ঢাকা , সোমবার, ০৯ জুন ২০২৫, ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হাসপাতাল ঢুকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সংগঠকসহ ১০ জনকে পিটুনি

  • পোস্ট হয়েছে : ১২ মিনিট আগে
  • 2

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঢুকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠকসহ অন্তত ১০ জনকে পিটিয়ে আহতের অভিযোগ উঠেছে।

রোববার (৮ জুন) রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তিনজনকে আটক করেছে। আহতরা হলেন রামগঞ্জের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠক রেদোয়ান সালেহীন নাঈম, আজিজ শাকিল, সাঈদ আলম শাহীন, জাহীদ হাসান পাবেল, তারেক আজিজ, সায়মন স্যাম, তারেক ও সংবাদকর্মী রায়হানুর রহমানসহ ১০ জন।

খবর পেয়ে রাতেই তাদের হাসপাতাল দেখতে যান জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুব আলম। এদিকে আটকরা হলেন মো. মাসুদ, কামাল হোসেন ও তুষার। তাদের বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, রোববার বিকেলে উপজেলার শৈরশই গ্রামের গনক বাড়িতে রাহুল ও সাফোয়ান নামে দুই কিশোর ফুটবল খেলে। তখন ফুটবল পড়ে একই বাড়ির উদ্দীপন এনজিওকর্মী সোহাগ আলমের ছেলে আনাছুর রহমান (১) মাথায় আঘাত পায়। পরে রাহুল ও সাফোয়ানের কাছে শিশুর মা আমেনা আক্তার বিথী ফুটবল মারার কারণ জিজ্ঞেস করে। এ নিয়ে আমেনার সঙ্গে তাদের স্বজনদের কথা কাটাকাটি হয়। সন্ধ্যায় শিশুর অবস্থার অবনতি হলে তাকে নেওয়া হয় হাসপাতালে। হাসপাতাল নেওয়ার পথে রাহুলের বাবা রাজন হোসেন ও সাফোয়ানের বাবা মো. লিপনসহ স্বজনরা আহত শিশুটির বাবা সোহাগকে আইনের আশ্রয় না নিতে হুমকি দেন।

এদিকে শিশুটিকে হাসপাতাল ভর্তি করার পর রাহুল-সাফোয়ানদের স্বজন মাসুদ, তুষার, কামালসহ কয়েকজন সেখানে যান। একপর্যায়ে শিশুর ফুফু জান্নাতুল ফেরদাউসের চুল টেনে তাকে হাসপাতাল থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করেন। ঘটনাটি সোহাগ তার আত্মীয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠক রেদোয়ানকে জানান। পরে রেদোয়ানসহ কয়েকজন হাসপাতালে যান। এতে তুষার, মাসুদ ও কামাল ২০-২৫ জন লোক নিয়ে লাঠি দিয়ে রেদোয়ানদের পিটিয়ে আহত করেন। পরে তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আনোয়ার হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, হাসপাতালের ভেতর মারধর করার ঘটনায় আমরা নিজেরা উদ্বিগ্ন। আমাদের চিকিৎসক ও নার্স তারাও অনিরাপদ। নাগরিক পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুব আলম বলেন, হামলার ঘটনাটি ন্যক্কারজনক। এ ঘটনায় পুলিশের সঙ্গে কথা হয়েছে।

রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবুল বাশার বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিজনেস আওয়ার/ ০৯ জুন / কাওছার

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

হাসপাতাল ঢুকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সংগঠকসহ ১০ জনকে পিটুনি

পোস্ট হয়েছে : ১২ মিনিট আগে

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঢুকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠকসহ অন্তত ১০ জনকে পিটিয়ে আহতের অভিযোগ উঠেছে।

রোববার (৮ জুন) রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তিনজনকে আটক করেছে। আহতরা হলেন রামগঞ্জের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠক রেদোয়ান সালেহীন নাঈম, আজিজ শাকিল, সাঈদ আলম শাহীন, জাহীদ হাসান পাবেল, তারেক আজিজ, সায়মন স্যাম, তারেক ও সংবাদকর্মী রায়হানুর রহমানসহ ১০ জন।

খবর পেয়ে রাতেই তাদের হাসপাতাল দেখতে যান জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুব আলম। এদিকে আটকরা হলেন মো. মাসুদ, কামাল হোসেন ও তুষার। তাদের বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, রোববার বিকেলে উপজেলার শৈরশই গ্রামের গনক বাড়িতে রাহুল ও সাফোয়ান নামে দুই কিশোর ফুটবল খেলে। তখন ফুটবল পড়ে একই বাড়ির উদ্দীপন এনজিওকর্মী সোহাগ আলমের ছেলে আনাছুর রহমান (১) মাথায় আঘাত পায়। পরে রাহুল ও সাফোয়ানের কাছে শিশুর মা আমেনা আক্তার বিথী ফুটবল মারার কারণ জিজ্ঞেস করে। এ নিয়ে আমেনার সঙ্গে তাদের স্বজনদের কথা কাটাকাটি হয়। সন্ধ্যায় শিশুর অবস্থার অবনতি হলে তাকে নেওয়া হয় হাসপাতালে। হাসপাতাল নেওয়ার পথে রাহুলের বাবা রাজন হোসেন ও সাফোয়ানের বাবা মো. লিপনসহ স্বজনরা আহত শিশুটির বাবা সোহাগকে আইনের আশ্রয় না নিতে হুমকি দেন।

এদিকে শিশুটিকে হাসপাতাল ভর্তি করার পর রাহুল-সাফোয়ানদের স্বজন মাসুদ, তুষার, কামালসহ কয়েকজন সেখানে যান। একপর্যায়ে শিশুর ফুফু জান্নাতুল ফেরদাউসের চুল টেনে তাকে হাসপাতাল থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করেন। ঘটনাটি সোহাগ তার আত্মীয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠক রেদোয়ানকে জানান। পরে রেদোয়ানসহ কয়েকজন হাসপাতালে যান। এতে তুষার, মাসুদ ও কামাল ২০-২৫ জন লোক নিয়ে লাঠি দিয়ে রেদোয়ানদের পিটিয়ে আহত করেন। পরে তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আনোয়ার হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, হাসপাতালের ভেতর মারধর করার ঘটনায় আমরা নিজেরা উদ্বিগ্ন। আমাদের চিকিৎসক ও নার্স তারাও অনিরাপদ। নাগরিক পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুব আলম বলেন, হামলার ঘটনাটি ন্যক্কারজনক। এ ঘটনায় পুলিশের সঙ্গে কথা হয়েছে।

রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবুল বাশার বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিজনেস আওয়ার/ ০৯ জুন / কাওছার

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: