ঢাকা , শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জেলে যাওয়ার শঙ্কা ট্রাম্পের!

  • পোস্ট হয়েছে : ১১:৫৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৯ নভেম্বর ২০২০
  • 64

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন। তবে হারতে রাজি নন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ক্ষমতা ছাড়ার পর গ্রেপ্তার হয়ে জেলে যেতে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের।

ট্রাম্পের পদ হারানোর ভয়ের কারণ হিসেবে জানানো হয়েছে, পদ হারালে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলা হতে পারে এবং তিনি জেলে যেতেন পারেন। এমনই খবর প্রকাশ করেছে গার্ডিয়ান ও মেট্টো।

গার্ডিয়ান ও মেট্টোর প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আগে থেকেই মামলা রয়েছে। প্রেসিডেন্ট পদের কারণে সেগুলো এতদিন ঠেকিয়ে রেখেছিলেন তিনি। হোয়াইট হাউসের সূত্র দিয়েই এখবর প্রকাশ করা হয়েছে।

ওই প্রতিবেদন অনুসারে, ট্রাম্প এবার ভোট গণনার সময় কারচুপির অভিযোগ তুলেছেন তার একটি কারণ হল জেলে যাওয়ার ভয়। যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন ফেডারেল প্রসিকিউটর হ্যারি স্যান্ডিকের অভিমত, ট্রাম্পের হোয়াইট হাউজ ছেড়ে চলে যাওয়ার পর প্রসিকিউটর ও সাক্ষীদের পক্ষে মামলা চালিয়ে যাওয়া সহজ হবে।

তাছাড়া ফৌজদারি মামলায় আদালতে হাজির হওয়ার জন্য উচ্চতর সুরক্ষা দাবি করতেন ট্রাম্প। কিন্তু প্রেসিডেন্ট পদে না থাকলে সেই রকম দাবি আর তিনি করতে পারবেন না।

গত বছরের সেপ্টেম্বরে প্রেসিডেন্টের আইনজীবী দল ম্যানহাটন অ্যাটর্নি কার্যালয়ের আদালতে হাজির হওয়ার একটি আদেশ প্রত্যাহারের চেষ্টা চালিয়েছিলেন।

আট বছরের কর প্রদান নিয়ে মামলার শুনানিতে ট্রাম্পকে উপস্থিত হতে বলা হয়েছিল। এছাড়া তার বিরুদ্ধে রয়েছে আরও একাধিক মামলা। ধর্ষণের মামলাও রয়েছে। ক্ষমতা হারালে তার বিরুদ্ধে কয়েকজন নারীর যৌন নিপীড়নের মামলার পথও উন্মুক্ত হবে।

এদের মধ্যে রয়েছেন লেখক ই জিন ক্যারল। তার অভিযোগ , ১৯৯০ দশকের মাঝামাঝিতে ম্যানহাটনের বার্গডর্ফ গুডম্যান ডিপার্টমেন্ট স্টোরের ট্রায়াল রুমে তাকে ধর্ষণ করেছিলেন ট্রাম্প।

ক্যারলের ধর্ষণের মামলায় ডিএনএ নমুনা দিতে অস্বীকার করেন ট্রাম্প।সামার জারভোস নামের আরেক শিক্ষানবীশের মামলাও শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে।

২০১৬ সালের নির্বাচনের আগে তিনিও অভিযোগ করেছিলেন, ২০০৭ সালে ট্রাম্প তাকে যৌন নিপীড়ন করেছেন। এই অভিযোগকে কাল্পনিক বলে উড়িয়ে দেন ট্রাম্প। সবচেয়ে বড় বিপদ আনতে পারে ট্রাম্প অর্গানাইজেশনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা।

এই মামলা ট্রাম্প দায়িত্বে থাকার সময়ের। প্রসিকিউটররা বাণিজ্যিক লেনদেন ও করের নথি চাইলেও ট্রাম্প তা দিতে অস্বীকার করেন। জো বাইডেন শপথ গ্রহণের আগে শেষ দিনগুলোতে নিজেকে দায়মুক্ত করতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালাবেন ট্রাম্প।

অন্যদিকে, প্রেসিডেন্ট পদ হারানোর সঙ্গে সঙ্গেই আরও এক দুঃসংবাদ অপেক্ষা করতে চলেছে তাঁর জন্য। এমনই তথ্য দিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ডেইলি মেইল ইউকে।

ডেইলি মেইল নিজেদের প্রতিবেদনে উদ্ধৃত করেছে ট্রাম্প প্রশাসনের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিককে। ওই আধিকারিক জানাচ্ছেন, যে কোনও দিনই বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বিবাহ বিচ্ছেদের নোটিশ পাঠাতে পারেন বিদায়ী ফাস্ট লেডি।

এদিকে আল-আরাবিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক মুখপাত্র অ্যাডাম এরলি বলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার আগে যেসব অপরাধ করেছিলেন আদালতে সেগুলোর ব্যাপারে বহু মামলা রয়েছে।

এরেলি আরও বলেন, বর্তমানে তিনি প্রেসিডেন্ট হিসেবে আইনি দায়মুক্তি ভোগ করছেন বলে তাকে ওইসব মামলায় গ্রেপ্তার করা যাচ্ছে না। এছাড়া ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ‘যৌন নির্যাতন’ থেকে শুরু করে ‘ট্যাক্স ফাঁকি দেওয়া’র মতো বহু অভিযোগ রয়েছে।

বিজনেস আওয়ার/০৯ নভেম্বর, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

জেলে যাওয়ার শঙ্কা ট্রাম্পের!

পোস্ট হয়েছে : ১১:৫৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৯ নভেম্বর ২০২০

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন। তবে হারতে রাজি নন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ক্ষমতা ছাড়ার পর গ্রেপ্তার হয়ে জেলে যেতে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের।

ট্রাম্পের পদ হারানোর ভয়ের কারণ হিসেবে জানানো হয়েছে, পদ হারালে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলা হতে পারে এবং তিনি জেলে যেতেন পারেন। এমনই খবর প্রকাশ করেছে গার্ডিয়ান ও মেট্টো।

গার্ডিয়ান ও মেট্টোর প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আগে থেকেই মামলা রয়েছে। প্রেসিডেন্ট পদের কারণে সেগুলো এতদিন ঠেকিয়ে রেখেছিলেন তিনি। হোয়াইট হাউসের সূত্র দিয়েই এখবর প্রকাশ করা হয়েছে।

ওই প্রতিবেদন অনুসারে, ট্রাম্প এবার ভোট গণনার সময় কারচুপির অভিযোগ তুলেছেন তার একটি কারণ হল জেলে যাওয়ার ভয়। যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন ফেডারেল প্রসিকিউটর হ্যারি স্যান্ডিকের অভিমত, ট্রাম্পের হোয়াইট হাউজ ছেড়ে চলে যাওয়ার পর প্রসিকিউটর ও সাক্ষীদের পক্ষে মামলা চালিয়ে যাওয়া সহজ হবে।

তাছাড়া ফৌজদারি মামলায় আদালতে হাজির হওয়ার জন্য উচ্চতর সুরক্ষা দাবি করতেন ট্রাম্প। কিন্তু প্রেসিডেন্ট পদে না থাকলে সেই রকম দাবি আর তিনি করতে পারবেন না।

গত বছরের সেপ্টেম্বরে প্রেসিডেন্টের আইনজীবী দল ম্যানহাটন অ্যাটর্নি কার্যালয়ের আদালতে হাজির হওয়ার একটি আদেশ প্রত্যাহারের চেষ্টা চালিয়েছিলেন।

আট বছরের কর প্রদান নিয়ে মামলার শুনানিতে ট্রাম্পকে উপস্থিত হতে বলা হয়েছিল। এছাড়া তার বিরুদ্ধে রয়েছে আরও একাধিক মামলা। ধর্ষণের মামলাও রয়েছে। ক্ষমতা হারালে তার বিরুদ্ধে কয়েকজন নারীর যৌন নিপীড়নের মামলার পথও উন্মুক্ত হবে।

এদের মধ্যে রয়েছেন লেখক ই জিন ক্যারল। তার অভিযোগ , ১৯৯০ দশকের মাঝামাঝিতে ম্যানহাটনের বার্গডর্ফ গুডম্যান ডিপার্টমেন্ট স্টোরের ট্রায়াল রুমে তাকে ধর্ষণ করেছিলেন ট্রাম্প।

ক্যারলের ধর্ষণের মামলায় ডিএনএ নমুনা দিতে অস্বীকার করেন ট্রাম্প।সামার জারভোস নামের আরেক শিক্ষানবীশের মামলাও শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে।

২০১৬ সালের নির্বাচনের আগে তিনিও অভিযোগ করেছিলেন, ২০০৭ সালে ট্রাম্প তাকে যৌন নিপীড়ন করেছেন। এই অভিযোগকে কাল্পনিক বলে উড়িয়ে দেন ট্রাম্প। সবচেয়ে বড় বিপদ আনতে পারে ট্রাম্প অর্গানাইজেশনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা।

এই মামলা ট্রাম্প দায়িত্বে থাকার সময়ের। প্রসিকিউটররা বাণিজ্যিক লেনদেন ও করের নথি চাইলেও ট্রাম্প তা দিতে অস্বীকার করেন। জো বাইডেন শপথ গ্রহণের আগে শেষ দিনগুলোতে নিজেকে দায়মুক্ত করতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালাবেন ট্রাম্প।

অন্যদিকে, প্রেসিডেন্ট পদ হারানোর সঙ্গে সঙ্গেই আরও এক দুঃসংবাদ অপেক্ষা করতে চলেছে তাঁর জন্য। এমনই তথ্য দিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ডেইলি মেইল ইউকে।

ডেইলি মেইল নিজেদের প্রতিবেদনে উদ্ধৃত করেছে ট্রাম্প প্রশাসনের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিককে। ওই আধিকারিক জানাচ্ছেন, যে কোনও দিনই বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বিবাহ বিচ্ছেদের নোটিশ পাঠাতে পারেন বিদায়ী ফাস্ট লেডি।

এদিকে আল-আরাবিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক মুখপাত্র অ্যাডাম এরলি বলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার আগে যেসব অপরাধ করেছিলেন আদালতে সেগুলোর ব্যাপারে বহু মামলা রয়েছে।

এরেলি আরও বলেন, বর্তমানে তিনি প্রেসিডেন্ট হিসেবে আইনি দায়মুক্তি ভোগ করছেন বলে তাকে ওইসব মামলায় গ্রেপ্তার করা যাচ্ছে না। এছাড়া ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ‘যৌন নির্যাতন’ থেকে শুরু করে ‘ট্যাক্স ফাঁকি দেওয়া’র মতো বহু অভিযোগ রয়েছে।

বিজনেস আওয়ার/০৯ নভেম্বর, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: