ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘সীমান্তচুক্তি বাস্তবায়নে জিয়া-এরশাদ-খালেদা কখনো উদ্যোগ নেয়নি’

  • পোস্ট হয়েছে : ১২:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ নভেম্বর ২০২০
  • 43

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : ক্ষমতায় থাকাকালে সীমান্তচুক্তি বাস্তবায়নে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান, জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া কখনো উদ্যোগ নেননি বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (৮ নভেম্বর) বিজিবি এয়ার উইংয়ের জন্য ক্রয়কৃত দুটি এমআই-৭১ই হেলিকপ্টারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধান অতিথি হিসেবে বিজিবি এয়ার উইংয়ের জন্য কেনা হেলিকপ্টার কার্যক্রমের উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ১৯৭৪ সালে স্থলসীমানা চুক্তি করে যান। আইনও তিনি পাস করে যান। পঁচাত্তরের পর জিয়াউর রহমান, এরশাদ বা খালেদা জিয়া যারাই ক্ষমতায় এসেছে তারা কখনোই আমাদের এই সীমান্তচুক্তি বাস্তবায়ন অথবা সীমান্ত নির্দিষ্ট করতে কখনো উদ্যাগ গ্রহণ করেনি।

তিনি বলেন, আমি প্রথমবার যখন আসি তখন থেকে উদ্যোগ গ্রহণ করি এবং ভারতের পার্লামেন্টে সকল দল মিলে তা পাস করে দিয়েছে। এখন আমাদের সীমান্ত সুনির্দিষ্টভাবে নির্দেশ করা হয়েছে। আমাদের সীমান্তগুলো সুরক্ষার জন্য এখন আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছি।

এয়ার উইং উদ্বোধনকালে বিজিবিকে ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে ঘোষণা করে ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের অরক্ষিত সীমান্তে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

জানা গেছে, সক্ষমতা বৃদ্ধি ও সীমান্তে নজরদারি বাড়াতে হেলিকপ্টার দুটি ব্যবহার করবে বিজিবি। দেশের সকল সীমান্তপথে মাদকদ্রব্যের অনুপ্রবেশ বন্ধে হেলিকপ্টার দুটি ব্যবহৃত হবে। বিজিবির দুইজন বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্সনায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ এবং ল্যান্সনায়েক মুন্সী আব্দুর রউফের নামে হেলিকপ্টার দুটির নামকরণ করা হয়।

রাশিয়ার উড্ডয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণ প্রশিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে বিজিবির প্রশিক্ষণার্থীদের হাতেকলমে প্রশিক্ষণের পর গত ৪ মে থেকে হেলিকপ্টার দুটি অপারেশনাল হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

সক্ষমতার দিক দিয়ে এমআই-১৭১ই হেলিকপ্টারের সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ২৫০ কিলোমিটার। এটি সর্বোচ্চ ছয় হাজার মিটার উচ্চতায় উড়তে পারে। একসঙ্গে মোট ২৬ জন যাত্রী পরিবহন করতে পারে। সর্বোচ্চ পরিবহন ক্ষমতা তিন হাজার কেজি, রোগী পরিবহন ক্ষমতা ১২ জন। অত্যাধুনিক অটোপাইলট সিস্টেমে পরিচালিত সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এই হেলিকপ্টারটি।

এছাড়া আর্মড পারসোনাল ক্যারিয়ার (এপিসি) ও রায়ট কন্ট্রোল ভেহিকলের (আরসিভি) সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটার, যাত্রী পরিবহন করতে পারে ১২ জন, জ্বালানি ট্যাংক ২৫৭ লিটার, রয়েছে ব্যালাস্টিক প্রোটেকশন, ব্লাস্ট প্রোটেকশন। গ্রেডিয়েন্ট ৬০ শতাংশ, ফোর হুইল ড্রাইভ। রয়েছে নাইট ভিশন হাইস্পিড ক্যামেরা।

বিজনেস আওয়ার/০৮ নভেম্বর, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

‘সীমান্তচুক্তি বাস্তবায়নে জিয়া-এরশাদ-খালেদা কখনো উদ্যোগ নেয়নি’

পোস্ট হয়েছে : ১২:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ নভেম্বর ২০২০

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : ক্ষমতায় থাকাকালে সীমান্তচুক্তি বাস্তবায়নে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান, জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া কখনো উদ্যোগ নেননি বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (৮ নভেম্বর) বিজিবি এয়ার উইংয়ের জন্য ক্রয়কৃত দুটি এমআই-৭১ই হেলিকপ্টারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধান অতিথি হিসেবে বিজিবি এয়ার উইংয়ের জন্য কেনা হেলিকপ্টার কার্যক্রমের উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ১৯৭৪ সালে স্থলসীমানা চুক্তি করে যান। আইনও তিনি পাস করে যান। পঁচাত্তরের পর জিয়াউর রহমান, এরশাদ বা খালেদা জিয়া যারাই ক্ষমতায় এসেছে তারা কখনোই আমাদের এই সীমান্তচুক্তি বাস্তবায়ন অথবা সীমান্ত নির্দিষ্ট করতে কখনো উদ্যাগ গ্রহণ করেনি।

তিনি বলেন, আমি প্রথমবার যখন আসি তখন থেকে উদ্যোগ গ্রহণ করি এবং ভারতের পার্লামেন্টে সকল দল মিলে তা পাস করে দিয়েছে। এখন আমাদের সীমান্ত সুনির্দিষ্টভাবে নির্দেশ করা হয়েছে। আমাদের সীমান্তগুলো সুরক্ষার জন্য এখন আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছি।

এয়ার উইং উদ্বোধনকালে বিজিবিকে ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে ঘোষণা করে ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের অরক্ষিত সীমান্তে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

জানা গেছে, সক্ষমতা বৃদ্ধি ও সীমান্তে নজরদারি বাড়াতে হেলিকপ্টার দুটি ব্যবহার করবে বিজিবি। দেশের সকল সীমান্তপথে মাদকদ্রব্যের অনুপ্রবেশ বন্ধে হেলিকপ্টার দুটি ব্যবহৃত হবে। বিজিবির দুইজন বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্সনায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ এবং ল্যান্সনায়েক মুন্সী আব্দুর রউফের নামে হেলিকপ্টার দুটির নামকরণ করা হয়।

রাশিয়ার উড্ডয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণ প্রশিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে বিজিবির প্রশিক্ষণার্থীদের হাতেকলমে প্রশিক্ষণের পর গত ৪ মে থেকে হেলিকপ্টার দুটি অপারেশনাল হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

সক্ষমতার দিক দিয়ে এমআই-১৭১ই হেলিকপ্টারের সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ২৫০ কিলোমিটার। এটি সর্বোচ্চ ছয় হাজার মিটার উচ্চতায় উড়তে পারে। একসঙ্গে মোট ২৬ জন যাত্রী পরিবহন করতে পারে। সর্বোচ্চ পরিবহন ক্ষমতা তিন হাজার কেজি, রোগী পরিবহন ক্ষমতা ১২ জন। অত্যাধুনিক অটোপাইলট সিস্টেমে পরিচালিত সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এই হেলিকপ্টারটি।

এছাড়া আর্মড পারসোনাল ক্যারিয়ার (এপিসি) ও রায়ট কন্ট্রোল ভেহিকলের (আরসিভি) সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটার, যাত্রী পরিবহন করতে পারে ১২ জন, জ্বালানি ট্যাংক ২৫৭ লিটার, রয়েছে ব্যালাস্টিক প্রোটেকশন, ব্লাস্ট প্রোটেকশন। গ্রেডিয়েন্ট ৬০ শতাংশ, ফোর হুইল ড্রাইভ। রয়েছে নাইট ভিশন হাইস্পিড ক্যামেরা।

বিজনেস আওয়ার/০৮ নভেম্বর, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: