ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মওলানা ভাসানীকে খুঁজে পাচ্ছেন না নির্মাতা!

  • পোস্ট হয়েছে : ১২:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫
  • 4

বিনোদন ডেস্ক: বাংলাদেশের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব আবদুল হামিদ খান ভাসানী। যিনি সবার কাছে মওলানা ভাসানী হিসেবে সমাদৃত। জীবনের পুরোটা সময় তিনি অবহেলিত ও মেহনতি মানুষের অধিকার ও স্বার্থরক্ষায় সংগ্রাম করে গেছেন তিনি। এজন্য ‘মজলুম জননেতা’ হিসেবেও সাধারণ মানুষের কাছে সম্মানিত তিনি।

তার জীবনী আসছে রুপালি পর্দায়। মওলানা ভাসানীর জীবনী অবলম্বনে ‘ভাসানী’ নামের সিনেমাটি বানাবেন সৈয়দ অহিদুজ্জামান ডায়মন্ড। কথা ছিল আসছে মে মাসে শুরু করবেন ছবিটির কাজ। তবে এখনো শিল্পী চূড়ান্ত না হওয়ায় পিছিয়েছে শুটিংয়ের সময়।

বাংলাদেশের কোনো অভিনেতাকেই ভাসানী হিসেবে চান ডায়মন্ড। তবে পারফেক্ট কাউকে এখনো খুঁজে পাননি। সৈয়দ অহিদুজ্জামান ডায়মন্ড বলেন, ‘এ বছর ১৬ মে ফারাক্কা দিবসে শুরু করতে চেয়ে ছিলাম শুটিং। সেইভাবে সবকিছু ডিজাইন করে ফেলেছি। মুল সমস্যা হচ্ছে মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী হিসেবে অভিনয় করবেন এমন কাউকে এখনো পাচ্ছি না। তাই আরও একটু সময় নিতে হচ্ছে। খুব তাড়াতাড়ি শিল্পী তালিকা ঘোষণা করব।’

সৈয়দ অহিদুজ্জামান ডায়মন্ড পরিকল্পনা করছেন, মওলানা ভাসানীর ১৩ বছর বয়স থেকে সিনেমার কাহিনি শুরু করবেন। এতে ভাসানী চরিত্রে অভিনয় করবেন তিনজন অভিনেতা। অবশ্য এখনো কাউকে চূড়ান্ত করা হয়নি। দরকার হলে অডিশনের মাধ্যমে নিতে চান নতুন মুখ।

তিনি আরও বলেন, ‘ভারতের বেশ ক’জন শিল্পীর সঙ্গে আলাপ হয়েছে। তবে কাউকেই ভাসানীর চরিত্রে পারফেক্ট মনে হয়নি। কারো মধ্যেই ভাসানীকে ধারণ করার মতো সামর্থ দেখিনি। সেজন্য সিদ্ধান্ত বদলেছি। বাংলাদেশের শিল্পীরাই ভাসানীকে নিখুঁতভাবে ধারণ করতে পারবে বলে মনে হচ্ছে। কয়েকজন অভিনেতার সঙ্গে আলাপ করেছি। দ্রুতই কাউকে চূড়ান্ত করব।’

ডায়মন্ড বলেন, ‘সেই ব্রিটিশ শাসনামল থেকে শুরু করে এই অঞ্চলে মওলানা ভাসানী একজন প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ ছিলেন। তার অনেক কীর্তি ও গল্প নতুন প্রজন্মের কাছে অজানা। সেজন্যই সিনেমাটি নির্মাণের পরিকল্পনা করেছি। আশা করছি একটি তথ্যবহুল সিনেমা বানাতে পারব।’

‘গঙ্গাযাত্রা’ চলচ্চিত্রটি ২০১১ সালে ৮টি বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছিল। এই ছবি পরিচালনা করে শ্রেষ্ঠ পরিচালক ও কাহিনীকার হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া এই নির্মাতার ভাষ্য, ‘এতদিন রাজনৈতিক বেড়াজালে আটকে রাখা হয়েছিল মওলানা ভাসানী। তাকে নিয়ে সিনেমা বানালে সেটি মুক্তি দিতে পারব কি না সেই ভয় ছিল। মওলানা ভাসানীকে আটকে রাখার শক্তি এখন আর কারো নেই।’

এই ছবিতে দেশের অনেক গুণি শিল্পীরা যুক্ত হবেন বলেও জানান তিনি।

বিজনেস আওয়ার/ ২৩ এপ্রিল / রানা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

মওলানা ভাসানীকে খুঁজে পাচ্ছেন না নির্মাতা!

পোস্ট হয়েছে : ১২:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫

বিনোদন ডেস্ক: বাংলাদেশের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব আবদুল হামিদ খান ভাসানী। যিনি সবার কাছে মওলানা ভাসানী হিসেবে সমাদৃত। জীবনের পুরোটা সময় তিনি অবহেলিত ও মেহনতি মানুষের অধিকার ও স্বার্থরক্ষায় সংগ্রাম করে গেছেন তিনি। এজন্য ‘মজলুম জননেতা’ হিসেবেও সাধারণ মানুষের কাছে সম্মানিত তিনি।

তার জীবনী আসছে রুপালি পর্দায়। মওলানা ভাসানীর জীবনী অবলম্বনে ‘ভাসানী’ নামের সিনেমাটি বানাবেন সৈয়দ অহিদুজ্জামান ডায়মন্ড। কথা ছিল আসছে মে মাসে শুরু করবেন ছবিটির কাজ। তবে এখনো শিল্পী চূড়ান্ত না হওয়ায় পিছিয়েছে শুটিংয়ের সময়।

বাংলাদেশের কোনো অভিনেতাকেই ভাসানী হিসেবে চান ডায়মন্ড। তবে পারফেক্ট কাউকে এখনো খুঁজে পাননি। সৈয়দ অহিদুজ্জামান ডায়মন্ড বলেন, ‘এ বছর ১৬ মে ফারাক্কা দিবসে শুরু করতে চেয়ে ছিলাম শুটিং। সেইভাবে সবকিছু ডিজাইন করে ফেলেছি। মুল সমস্যা হচ্ছে মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী হিসেবে অভিনয় করবেন এমন কাউকে এখনো পাচ্ছি না। তাই আরও একটু সময় নিতে হচ্ছে। খুব তাড়াতাড়ি শিল্পী তালিকা ঘোষণা করব।’

সৈয়দ অহিদুজ্জামান ডায়মন্ড পরিকল্পনা করছেন, মওলানা ভাসানীর ১৩ বছর বয়স থেকে সিনেমার কাহিনি শুরু করবেন। এতে ভাসানী চরিত্রে অভিনয় করবেন তিনজন অভিনেতা। অবশ্য এখনো কাউকে চূড়ান্ত করা হয়নি। দরকার হলে অডিশনের মাধ্যমে নিতে চান নতুন মুখ।

তিনি আরও বলেন, ‘ভারতের বেশ ক’জন শিল্পীর সঙ্গে আলাপ হয়েছে। তবে কাউকেই ভাসানীর চরিত্রে পারফেক্ট মনে হয়নি। কারো মধ্যেই ভাসানীকে ধারণ করার মতো সামর্থ দেখিনি। সেজন্য সিদ্ধান্ত বদলেছি। বাংলাদেশের শিল্পীরাই ভাসানীকে নিখুঁতভাবে ধারণ করতে পারবে বলে মনে হচ্ছে। কয়েকজন অভিনেতার সঙ্গে আলাপ করেছি। দ্রুতই কাউকে চূড়ান্ত করব।’

ডায়মন্ড বলেন, ‘সেই ব্রিটিশ শাসনামল থেকে শুরু করে এই অঞ্চলে মওলানা ভাসানী একজন প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ ছিলেন। তার অনেক কীর্তি ও গল্প নতুন প্রজন্মের কাছে অজানা। সেজন্যই সিনেমাটি নির্মাণের পরিকল্পনা করেছি। আশা করছি একটি তথ্যবহুল সিনেমা বানাতে পারব।’

‘গঙ্গাযাত্রা’ চলচ্চিত্রটি ২০১১ সালে ৮টি বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছিল। এই ছবি পরিচালনা করে শ্রেষ্ঠ পরিচালক ও কাহিনীকার হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া এই নির্মাতার ভাষ্য, ‘এতদিন রাজনৈতিক বেড়াজালে আটকে রাখা হয়েছিল মওলানা ভাসানী। তাকে নিয়ে সিনেমা বানালে সেটি মুক্তি দিতে পারব কি না সেই ভয় ছিল। মওলানা ভাসানীকে আটকে রাখার শক্তি এখন আর কারো নেই।’

এই ছবিতে দেশের অনেক গুণি শিল্পীরা যুক্ত হবেন বলেও জানান তিনি।

বিজনেস আওয়ার/ ২৩ এপ্রিল / রানা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: