ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘মিশা ও জায়েদকে আজীবন বয়কট করা হবে’

  • পোস্ট হয়েছে : ০৪:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ নভেম্বর ২০২০
  • 41

বিনোদন ডেস্ক : নির্বাচনে অনিয়মের ব্যাপারে জায়েদ খানের লিখিত অভিযোগ তদন্ত করে সত্যতা পেয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিবেশক সমিতির ২০১৯-২০২১ মেয়াদের কার্যনির্বাহী কমিটিকে বাতিল করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে একজন উপসচিবকে সংগঠনটির প্রশাসকের দায়িত্বে বসানো হয়েছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এমন সিদ্ধান্তকে ভালোভাবে নেয়নি এফডিসির সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলো। পাশাপাশি যে অভিযোগের জেরে কমিটি ভেঙ্গে দেয়ার আধ্যাদেশ জারি করেছে সে অভিযোগও সঠিক নয় বলে মন্তব্য করেছেন সংগঠনটির নেতারা। মিথ্যে অভিযোগ দেয়ায় জায়েদ খানের উপরও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা।

বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও চলচ্চিত্র পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ নেতা বদিউল আলম খোকন গণমাধ্যমকে বলেন, যে অভিযোগের ভিত্তিতে প্রযোজক পরিবেশক সমিতির নতুন কমিটি ভেঙে দেয়া হয়েছে সেটি সত্যি নয়। জানিনা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কিভাবে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা আলোচনায় বসছি। দ্রুতই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, সদ্য বিলুপ্ত চলচ্চিত্র প্রযোজকদের কার্যনির্বাহী কমিটিতে সভাপতি হিসেবে খোরশেদ আলম খসরু ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে শামসুল আলম কখনই সংঘবিধি ও সংঘস্মারকের ৫(৫) ধারা লঙ্ঘন করেননি। এটা মিথ্যে অভিযোগ। প্রতিহিংসার বহিঃপ্রকাশ।

প্রযোজক সমিতির কমিটি বাতিলের পাশাপাশি জায়েদ খানের উপর যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিলো সমিতি সে বিষয়েও সিদ্ধান্ত জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। আরেক আদেশে জায়েদ খানকে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিবেশক সমিতির সদস্যপদ সাময়িকভাবে বাতিলের সিদ্ধান্ত যুক্তিসঙ্গত নয় বলে প্রতীয়মান হওয়ায় তাকে ছবি নির্মাণ ও অভিনয়ের ক্ষেত্রে কোনো বাধা না দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে বদিউল আলম খোকন বলেন, জায়েদ সিনেমার কোনো গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি নন। তার পারিশ্রমিক সর্বোচ্চ ৫০ হাজার। সে সাংগঠনিক ছেলে। সেজন্য সিনিয়র-জুনিয়র অনেকেই তাকে সাপোর্ট দিয়েছিলো যখন একটা আন্দোলন চলমান ছিলো সিনেমার স্বার্থে। কিন্তু ক্ষমতায় গিয়ে সে নিজেকে যা-তা ভাবছে।

খোকন বলেন, তার মতো একজন মানুষের জন্য সিনেমার এতোবড় ক্ষতি হতে পারে না। সে ক্ষমতা দেখাচ্ছে। এটা ক্ষমতা প্রদর্শনের জায়গা না। আর, একটা বিষয় ক্লিয়ার করতে চাই, মিশা-জায়েদকে বয়কট করেছে সিনেমার ১৮টি সংগঠন। প্রযোজক সমিতির কমিটি না থাকলেও বাকী ১৭ সংগঠন আগের সিদ্ধান্তে অটল থাকবে।

তিনি আরও বলেন, মিশা-জায়েদের বয়কট সিদ্ধান্ত বহাল রয়েছে। মিথ্যে অভিযোগে সিনেমার সবচেয়ে শক্তিশালী সংগঠনটিকে প্রশ্নবিদ্ধ করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে জায়েদ খান বিষয়টি নোংরামির চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। সেজন্য মিশা-জায়েদকে আজীবন বয়কট করা হবে।

প্রযোজক সমিতির কমিটি ভেঙ্গে দেয়ার ব্যাপারে সদ্য সাবেক সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু বলেন, কমিটি বাতিলের বিষয়টি আমরা মাত্রই জানলাম। আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যেই বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে আপিল করব।

বিজনেস আওয়ার/১৭ নভেম্বর, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

‘মিশা ও জায়েদকে আজীবন বয়কট করা হবে’

পোস্ট হয়েছে : ০৪:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ নভেম্বর ২০২০

বিনোদন ডেস্ক : নির্বাচনে অনিয়মের ব্যাপারে জায়েদ খানের লিখিত অভিযোগ তদন্ত করে সত্যতা পেয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিবেশক সমিতির ২০১৯-২০২১ মেয়াদের কার্যনির্বাহী কমিটিকে বাতিল করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে একজন উপসচিবকে সংগঠনটির প্রশাসকের দায়িত্বে বসানো হয়েছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এমন সিদ্ধান্তকে ভালোভাবে নেয়নি এফডিসির সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলো। পাশাপাশি যে অভিযোগের জেরে কমিটি ভেঙ্গে দেয়ার আধ্যাদেশ জারি করেছে সে অভিযোগও সঠিক নয় বলে মন্তব্য করেছেন সংগঠনটির নেতারা। মিথ্যে অভিযোগ দেয়ায় জায়েদ খানের উপরও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা।

বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও চলচ্চিত্র পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ নেতা বদিউল আলম খোকন গণমাধ্যমকে বলেন, যে অভিযোগের ভিত্তিতে প্রযোজক পরিবেশক সমিতির নতুন কমিটি ভেঙে দেয়া হয়েছে সেটি সত্যি নয়। জানিনা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কিভাবে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা আলোচনায় বসছি। দ্রুতই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, সদ্য বিলুপ্ত চলচ্চিত্র প্রযোজকদের কার্যনির্বাহী কমিটিতে সভাপতি হিসেবে খোরশেদ আলম খসরু ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে শামসুল আলম কখনই সংঘবিধি ও সংঘস্মারকের ৫(৫) ধারা লঙ্ঘন করেননি। এটা মিথ্যে অভিযোগ। প্রতিহিংসার বহিঃপ্রকাশ।

প্রযোজক সমিতির কমিটি বাতিলের পাশাপাশি জায়েদ খানের উপর যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিলো সমিতি সে বিষয়েও সিদ্ধান্ত জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। আরেক আদেশে জায়েদ খানকে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিবেশক সমিতির সদস্যপদ সাময়িকভাবে বাতিলের সিদ্ধান্ত যুক্তিসঙ্গত নয় বলে প্রতীয়মান হওয়ায় তাকে ছবি নির্মাণ ও অভিনয়ের ক্ষেত্রে কোনো বাধা না দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে বদিউল আলম খোকন বলেন, জায়েদ সিনেমার কোনো গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি নন। তার পারিশ্রমিক সর্বোচ্চ ৫০ হাজার। সে সাংগঠনিক ছেলে। সেজন্য সিনিয়র-জুনিয়র অনেকেই তাকে সাপোর্ট দিয়েছিলো যখন একটা আন্দোলন চলমান ছিলো সিনেমার স্বার্থে। কিন্তু ক্ষমতায় গিয়ে সে নিজেকে যা-তা ভাবছে।

খোকন বলেন, তার মতো একজন মানুষের জন্য সিনেমার এতোবড় ক্ষতি হতে পারে না। সে ক্ষমতা দেখাচ্ছে। এটা ক্ষমতা প্রদর্শনের জায়গা না। আর, একটা বিষয় ক্লিয়ার করতে চাই, মিশা-জায়েদকে বয়কট করেছে সিনেমার ১৮টি সংগঠন। প্রযোজক সমিতির কমিটি না থাকলেও বাকী ১৭ সংগঠন আগের সিদ্ধান্তে অটল থাকবে।

তিনি আরও বলেন, মিশা-জায়েদের বয়কট সিদ্ধান্ত বহাল রয়েছে। মিথ্যে অভিযোগে সিনেমার সবচেয়ে শক্তিশালী সংগঠনটিকে প্রশ্নবিদ্ধ করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে জায়েদ খান বিষয়টি নোংরামির চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। সেজন্য মিশা-জায়েদকে আজীবন বয়কট করা হবে।

প্রযোজক সমিতির কমিটি ভেঙ্গে দেয়ার ব্যাপারে সদ্য সাবেক সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু বলেন, কমিটি বাতিলের বিষয়টি আমরা মাত্রই জানলাম। আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যেই বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে আপিল করব।

বিজনেস আওয়ার/১৭ নভেম্বর, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: