেছি এবং এটা দারুণ। ফুটবল এমনই, এবং এজন্যই আমরা এটি ভালোবাসি ‘আমি মনে করি না আমি কখনো এমন একটি প্রত্যাবর্তন দেখেছি। এটি অবিশ্বাস্য।’—যোগ করেন ফ্লিক।

চ্যাম্পিয়নস লিগ ইতিহাসে এ নিয়ে মাত্র দ্বিতীয়বার কোনো দল ৪ গোল খেয়েও ম্যাচ জিতল। প্রথমবার এমনটা হয়েছিল ২০১৬ সালের নভেম্বরে, লেগিয়া ওয়ারশকে ৮–৪ গোলে হারিয়েছিল বরুসিয়া ডর্টমুন্ড। এ জয়ে সরাসরি শেষ ষোলোতে খেলাও নিশ্চিত হলো হান্সি ফ্লিকের দলের।

বিজনেস আওয়ার/ ২২জানুয়ারি / রানা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: