বিজনেস আওয়ার ডেস্ক:গত বছরের ৮ আগষ্ট কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সেমিনার হলে কর্মরত অবস্থায় এক শিক্ষানবিশ নারী চিকিৎসকে ধর্ষণ ও খুন করা হয়। এই ঘটনায় দেখতে দেখতে এক বছর পার হয়ে গেলো। আরজি কর কান্ডে বিচারের দাবিতে গত শুক্রবার (৮ আগষ্ট) কলকাতার শ্যামবাজারের চৌমাথা মোড়ে ‘রাত দখলের’ কর্মসূচি পালন করেছেন জুনিয়র ডাক্তার ফোরাম।
ওই ঘটনার পর পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পুলিশ থেকে সিবিআই-এর তদন্তে একমাত্র দোষী কলকাতার পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়ার্স সঞ্জয় রায়কে গ্ৰেফতার করা হয়। বিচারের পর সঞ্জয় রায়কে আমৃত্যু কারাবাসের সাজা দেওয়া হয়।
কিন্তু আরজি করের নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যদের দাবি, এই ঘটনার পেছনে একাধিক ষড়যন্ত্রকারী রয়েছে এবং তারা এখনও অধরা। ফলে বিচার এখনো পাননি বলে দাবি নির্যাতিতার পরিবার ও জুনিয়র ডাক্তার ফোরামের।
শুক্রবার (৮ আগষ্ট) কলকাতার শ্যামবাজারের চৌমাথা মোড়ে রাত দখলের কর্মসূচি পালন করে জুনিয়র ডাক্তার ফোরাম এবং নাগরিক সমাজ। সেখানে পথসভাও করেছে তারা।
এ বিষয়ে মৃত নারী চিকিৎসকের মা জানান,এই গভীর রাতে শ্যামবাজারের চৌমাথায় রাত দখলের কর্মসূচিতে যাচ্ছি। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমাদের যেসব দাবি আছে সেগুলো আমরা লিফলেট বিতরণ করবো। আমার মেয়ে হাসপাতালে ছিল সুরক্ষিত জায়গায় সেখানে তাকে সুরক্ষা দিতে পারেনি স্বাস্থ্যমন্ত্রী তাই আমরা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ চাই।
শনিবার (৯ আগষ্ট) পশ্চিমবঙ্গের সচিবালয় নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যরা। সেই সঙ্গে পতাকা ছাড়াও এই নবান্ন অভিযানে যোগ দেবেন বিজেপির সমর্থকরা। সূত্র মারফত জানা গেছে, পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এই অভিযাযোগ দেবেন। এদিকে নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে গোটা নবান্ন চত্বরকে নিরাপত্তার চাদরে ঘিরে ফেলা হয়েছে।
বিজনেস আওয়ার/ ০৯ আগস্ট / হাসান