ঢাকা , সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

২৩ বছর পূর্তি : ‘দেবদাস’ ছবির ১০টি অমর সংলাপ

  • পোস্ট হয়েছে : ১১ মিনিট আগে
  • 1

বিনোদন ডেস্ক: ভালোবাসা, যন্ত্রণা ও বেদনার এক শৈল্পিক মহাকাব্য ‘দেবদাস’। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত কালজয়ী উপন্যাসটি বহু ভাষায় চলচ্চিত্রে এসেছে। তবে বলিউডে সঞ্জয় লীলা বানসালির তৈরি ‘দেবদাস’ সাফল্যের ইতিহাস গড়েছে। শাহরুখ খান, ঐশ্বরিয়া রাই ও মাধুরী দীক্ষিত অভিনীত সিনেমাটি আজও দর্শককে মুগ্ধ করে যায়।

দেখতে দেখতে সিনেমাটি ২৩ বছর পার করেছে। ২০০২ সালে মুক্তি পেয়েছিল ‘দেবদাস’। শাহরুখ-ঐশ্বরিয়া ও মাধুরীর জাদুকরী অভিনয়ে বর্ণিল হয়ে ওঠেছিল ছবির প্রেম-বেদনার এই কাহিনি।

এই সিনেমার গানের মতোই অনন্য একটি দিক ছিল এর সংলাপ। সংলাপগুলো যেমন আবেগে টইটম্বুর, তেমনি ছিল কাব্যিক, গভীর অর্থবোধক। শরৎচন্দ্রের বাংলা উপন্যাস থেকে সঞ্জয় লীলা বানসালী ও প্রকাশ রঞ্জিত কাপাডিয়া মিলে লিখেছিলেন এই হিন্দি সংলাপগুলো।

২৩ বছর পরও এই সংলাপগুলো জনপ্রিয়তা হারায়নি। থিয়েটারে, মঞ্চনাটকে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বারবার ফিরে আসে এগুলো।

নিচে রইল ‘দেবদাস’ সিনেমার ১০টি চিরস্মরণীয় সংলাপ, যেগুলো হৃদয়ে গেঁথে আছে অনুরাগীদের—

১. ইউঁ নজর কি বাত কি, অউর দিল চুরা গয়ে…
(এভাবে শুধু চোখে চোখ রেখেই মনটা চুরি করে নিলে…)

২. এক বাত হোতি থি, তব তুম বহুত ইয়াদ আতি থি…
(একটা কথা হলেই তোমার খুব মনে পড়ত…)

৩. দস সাল পহলে তুমহারে নাম কা দিয়া জলায়া থা ম্যানে…
(দশ বছর আগে আমি তোমার নামের প্রদীপ জ্বালিয়েছিলাম…)

৪. পেয়ার কা কারবার তো বহুত বার কিয়া হ্যায়, মাগর পেয়ার সিফ এক বার…
(ভালোবাসার ব্যবসা অনেকবার করেছি, কিন্তু প্রেম? শুধুই একবার…)

৫. দিল কে চালোঁ কো কোই শায়েরি কহে তো পরভা নেহি…
(মনের ক্ষত কেউ কবিতায় বললে, আমি কিছুমাত্র ক্ষেপি না…)

৬. পেয়ার আত্মা কি পরছাঁই হ্যায়…
(ভালোবাসা আত্মার প্রতিচ্ছবি…)

৭. বাবুজি নে কহা গাঁও ছোড় দো, সব নে কহা পারোকো ছোড় দো, পারো নে কহা শারাব ছোড় দো, আজ তুমনে কহ দিয়া হাভেলি ছোড় দো। এক দিন আয়েগা, জব ওহ কহেঙ্গে- দুনিয়া হি ছোড় দো….
(বাবা বলেছিলেন, গ্রাম ছেড়ে দাও। সবাই বলেছিল, পারোকে ছেড়ে দাও। পারো বলেছিল, মদ ছেড়ে দাও। আজ তুমি বললে, প্রাসাদ ছেড়ে দাও। একদিন আসবে, যেদিন ওরা বলবে- গোটা পৃথিবীটাই ছেড়ে দাও)

৮. কৌন কমবখত বরদাশত করনে কো পিতা হ্যায়?
(কে সেই হতভাগা, যে সহ্য করার জন্য মদ খায়?) –(চুনিলাল)

৯. আপনে হিস্সে কি জিন্দেগি তো হম জি চুকে চুন্নি বাবু…
(আমার কপালের জীবনটা তো আমি বাঁচিয়েই ফেলেছি, চুন্নি বাবু…)

১০. অউরত মা হোতি হ্যায়, জব ওহ কুছ নেহি হোতি তো তওয়াইফ হোতি হ্যায়…
(নারী মা হয়, যখন আর কিছু হয় না তখন হয়ে ওঠে বারবণিতা…)

এই সংলাপগুলো শুধু প্রেম নয়, বেদনা, বিরহ, সমাজের সংকীর্ণতা ও মানবিকতার প্রতিফলন। সঞ্জয় লীলা বনসালীর চিত্রনির্মাণ যেমন শৈল্পিক, তেমনি অনুভূতির দিক থেকেও ছিল আবেগে মোড়া।

২৩ বছর পূর্ণ করে ‘দেবদাস’ আজও বাংলা ও হিন্দি সিনেমার ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় অধ্যায়।

বিজনেস আওয়ার/ ১৪ জুলাই / রানা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

২৩ বছর পূর্তি : ‘দেবদাস’ ছবির ১০টি অমর সংলাপ

পোস্ট হয়েছে : ১১ মিনিট আগে

বিনোদন ডেস্ক: ভালোবাসা, যন্ত্রণা ও বেদনার এক শৈল্পিক মহাকাব্য ‘দেবদাস’। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত কালজয়ী উপন্যাসটি বহু ভাষায় চলচ্চিত্রে এসেছে। তবে বলিউডে সঞ্জয় লীলা বানসালির তৈরি ‘দেবদাস’ সাফল্যের ইতিহাস গড়েছে। শাহরুখ খান, ঐশ্বরিয়া রাই ও মাধুরী দীক্ষিত অভিনীত সিনেমাটি আজও দর্শককে মুগ্ধ করে যায়।

দেখতে দেখতে সিনেমাটি ২৩ বছর পার করেছে। ২০০২ সালে মুক্তি পেয়েছিল ‘দেবদাস’। শাহরুখ-ঐশ্বরিয়া ও মাধুরীর জাদুকরী অভিনয়ে বর্ণিল হয়ে ওঠেছিল ছবির প্রেম-বেদনার এই কাহিনি।

এই সিনেমার গানের মতোই অনন্য একটি দিক ছিল এর সংলাপ। সংলাপগুলো যেমন আবেগে টইটম্বুর, তেমনি ছিল কাব্যিক, গভীর অর্থবোধক। শরৎচন্দ্রের বাংলা উপন্যাস থেকে সঞ্জয় লীলা বানসালী ও প্রকাশ রঞ্জিত কাপাডিয়া মিলে লিখেছিলেন এই হিন্দি সংলাপগুলো।

২৩ বছর পরও এই সংলাপগুলো জনপ্রিয়তা হারায়নি। থিয়েটারে, মঞ্চনাটকে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বারবার ফিরে আসে এগুলো।

নিচে রইল ‘দেবদাস’ সিনেমার ১০টি চিরস্মরণীয় সংলাপ, যেগুলো হৃদয়ে গেঁথে আছে অনুরাগীদের—

১. ইউঁ নজর কি বাত কি, অউর দিল চুরা গয়ে…
(এভাবে শুধু চোখে চোখ রেখেই মনটা চুরি করে নিলে…)

২. এক বাত হোতি থি, তব তুম বহুত ইয়াদ আতি থি…
(একটা কথা হলেই তোমার খুব মনে পড়ত…)

৩. দস সাল পহলে তুমহারে নাম কা দিয়া জলায়া থা ম্যানে…
(দশ বছর আগে আমি তোমার নামের প্রদীপ জ্বালিয়েছিলাম…)

৪. পেয়ার কা কারবার তো বহুত বার কিয়া হ্যায়, মাগর পেয়ার সিফ এক বার…
(ভালোবাসার ব্যবসা অনেকবার করেছি, কিন্তু প্রেম? শুধুই একবার…)

৫. দিল কে চালোঁ কো কোই শায়েরি কহে তো পরভা নেহি…
(মনের ক্ষত কেউ কবিতায় বললে, আমি কিছুমাত্র ক্ষেপি না…)

৬. পেয়ার আত্মা কি পরছাঁই হ্যায়…
(ভালোবাসা আত্মার প্রতিচ্ছবি…)

৭. বাবুজি নে কহা গাঁও ছোড় দো, সব নে কহা পারোকো ছোড় দো, পারো নে কহা শারাব ছোড় দো, আজ তুমনে কহ দিয়া হাভেলি ছোড় দো। এক দিন আয়েগা, জব ওহ কহেঙ্গে- দুনিয়া হি ছোড় দো….
(বাবা বলেছিলেন, গ্রাম ছেড়ে দাও। সবাই বলেছিল, পারোকে ছেড়ে দাও। পারো বলেছিল, মদ ছেড়ে দাও। আজ তুমি বললে, প্রাসাদ ছেড়ে দাও। একদিন আসবে, যেদিন ওরা বলবে- গোটা পৃথিবীটাই ছেড়ে দাও)

৮. কৌন কমবখত বরদাশত করনে কো পিতা হ্যায়?
(কে সেই হতভাগা, যে সহ্য করার জন্য মদ খায়?) –(চুনিলাল)

৯. আপনে হিস্সে কি জিন্দেগি তো হম জি চুকে চুন্নি বাবু…
(আমার কপালের জীবনটা তো আমি বাঁচিয়েই ফেলেছি, চুন্নি বাবু…)

১০. অউরত মা হোতি হ্যায়, জব ওহ কুছ নেহি হোতি তো তওয়াইফ হোতি হ্যায়…
(নারী মা হয়, যখন আর কিছু হয় না তখন হয়ে ওঠে বারবণিতা…)

এই সংলাপগুলো শুধু প্রেম নয়, বেদনা, বিরহ, সমাজের সংকীর্ণতা ও মানবিকতার প্রতিফলন। সঞ্জয় লীলা বনসালীর চিত্রনির্মাণ যেমন শৈল্পিক, তেমনি অনুভূতির দিক থেকেও ছিল আবেগে মোড়া।

২৩ বছর পূর্ণ করে ‘দেবদাস’ আজও বাংলা ও হিন্দি সিনেমার ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় অধ্যায়।

বিজনেস আওয়ার/ ১৪ জুলাই / রানা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: