ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সৌমিত্রের বেঁচে থাকার আশা ক্ষীণ হয়ে আসছে

  • পোস্ট হয়েছে : ১১:০৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২০
  • 38

বিনোদন ডেস্ক : টালিউডের নন্দিত অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটছে। বেঁচে থাকার আশা ক্রমেই ক্ষীণ হয়ে আসছে। চিকিৎসাতেও সাড়া দিচ্ছেন না তিনি। ডিফরেন্ট লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে তাকে। কোনো ওষুধেও তার কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

সৌমিত্রের শারীরিক অবস্থা সম্বন্ধে বেলভিউ হাসপাতালের পক্ষ থেকে চিকিৎসক ডা. অরিন্দম কর জানান, তাদের মনে হচ্ছে প্রায় ৪০ দিনের লড়াই কোনও কাজে আসল না। চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন না বর্ষীয়ান এই অভিনেতা। একমাত্র অলৌকিক কিছু ঘটলেই এই অবস্থা থেকে তার ফিরে আসা সম্ভব।

তিনি বলেন, এই অভিনেতার শরীরের যা অবস্থা তাতে পরিস্থিতি মাল্টি-অর্গান ফেলিওর দিকে যাচ্ছে। বিভিন্ন অঙ্গ ধাপে ধাপেও কাজ করা বন্ধ করে দিচ্ছে। কোনো চিকিৎসাতেই সাড়া দিচ্ছেন না তিনি। শনিবার রাতের তুলনায় রোববার সকালে আরও খারাপের দিকে গেছে অভিনেতার পরিস্থিতি। পরিস্থিতি তাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে।

ডা. অরিন্দম আরও জানান, তাকে একাধিক সাপোর্ট সিস্টেমে রাখা হয়েছে। গত কয়েক দিনে তিনবার ডায়ালাইসিস করা হয়েছে। কিন্তু সব চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের পরিবারকে পুরো বিষয়টি বিস্তারিত জানানো হয়েছে। তারাও বিষয়টি মেনে নিচ্ছেন। তবে এখনও হাল ছাড়ছেন না চিকিৎসকরা। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তাঁরা লড়াই চালিয়ে যাবেন।

এর আগে গত বুধবার ৮৫ বছর বয়সী এই অভিনেতার ট্র্যাকিওস্টমি করা হয়েছিলো। সফলভাবেই তা সম্পন্ন হয়েছিলো। বৃহস্পতিবার তার প্রথম পর্যায়ের প্লাজমাফেরেসিস সম্পন্ন হয়। আশা করা হয়েছিলো প্লাজমাফেরেসিসের পর অভিনেতার আচ্ছন্নভাব ও অসংলগ্নতা অনেকটাই কেটে যাবে।

কিন্তু শুক্রবার তার কিছুই হলো না। উল্টো পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে থাকে। যেখানে সৌমিত্রের চেতনাস্তর ৯ থেকে ১০-এর মধ্যে ছিল। তা পাঁচ পর্যন্ত নেমে গিয়েছিল। এই স্তর তিনে পৌঁছে গেলে ব্রেন ডেথ হিসেবে ধরে নেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, গত ১ অক্টোবর থেকে বাড়িতে থাকাকালীন তার শরীরটা ভালো যাচ্ছিল না। শরীরে জ্বর ওঠে। তবে করোনার কোনো উপসর্গ দেখা যায়নি। এরপরই চিকিৎসকের পরামর্শে তার করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হলে গত ৫ অক্টোবর তার করোনার পজিটিভ রিপোর্ট আসে। ৬ অক্টোবর তাকে ভর্তি করানো হয় বেলভিউ নার্সিংহোমে।

সর্বশেষ গত ১৪ অক্টোবর তার করোনা নমুনা পরীক্ষায় নেগেটিভ রিপোর্ট আসে। এরপরই সৌমিত্র সুস্থ হতে থাকেন। যদিও তার করোনা ছাড়া অন্যান্য রোগ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- প্রোস্টেট ক্যানসার, সিওপিডি, প্রেশার, সুগারের মতো রোগ। তার ওপর ছিল করোনা পজিটিভ। চিকিত্সকরা প্রতিমুহূর্তে সৌমিত্রের শারীরিক অবস্থার ওপর নজর রাখলেও এবার আর কোনো আশা দেখছেন না।

বিজনেস আওয়ার/১৫ নভেম্বর, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

সৌমিত্রের বেঁচে থাকার আশা ক্ষীণ হয়ে আসছে

পোস্ট হয়েছে : ১১:০৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২০

বিনোদন ডেস্ক : টালিউডের নন্দিত অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটছে। বেঁচে থাকার আশা ক্রমেই ক্ষীণ হয়ে আসছে। চিকিৎসাতেও সাড়া দিচ্ছেন না তিনি। ডিফরেন্ট লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে তাকে। কোনো ওষুধেও তার কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

সৌমিত্রের শারীরিক অবস্থা সম্বন্ধে বেলভিউ হাসপাতালের পক্ষ থেকে চিকিৎসক ডা. অরিন্দম কর জানান, তাদের মনে হচ্ছে প্রায় ৪০ দিনের লড়াই কোনও কাজে আসল না। চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন না বর্ষীয়ান এই অভিনেতা। একমাত্র অলৌকিক কিছু ঘটলেই এই অবস্থা থেকে তার ফিরে আসা সম্ভব।

তিনি বলেন, এই অভিনেতার শরীরের যা অবস্থা তাতে পরিস্থিতি মাল্টি-অর্গান ফেলিওর দিকে যাচ্ছে। বিভিন্ন অঙ্গ ধাপে ধাপেও কাজ করা বন্ধ করে দিচ্ছে। কোনো চিকিৎসাতেই সাড়া দিচ্ছেন না তিনি। শনিবার রাতের তুলনায় রোববার সকালে আরও খারাপের দিকে গেছে অভিনেতার পরিস্থিতি। পরিস্থিতি তাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে।

ডা. অরিন্দম আরও জানান, তাকে একাধিক সাপোর্ট সিস্টেমে রাখা হয়েছে। গত কয়েক দিনে তিনবার ডায়ালাইসিস করা হয়েছে। কিন্তু সব চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের পরিবারকে পুরো বিষয়টি বিস্তারিত জানানো হয়েছে। তারাও বিষয়টি মেনে নিচ্ছেন। তবে এখনও হাল ছাড়ছেন না চিকিৎসকরা। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তাঁরা লড়াই চালিয়ে যাবেন।

এর আগে গত বুধবার ৮৫ বছর বয়সী এই অভিনেতার ট্র্যাকিওস্টমি করা হয়েছিলো। সফলভাবেই তা সম্পন্ন হয়েছিলো। বৃহস্পতিবার তার প্রথম পর্যায়ের প্লাজমাফেরেসিস সম্পন্ন হয়। আশা করা হয়েছিলো প্লাজমাফেরেসিসের পর অভিনেতার আচ্ছন্নভাব ও অসংলগ্নতা অনেকটাই কেটে যাবে।

কিন্তু শুক্রবার তার কিছুই হলো না। উল্টো পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে থাকে। যেখানে সৌমিত্রের চেতনাস্তর ৯ থেকে ১০-এর মধ্যে ছিল। তা পাঁচ পর্যন্ত নেমে গিয়েছিল। এই স্তর তিনে পৌঁছে গেলে ব্রেন ডেথ হিসেবে ধরে নেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, গত ১ অক্টোবর থেকে বাড়িতে থাকাকালীন তার শরীরটা ভালো যাচ্ছিল না। শরীরে জ্বর ওঠে। তবে করোনার কোনো উপসর্গ দেখা যায়নি। এরপরই চিকিৎসকের পরামর্শে তার করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হলে গত ৫ অক্টোবর তার করোনার পজিটিভ রিপোর্ট আসে। ৬ অক্টোবর তাকে ভর্তি করানো হয় বেলভিউ নার্সিংহোমে।

সর্বশেষ গত ১৪ অক্টোবর তার করোনা নমুনা পরীক্ষায় নেগেটিভ রিপোর্ট আসে। এরপরই সৌমিত্র সুস্থ হতে থাকেন। যদিও তার করোনা ছাড়া অন্যান্য রোগ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- প্রোস্টেট ক্যানসার, সিওপিডি, প্রেশার, সুগারের মতো রোগ। তার ওপর ছিল করোনা পজিটিভ। চিকিত্সকরা প্রতিমুহূর্তে সৌমিত্রের শারীরিক অবস্থার ওপর নজর রাখলেও এবার আর কোনো আশা দেখছেন না।

বিজনেস আওয়ার/১৫ নভেম্বর, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: