ঢাকা , শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘শক্তিশালী ও গণমুখী সংগঠনের জন্য ঐক্যের বিকল্প নেই’

  • পোস্ট হয়েছে : ০১:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ নভেম্বর ২০২০
  • 73

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : ত্যাগী কর্মীদের দূরে সরিয়ে না রেখে কাছে টেনে নিতে হবে,তাদের রাজনীতির পথ মসৃণ করতে হবে। কারণ তারাই দুঃসময়ে দলের পাশে থাকবে। একটি শক্তিশালী এবং গণমুখী সংগঠনের জন্য সাংগঠনিক ঐক্যের বিকল্প নেই। বললেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

শনিবার (৭ নভেম্বর) মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় এসব কথা বলেন তিনি। সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সভায় যুক্ত হন তিনি।

দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেন, নিজস্ব বলয় শক্তিশালী করতে নিজের লোক দিয়ে কমিটি করা যাবে না। সংগঠনের মজবুত জনভিত্তি তৈরি করতে হলে থাকতে হবে ঐক্যবদ্ধ। সাম্প্রদায়িক অপশক্তি, মাদকসেবী ও চিহ্নিত অপরাধীদের বিষয় থেকে আগেভাগেই সতর্ক থাকতে হবে।

৭ নভেম্বরের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, জেনারেল জিয়া সরাসরি বেনিফিশিয়ারি ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের মহান অর্জন ও চেতনাকে ভুলুণ্ঠিত করতে এবং দেশকে পেছনের দিকে নিয়ে যেতে ১৯৭৫ এর ৩ নভেম্বর থেকে ৭ নভেম্বরের মধ্যে অনেক ঘটনাই ঘটেছিলো। যার মধ্যে অনেক কিছুই এখনো ইতিহাসের আড়ালে রয়ে গেছে।

ইতিহাসের এসব অজানা তথ্য তদন্তের মাধ্যমে বের করে আনা এখন সময়ের দাবি উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিপ্লব ও সংহতির মোড়কে সেদিন ষড়যন্ত্র করে অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করেছিলেন জেনারেল জিয়া।

মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট গোলাম মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে বর্ধিত সভায় ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহেদ মালেক এবং সংসদ সদস্য নাইমুর রহমান দুর্জয়, মমতাজ বেগম ও মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম।

বিজনেস আওয়ার/০৭ নভেম্বর, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

‘শক্তিশালী ও গণমুখী সংগঠনের জন্য ঐক্যের বিকল্প নেই’

পোস্ট হয়েছে : ০১:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ নভেম্বর ২০২০

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : ত্যাগী কর্মীদের দূরে সরিয়ে না রেখে কাছে টেনে নিতে হবে,তাদের রাজনীতির পথ মসৃণ করতে হবে। কারণ তারাই দুঃসময়ে দলের পাশে থাকবে। একটি শক্তিশালী এবং গণমুখী সংগঠনের জন্য সাংগঠনিক ঐক্যের বিকল্প নেই। বললেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

শনিবার (৭ নভেম্বর) মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় এসব কথা বলেন তিনি। সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সভায় যুক্ত হন তিনি।

দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেন, নিজস্ব বলয় শক্তিশালী করতে নিজের লোক দিয়ে কমিটি করা যাবে না। সংগঠনের মজবুত জনভিত্তি তৈরি করতে হলে থাকতে হবে ঐক্যবদ্ধ। সাম্প্রদায়িক অপশক্তি, মাদকসেবী ও চিহ্নিত অপরাধীদের বিষয় থেকে আগেভাগেই সতর্ক থাকতে হবে।

৭ নভেম্বরের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, জেনারেল জিয়া সরাসরি বেনিফিশিয়ারি ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের মহান অর্জন ও চেতনাকে ভুলুণ্ঠিত করতে এবং দেশকে পেছনের দিকে নিয়ে যেতে ১৯৭৫ এর ৩ নভেম্বর থেকে ৭ নভেম্বরের মধ্যে অনেক ঘটনাই ঘটেছিলো। যার মধ্যে অনেক কিছুই এখনো ইতিহাসের আড়ালে রয়ে গেছে।

ইতিহাসের এসব অজানা তথ্য তদন্তের মাধ্যমে বের করে আনা এখন সময়ের দাবি উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিপ্লব ও সংহতির মোড়কে সেদিন ষড়যন্ত্র করে অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করেছিলেন জেনারেল জিয়া।

মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট গোলাম মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে বর্ধিত সভায় ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহেদ মালেক এবং সংসদ সদস্য নাইমুর রহমান দুর্জয়, মমতাজ বেগম ও মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম।

বিজনেস আওয়ার/০৭ নভেম্বর, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: