ঢাকা , বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চাল নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে জাপানের কৃষিমন্ত্রীর পদত্যাগ

  • পোস্ট হয়েছে : ৩ মিনিট আগে
  • 0

বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: জাপানের কৃষিমন্ত্রী তাকু এতো বুধবার পদত্যাগ করেছেন। কারণ চাল নিয়ে তার করা এক মন্তব্য ভোটার ও সংসদ সদস্যদের মধ্যে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়।

গত সপ্তাহে এক রাজনৈতিক তহবিল সংগ্রহ অনুষ্ঠানে এতো বলেন, তাকে কখনো চাল কিনতে হয়ন। কারণ সমর্থকরা তাকে উপহার হিসেবে চাল দিয়ে থাকেন। গণমাধ্যমে এই মন্তব্য প্রকাশের পর থেকেই তিনি ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন।

দেশজুড়ে চালের উৎপাদন খারাপ হওয়া ও পর্যটনের ঊর্ধ্বগতির কারণে অতিরিক্ত চাহিদার ফলে উচ্চ মূল্যের জন্য আগেই ক্ষুব্ধ জনগণ এই মন্তব্যে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার পর সাংবাদিকদের এতো বলেন, নাগরিকেরা যখন চালের উচ্চ মূল্যে ভুগছে, তখন আমি অত্যন্ত অনুপযুক্ত মন্তব্য করেছি।

সরকারি সম্প্রচার সংস্থা এনএইচকে ও অন্যান্য সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সাবেক পরিবেশমন্ত্রী শিনজিরো কোইজুমি তার স্থলাভিষিক্ত হতে পারেন। গত বছরের তুলনায় চালের দাম দ্বিগুণ হয়ে যাওয়ায় জাপানি ভোটারদের জন্য একটি বড় উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

দাম নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য দেশটির সরকার মার্চ মাস থেকে জরুরি মজুত থেকে চাল বাজারে ছাড়ার মতো বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তবে এখনও তেমন ফল পাওয়া যায়নি।

বিরোধীদলগুলো এতো-র মন্তব্যকে মৌলিক বাস্তবতা থেকে বিচ্ছিন্ন বলে সমালোচনা করে এবং প্রধানমন্ত্রী ইশিবার শুরুতে তাকে বরখাস্ত করতে অস্বীকার করায় তারও সমালোচনা করে। তারা সংসদে কৃষিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব বিবেচনা করছিল।

ইশিবা বলেন, এই নিয়োগের সম্পূর্ণ দায় আমি নিচ্ছি। তবে পরবর্তী কৃষিমন্ত্রী কে হবেন তা এখনও নির্ধারণ করা হয়নি।

সূত্র: রয়টার্স

বিজনেস আওয়ার/ ২১ মে / হাসান

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

চাল নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে জাপানের কৃষিমন্ত্রীর পদত্যাগ

পোস্ট হয়েছে : ৩ মিনিট আগে

বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: জাপানের কৃষিমন্ত্রী তাকু এতো বুধবার পদত্যাগ করেছেন। কারণ চাল নিয়ে তার করা এক মন্তব্য ভোটার ও সংসদ সদস্যদের মধ্যে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়।

গত সপ্তাহে এক রাজনৈতিক তহবিল সংগ্রহ অনুষ্ঠানে এতো বলেন, তাকে কখনো চাল কিনতে হয়ন। কারণ সমর্থকরা তাকে উপহার হিসেবে চাল দিয়ে থাকেন। গণমাধ্যমে এই মন্তব্য প্রকাশের পর থেকেই তিনি ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন।

দেশজুড়ে চালের উৎপাদন খারাপ হওয়া ও পর্যটনের ঊর্ধ্বগতির কারণে অতিরিক্ত চাহিদার ফলে উচ্চ মূল্যের জন্য আগেই ক্ষুব্ধ জনগণ এই মন্তব্যে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার পর সাংবাদিকদের এতো বলেন, নাগরিকেরা যখন চালের উচ্চ মূল্যে ভুগছে, তখন আমি অত্যন্ত অনুপযুক্ত মন্তব্য করেছি।

সরকারি সম্প্রচার সংস্থা এনএইচকে ও অন্যান্য সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সাবেক পরিবেশমন্ত্রী শিনজিরো কোইজুমি তার স্থলাভিষিক্ত হতে পারেন। গত বছরের তুলনায় চালের দাম দ্বিগুণ হয়ে যাওয়ায় জাপানি ভোটারদের জন্য একটি বড় উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

দাম নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য দেশটির সরকার মার্চ মাস থেকে জরুরি মজুত থেকে চাল বাজারে ছাড়ার মতো বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তবে এখনও তেমন ফল পাওয়া যায়নি।

বিরোধীদলগুলো এতো-র মন্তব্যকে মৌলিক বাস্তবতা থেকে বিচ্ছিন্ন বলে সমালোচনা করে এবং প্রধানমন্ত্রী ইশিবার শুরুতে তাকে বরখাস্ত করতে অস্বীকার করায় তারও সমালোচনা করে। তারা সংসদে কৃষিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব বিবেচনা করছিল।

ইশিবা বলেন, এই নিয়োগের সম্পূর্ণ দায় আমি নিচ্ছি। তবে পরবর্তী কৃষিমন্ত্রী কে হবেন তা এখনও নির্ধারণ করা হয়নি।

সূত্র: রয়টার্স

বিজনেস আওয়ার/ ২১ মে / হাসান

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: