ঢাকা , শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫, ৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দেশের উন্নয়নে মেধাবী শিক্ষার্থীদের ভূমিকা রাখতে হবে: মেয়র শাহাদাত

  • পোস্ট হয়েছে : ৪ মিনিট আগে
  • 2

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, দেশের উন্নয়নে মেধাবী শিক্ষার্থীদের অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে। শিক্ষার্থীরা স্থানীয় সমস্যার সমাধান, উদ্ভাবন ও মানুষের জীবনমান উন্নয়নে উদ্যোগী হলে দেশের ভবিষ্যৎ আরও উজ্জ্বল হবে।

বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) নগরীর কাজীর দেউড়ি ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে আয়োজিত ‘কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা ২০২৫’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে এসএসসি পরীক্ষায় অসামান্য ফলাফল অর্জনকারী চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্কুলের ৬২৫ জন কৃতি শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র বলেন, শুধু মেধাবী শিক্ষার্থী তৈরি করলেই হবে না, তাদের দেশেই ধরে রাখতে হলে জীবনমান উন্নয়নে সরকারি পর্যায়ে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য চট্টগ্রামকে ক্লিন, গ্রিন ও হেলদি সিটি হিসেবে গড়ে তুলতে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

তিনি বলেন, শিক্ষার মাধ্যমে শিশুদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে পারলে তারা ভবিষ্যতে চট্টগ্রাম ও সর্বোপরি দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এজন্য শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ অব্যাহত রাখবো। শিক্ষা এমন একটি ক্ষেত্র, যেখানে বিনিয়োগ করলে একটি আলোকিত সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব। প্রতি মাসে চসিককে ছয় থেকে আট কোটি টাকা শিক্ষা খাতে ব্যয় করতে হয়, যা আসলে ভবিষ্যতের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিনিয়োগ।

ডা. শাহাদাত হোসেন শিক্ষাখাতে চসিকের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশের সিটি করপোরেশনগুলোর মধ্যে একমাত্র চসিকই শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে ব্যাপক বিনিয়োগ করে থাকে। বর্তমানে চসিকের ৮৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রায় ৬৫ হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে। প্রতি বছর এ খাতে যে ভর্তুকি দেওয়া হয় সেটিকে ব্যয় নয় বরং বিনিয়োগ হিসেবে দেখেন তিনি।

তিনি বলেন, অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী বিদেশে গিয়ে আর ফিরে আসে না। এতে দেশ তাদের মেধা ও দক্ষতা থেকে বঞ্চিত হয়। তাই দেশের জীবনমান উন্নয়নে সরকারি উদ্যোগ আরও বাড়াতে হবে, যাতে তারা দেশের ভেতরেই নিজেদের ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে আগ্রহী হয়।

তিনি জোর দিয়ে বলেন, শিক্ষার্থীদের জন্য গবেষণা ও উদ্ভাবনী কাজে সুযোগ বাড়াতে হবে। স্থানীয় সমস্যার স্থানীয় সমাধান বের করার মাধ্যমে দেশের উন্নয়নে তরুণ সমাজকে যুক্ত করতে হবে।

চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দিন, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ (বিপিএম), মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বোর্ড চট্টগ্রামের চেয়ারম্যান প্রফেসর ইলিয়াছ উদ্দিন আহমদ, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ফরিদা খানম, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সচিব মোহাম্মদ আশরাফুল আমিন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা ড. কিসিঞ্জার চাকমা। এসময় চসিকের বিভাগীয় ও শাখা প্রধানবৃন্দ, শিক্ষা কর্মকর্তা মোছাম্মৎ রাশেদা আক্তার, সমাজকল্যাণ ও সংস্কৃতি কর্মকর্তা মামুনুর রশীদসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

বিজনেস আওয়ার/ ২২ আগস্ট / কাওছার

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

দেশের উন্নয়নে মেধাবী শিক্ষার্থীদের ভূমিকা রাখতে হবে: মেয়র শাহাদাত

পোস্ট হয়েছে : ৪ মিনিট আগে

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, দেশের উন্নয়নে মেধাবী শিক্ষার্থীদের অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে। শিক্ষার্থীরা স্থানীয় সমস্যার সমাধান, উদ্ভাবন ও মানুষের জীবনমান উন্নয়নে উদ্যোগী হলে দেশের ভবিষ্যৎ আরও উজ্জ্বল হবে।

বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) নগরীর কাজীর দেউড়ি ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে আয়োজিত ‘কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা ২০২৫’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে এসএসসি পরীক্ষায় অসামান্য ফলাফল অর্জনকারী চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্কুলের ৬২৫ জন কৃতি শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র বলেন, শুধু মেধাবী শিক্ষার্থী তৈরি করলেই হবে না, তাদের দেশেই ধরে রাখতে হলে জীবনমান উন্নয়নে সরকারি পর্যায়ে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য চট্টগ্রামকে ক্লিন, গ্রিন ও হেলদি সিটি হিসেবে গড়ে তুলতে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

তিনি বলেন, শিক্ষার মাধ্যমে শিশুদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে পারলে তারা ভবিষ্যতে চট্টগ্রাম ও সর্বোপরি দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এজন্য শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ অব্যাহত রাখবো। শিক্ষা এমন একটি ক্ষেত্র, যেখানে বিনিয়োগ করলে একটি আলোকিত সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব। প্রতি মাসে চসিককে ছয় থেকে আট কোটি টাকা শিক্ষা খাতে ব্যয় করতে হয়, যা আসলে ভবিষ্যতের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিনিয়োগ।

ডা. শাহাদাত হোসেন শিক্ষাখাতে চসিকের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশের সিটি করপোরেশনগুলোর মধ্যে একমাত্র চসিকই শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে ব্যাপক বিনিয়োগ করে থাকে। বর্তমানে চসিকের ৮৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রায় ৬৫ হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে। প্রতি বছর এ খাতে যে ভর্তুকি দেওয়া হয় সেটিকে ব্যয় নয় বরং বিনিয়োগ হিসেবে দেখেন তিনি।

তিনি বলেন, অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী বিদেশে গিয়ে আর ফিরে আসে না। এতে দেশ তাদের মেধা ও দক্ষতা থেকে বঞ্চিত হয়। তাই দেশের জীবনমান উন্নয়নে সরকারি উদ্যোগ আরও বাড়াতে হবে, যাতে তারা দেশের ভেতরেই নিজেদের ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে আগ্রহী হয়।

তিনি জোর দিয়ে বলেন, শিক্ষার্থীদের জন্য গবেষণা ও উদ্ভাবনী কাজে সুযোগ বাড়াতে হবে। স্থানীয় সমস্যার স্থানীয় সমাধান বের করার মাধ্যমে দেশের উন্নয়নে তরুণ সমাজকে যুক্ত করতে হবে।

চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দিন, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ (বিপিএম), মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বোর্ড চট্টগ্রামের চেয়ারম্যান প্রফেসর ইলিয়াছ উদ্দিন আহমদ, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ফরিদা খানম, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সচিব মোহাম্মদ আশরাফুল আমিন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা ড. কিসিঞ্জার চাকমা। এসময় চসিকের বিভাগীয় ও শাখা প্রধানবৃন্দ, শিক্ষা কর্মকর্তা মোছাম্মৎ রাশেদা আক্তার, সমাজকল্যাণ ও সংস্কৃতি কর্মকর্তা মামুনুর রশীদসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

বিজনেস আওয়ার/ ২২ আগস্ট / কাওছার

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: