ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গার্মেন্টস খুলতে পারলে পুঁজিবাজার খুলতে আপত্তি কেন?

  • পোস্ট হয়েছে : ০১:৩৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ মে ২০২০
  • 79

করোনাভাইরাস মোকাবেলায় চলমান সাধারণ ছুটির মধ্যে পুঁজিবাজার খুলে দেওয়ার জন্য আবারও দাবি জানিয়েছেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই ) পরিচালক ও সাবেক প্রেসিডেন্ট মো. রকিবুর রহমান। এক ভিডিও বার্তায় তিনি এ দাবি জানান।

তিনি বলেন, সাধারণ ছুটির মধ্যেই গার্মেন্টস খুলে দেওয়া হয়েছে। দোকানপাট খুলে দেওয়া হয়েছে। তাহলে পুঁজিবাজার বন্ধ রাখার যৌক্তিকতা কী?

তিনি প্রশ্ন তুলেন, গার্মেন্টস খুলে দিতে পারলে পুঁজিবাজার খুলে দিতে সমস্যা কোথায়? গার্মেন্টসে হাজার হাজার মানুষ অল্প জায়গায় কাজ করে। পুঁজিবাজারে তো এই সমস্যা নেই। খুবই অল্প লোক দিয়ে, এমনকি ব্যাংকের শাখার চেয়ে কম জনবল দিয়ে পুঁজিবাজারে লেনদেন চালিয়ে যাওয়া সম্ভব। আর বিনিয়োগকারীদেরও ব্রোকারহাউজে আসতে হয় না; অ্যাপের মাধ্যমে, ইমেইল-ফোনের মাধ্যমে শেয়ার কেনাবেচা করতে পারে।

তিনি বলেন, গার্মন্টস খুলে দেওয়া হয়েছে রপ্তানি আয় ও জীবন-জীবিকার বিষয়টি বিবেচনা করে। একই বিবেচনায় পুঁজিবাজার খুলে দেওয়া প্রয়োজন। এখানে ৩০ লাখ মানুষের জীবন-জীবিকা জড়িত। ঈদের আগে এদের অনেকেরই টাকা প্রয়োজন হবে।

পুঁজিবাজার বন্ধ থাকায় বিদেশী বিনিয়োগকারীদের কাছেও ভুল বার্তা যাবে বলে মনে করেন তিনি।

তিনি পুঁজিবাজার খোলার বিষয় নিয়ে অর্থমন্ত্রণালয়ের চিঠি চালাচালিরও সমালোচনা করেন তিনি।

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

গার্মেন্টস খুলতে পারলে পুঁজিবাজার খুলতে আপত্তি কেন?

পোস্ট হয়েছে : ০১:৩৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ মে ২০২০

করোনাভাইরাস মোকাবেলায় চলমান সাধারণ ছুটির মধ্যে পুঁজিবাজার খুলে দেওয়ার জন্য আবারও দাবি জানিয়েছেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই ) পরিচালক ও সাবেক প্রেসিডেন্ট মো. রকিবুর রহমান। এক ভিডিও বার্তায় তিনি এ দাবি জানান।

তিনি বলেন, সাধারণ ছুটির মধ্যেই গার্মেন্টস খুলে দেওয়া হয়েছে। দোকানপাট খুলে দেওয়া হয়েছে। তাহলে পুঁজিবাজার বন্ধ রাখার যৌক্তিকতা কী?

তিনি প্রশ্ন তুলেন, গার্মেন্টস খুলে দিতে পারলে পুঁজিবাজার খুলে দিতে সমস্যা কোথায়? গার্মেন্টসে হাজার হাজার মানুষ অল্প জায়গায় কাজ করে। পুঁজিবাজারে তো এই সমস্যা নেই। খুবই অল্প লোক দিয়ে, এমনকি ব্যাংকের শাখার চেয়ে কম জনবল দিয়ে পুঁজিবাজারে লেনদেন চালিয়ে যাওয়া সম্ভব। আর বিনিয়োগকারীদেরও ব্রোকারহাউজে আসতে হয় না; অ্যাপের মাধ্যমে, ইমেইল-ফোনের মাধ্যমে শেয়ার কেনাবেচা করতে পারে।

তিনি বলেন, গার্মন্টস খুলে দেওয়া হয়েছে রপ্তানি আয় ও জীবন-জীবিকার বিষয়টি বিবেচনা করে। একই বিবেচনায় পুঁজিবাজার খুলে দেওয়া প্রয়োজন। এখানে ৩০ লাখ মানুষের জীবন-জীবিকা জড়িত। ঈদের আগে এদের অনেকেরই টাকা প্রয়োজন হবে।

পুঁজিবাজার বন্ধ থাকায় বিদেশী বিনিয়োগকারীদের কাছেও ভুল বার্তা যাবে বলে মনে করেন তিনি।

তিনি পুঁজিবাজার খোলার বিষয় নিয়ে অর্থমন্ত্রণালয়ের চিঠি চালাচালিরও সমালোচনা করেন তিনি।

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: