বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল সুদের হার কমানোর ইঙ্গিত দেওয়ায় দেশটির পুঁজিবাজারে নতুন করে উচ্ছ্বাস দেখা দিয়েছে। শুক্রবার (২২ আগস্ট) ডাও জোন্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল সূচক বেড়েছে ৯০০ পয়েন্টের বেশি, যা একটি নতুন অন্তর্বর্তীকালীন রেকর্ড। একই সঙ্গে এসঅ্যান্ডপি ৫০০ সূচক বেড়েছে প্রায় দেড় শতাংশ, আর নাসডাক সূচক বেড়েছে ১ দশমিক ৭ শতাংশ।
বাজার বিশ্লেষকদের মতে, পাওয়েলের সতর্ক আশাবাদী বক্তব্য বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা তৈরি করেছে। এক বছর আগে তাঁর ‘কঠোর অবস্থান’ বাজারে চাপে ফেললেও এবারের ‘নমনীয় সংকেত’ বাজারে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
এই পুঁজিবাজার উত্থানে বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের সম্পদমূল্যে বড়সড় পরিবর্তন এসেছে। ফোর্বসের রিয়েলটাইম হিসাব অনুযায়ী, শীর্ষ ১০ ধনীর মধ্যে কার কত সম্পদ বেড়েছে তা নিচে তুলে ধরা হলো:
ইলন মাস্কের (টেসলা) সম্পদ বেড়েছে ১ হাজার ১২০ কোটি ডলার। এখন মোট সম্পদ বেড়ে দাড়িয়েছে ৪১ হাজার ৯২০ কোটি ডলার। ল্যারি এলিসনের (ওরাকল) সম্পদ বেড়েছে ৪৪০ কোটি ডলার। এখন মোট সম্পদ বেড়ে দাড়িয়েছে ২৮ হাজার ২০০ কোটি ডলার। মার্ক জাকারবার্গের (মেটা) সম্পদ বেড়েছে ৫৪০ কোটি ডলার। এখন মোট সম্পদ বেড়ে দাড়িয়েছে ২৬ হাজার ৩০ কোটি ডলার। জেফ বেজোসের (অ্যামাজন) সম্পদ বেড়েছে ৬১০ কোটি ডলার। এখন মোট সম্পদ বেড়ে দাড়িয়েছে ২৪ হাজার ৭০ কোটি ডলার। ল্যারি পেজের (অ্যালফাবেট) সম্পদ বেড়েছে ৪৯০ কোটি ডলার। এখন মোট সম্পদ বেড়ে দাড়িয়েছে ১৭ হাজার ৩০০ কোটি ডলার। সের্গেই ব্রিনের (অ্যালফাবেট) সম্পদ বেড়েছে ৪৫০ কোটি ডলার। এখন মোট সম্পদ বেড়ে দাড়িয়েছে ১৬ হাজার ১০০ কোটি ডলার। জেনসেন হুয়াং’র (এনভিডিয়া) সম্পদ বেড়েছে ২৬০ কোটি ডলার। এখন মোট সম্পদ বেড়ে দাড়িয়েছে ১৫ হাজার ৪৯০ কোটি ডলার। স্টিভ বালমারের (মাইক্রোসফট সাবেক প্রধান) সম্পদ বেড়েছে ৭৫৬ কোটি ডলার। এখন মোট সম্পদ বেড়ে দাড়িয়েছে ১৫ হাজার ৪৩৩ কোটি ডলার। বার্নার্ড আর্নল্ট ও পরিবারের (এলভিএমএইচ) সম্পদ বেড়েছে ২৯০ কোটি ডলার। এখন মোট সম্পদ বেড়ে দাড়িয়েছে ১৫ হাজার ৯০০ কোটি ডলার। ওয়ারেন বাফেটের (বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ে) সম্পদ বেড়েছে ২৬৩ কোটি ডলার। মোট সম্পদ: ১৪ হাজার ৬২০ কোটি ডলার।
এই ধনীদের সম্পদবৃদ্ধির পেছনে মূলত তাদের মালিকানাধীন কোম্পানির শেয়ারদরের বৃদ্ধি কাজ করেছে। বিশেষ করে টেসলা, মেটা, অ্যামাজন, অ্যালফাবেট ও এনভিডিয়া—সবগুলো কোম্পানির শেয়ারই শুক্রবার বেশ ভালো পারফর্ম করেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি ফেড সত্যিই সুদ কমানোর পদক্ষেপ নেয়, তবে বাজারে আরও উল্লম্ফনের সুযোগ রয়েছে এবং এর প্রভাব পড়বে ব্যক্তিগত সম্পদ, বিনিয়োগ ও ভোক্তা ব্যয়ের ওপরও।
বিজনেস আওয়ার/২৪ আগস্ট / এ এইচ