ঢাকা , মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নেপালে কারফিউ ভেঙে ফের রাজপথে তরুণরা

  • পোস্ট হয়েছে : ১০ মিনিট আগে
  • 1

বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: সরকারের দমননীতি ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষিদ্ধ করার প্রতিবাদে আবারও রাস্তায় নেমেছেন তরুণেরা। কারফিউ জারির পরও মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে নতুন বানেশ্বরসহ রাজধানী কাঠমান্ডুর নানা এলাকায় বিক্ষোভ হয়েছে।

সোমবার পুলিশের গুলিতে শুধু কাঠমান্ডুতেই ১৭ জন এবং ইতাহারিতে আরও ২ জন নিহত হন। আহত হয়েছেন চার শতাধিক। অভিযোগ উঠেছে, পুলিশ অতিরিক্ত শক্তি ব্যবহার করে বিক্ষোভ দমন করেছে।

মঙ্গলবার ভোর থেকে কালাঙ্কি, চাপাগাঁওসহ নানা এলাকায় বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। ফেডারেল পার্লামেন্ট ভবনের সামনে থেকে কয়েকজনকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সোমবার থেকে কাঠমান্ডু, ললিতপুর ও ভক্তপুরে কারফিউ জারি করা হয়েছে। কাঠমান্ডুতে রিং রোডের ভেতরে সব চলাচল ও সমাবেশ সকাল সাড়ে ৮টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ললিতপুরে সকাল ৯টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ভাইসেপাটি, সানেপা, চ্যাসালসহ কয়েকটি এলাকায় কারফিউ জারি থাকে। ভক্তপুরেও একইভাবে কঠোর বিধিনিষেধ চলছে। এসব ধরনের সভা, মিছিল, শোভাযাত্রা ও অবস্থান কর্মসূচি বন্ধ ঘোষণা করেছে প্রশাসন।

তবে এসব নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও মঙ্গলবার সকালে সংসদ ভবনের সামনে তরুণেরা জড়ো হন। একজন অংশগ্রহণকারী বলেন, গতকালের ঘটনার মধ্য দিয়ে সরকারের ব্যর্থতা স্পষ্ট হয়েছে। আমরা কেবল প্রতিবাদ জানাতে এসেছি।

সোমবারের সহিংসতায় ১৯ জন নিহত হওয়ার পর ক্ষমতাসীন দল থেকে শুরু করে বিরোধী শিবিরের নেতারাও সরকারের ভূমিকার সমালোচনা করেছেন। তাদের মতে, এ ঘটনা সরকারের দমননীতির ভয়াবহতা দেখিয়ে দিয়েছে।

সূত্র: কাঠমান্ডু পোস্ট

বিজনেস আওয়ার/ ০৯ সেপ্টেম্বর / হাসান

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

সর্বাধিক পঠিত

নেপালে কারফিউ ভেঙে ফের রাজপথে তরুণরা

পোস্ট হয়েছে : ১০ মিনিট আগে

বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: সরকারের দমননীতি ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষিদ্ধ করার প্রতিবাদে আবারও রাস্তায় নেমেছেন তরুণেরা। কারফিউ জারির পরও মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে নতুন বানেশ্বরসহ রাজধানী কাঠমান্ডুর নানা এলাকায় বিক্ষোভ হয়েছে।

সোমবার পুলিশের গুলিতে শুধু কাঠমান্ডুতেই ১৭ জন এবং ইতাহারিতে আরও ২ জন নিহত হন। আহত হয়েছেন চার শতাধিক। অভিযোগ উঠেছে, পুলিশ অতিরিক্ত শক্তি ব্যবহার করে বিক্ষোভ দমন করেছে।

মঙ্গলবার ভোর থেকে কালাঙ্কি, চাপাগাঁওসহ নানা এলাকায় বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। ফেডারেল পার্লামেন্ট ভবনের সামনে থেকে কয়েকজনকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সোমবার থেকে কাঠমান্ডু, ললিতপুর ও ভক্তপুরে কারফিউ জারি করা হয়েছে। কাঠমান্ডুতে রিং রোডের ভেতরে সব চলাচল ও সমাবেশ সকাল সাড়ে ৮টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ললিতপুরে সকাল ৯টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ভাইসেপাটি, সানেপা, চ্যাসালসহ কয়েকটি এলাকায় কারফিউ জারি থাকে। ভক্তপুরেও একইভাবে কঠোর বিধিনিষেধ চলছে। এসব ধরনের সভা, মিছিল, শোভাযাত্রা ও অবস্থান কর্মসূচি বন্ধ ঘোষণা করেছে প্রশাসন।

তবে এসব নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও মঙ্গলবার সকালে সংসদ ভবনের সামনে তরুণেরা জড়ো হন। একজন অংশগ্রহণকারী বলেন, গতকালের ঘটনার মধ্য দিয়ে সরকারের ব্যর্থতা স্পষ্ট হয়েছে। আমরা কেবল প্রতিবাদ জানাতে এসেছি।

সোমবারের সহিংসতায় ১৯ জন নিহত হওয়ার পর ক্ষমতাসীন দল থেকে শুরু করে বিরোধী শিবিরের নেতারাও সরকারের ভূমিকার সমালোচনা করেছেন। তাদের মতে, এ ঘটনা সরকারের দমননীতির ভয়াবহতা দেখিয়ে দিয়েছে।

সূত্র: কাঠমান্ডু পোস্ট

বিজনেস আওয়ার/ ০৯ সেপ্টেম্বর / হাসান

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: