ঢাকা , সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঢাকার জলাবদ্ধতা নিরসনের প্রতিশ্রুতি দুই সিটি মেয়রের

  • পোস্ট হয়েছে : ০৪:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ নভেম্বর ২০২০
  • 43

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : রাজধানী ঢাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে পানি নিষ্কাশনের দায়িত্ব সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। এটি বাস্তবায়ন হলে জলাবদ্ধতা নিরসনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের মেয়র। বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে এক পরামর্শ সভার শেষে দুই মেয়র এ প্রতিশ্রুতি দেন।

এ সময় ঢাকা দক্ষিণ সিটি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, আজকে আমরা দীর্ঘদিনের পুঞ্জিভূত সমস্যা নিরসনে একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি। ১৯৮৮ সালে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের দায়িত্ব সিটি করপোরেশনকে দেয়ার কথা থাকলেও দেয়া হয় ওয়াসাকে। ফলে এসব জলাশয়, পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থাসহ নর্দমার দায়িত্ব ওয়াসা পায়। সে থেকে আজ পর্যন্ত প্রায় ৩০ বছরের বেশি সময় ঢাকাবাসী দুর্ভোগে নিমজ্জিত ছিল। এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে আমরা একটি নবসূচনা করতে পারছি। আমি আশাবাদী সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজের মাধ্যমে অচিরেই ঢাকাবাসিকে এর সুফল দিতে পারব।

এই দায়িত্ব কতখানি চ্যালেঞ্জিং মনে করছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তাপস বলেন, ঢাকাবাসী নির্বাচনের মাধ্যমে দুজন নেতা নির্বাচিত করেছে। সেই মেনডেটের কারণে আমরা সাহস করেছি ঢাকাবাসীকে আমরা এই সমস্যা থেকে সমাধান দেবো। সকল প্রতিকূলতা নিয়েই আমরা এই বিশাল কর্মযজ্ঞ হাতে নিয়েছি।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, আজকের দিনটি ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আজ সে বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে এখানে অনেক টেকনিক্যাল ব্যাপার রয়েছে। যেমন আমাদের সক্ষমতা বিষয়সহ আইনগত বিভিন্ন দিক রয়েছে। আমরা নগরবাসীকে বলতে পারি এটি একটি অনেক পুরনো দিনের সমস্যা। এখানে খাল, সুয়ারেজ ড্রেন থেকে শুরু করে অনেক চ্যালেঞ্জ ছিলো। জনগণের পাশে থেকে জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ থেকে জনগণকে রক্ষার চেষ্টা করব।

তিনি বলেন, আমরা খালগুলো থেকে পেয়েছি ফ্রিজ, টিভি, জাজিমসহ ডাবের খোসা৷ এছাড়া খালের দুই পাশ অবৈধভাবে দখল হয়ে গেছে। আমরা খালগুলো উদ্ধার করবো। খালগুলো আরও গভীর করা এবং দুই পাড়ে সাইকেল লেন, ওয়াকওয়ে এবং গাছ দিয়ে দৃষ্টি নন্দন পার্ক করা অবশ্যই একটি কঠিন কাজ।

তিনি আরও বলেন, সদিচ্ছা থাকলে আমাদের নদীগুলোর মতো খালগুলোও প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দখলের কবল থেকে উদ্ধার করতে পারব। সরকারি জমি অন্য কেউ দখল করে নিয়ে যাবে আমরা চেয়ে চেয়ে দেখবো সে দিন শেষ। এক্ষেত্রে আইনের প্রয়োজন হলে নেব।

বিজনেস আওয়ার/২৬ নভেম্বর, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

ঢাকার জলাবদ্ধতা নিরসনের প্রতিশ্রুতি দুই সিটি মেয়রের

পোস্ট হয়েছে : ০৪:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ নভেম্বর ২০২০

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : রাজধানী ঢাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে পানি নিষ্কাশনের দায়িত্ব সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। এটি বাস্তবায়ন হলে জলাবদ্ধতা নিরসনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের মেয়র। বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে এক পরামর্শ সভার শেষে দুই মেয়র এ প্রতিশ্রুতি দেন।

এ সময় ঢাকা দক্ষিণ সিটি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, আজকে আমরা দীর্ঘদিনের পুঞ্জিভূত সমস্যা নিরসনে একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি। ১৯৮৮ সালে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের দায়িত্ব সিটি করপোরেশনকে দেয়ার কথা থাকলেও দেয়া হয় ওয়াসাকে। ফলে এসব জলাশয়, পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থাসহ নর্দমার দায়িত্ব ওয়াসা পায়। সে থেকে আজ পর্যন্ত প্রায় ৩০ বছরের বেশি সময় ঢাকাবাসী দুর্ভোগে নিমজ্জিত ছিল। এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে আমরা একটি নবসূচনা করতে পারছি। আমি আশাবাদী সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজের মাধ্যমে অচিরেই ঢাকাবাসিকে এর সুফল দিতে পারব।

এই দায়িত্ব কতখানি চ্যালেঞ্জিং মনে করছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তাপস বলেন, ঢাকাবাসী নির্বাচনের মাধ্যমে দুজন নেতা নির্বাচিত করেছে। সেই মেনডেটের কারণে আমরা সাহস করেছি ঢাকাবাসীকে আমরা এই সমস্যা থেকে সমাধান দেবো। সকল প্রতিকূলতা নিয়েই আমরা এই বিশাল কর্মযজ্ঞ হাতে নিয়েছি।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, আজকের দিনটি ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আজ সে বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে এখানে অনেক টেকনিক্যাল ব্যাপার রয়েছে। যেমন আমাদের সক্ষমতা বিষয়সহ আইনগত বিভিন্ন দিক রয়েছে। আমরা নগরবাসীকে বলতে পারি এটি একটি অনেক পুরনো দিনের সমস্যা। এখানে খাল, সুয়ারেজ ড্রেন থেকে শুরু করে অনেক চ্যালেঞ্জ ছিলো। জনগণের পাশে থেকে জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ থেকে জনগণকে রক্ষার চেষ্টা করব।

তিনি বলেন, আমরা খালগুলো থেকে পেয়েছি ফ্রিজ, টিভি, জাজিমসহ ডাবের খোসা৷ এছাড়া খালের দুই পাশ অবৈধভাবে দখল হয়ে গেছে। আমরা খালগুলো উদ্ধার করবো। খালগুলো আরও গভীর করা এবং দুই পাড়ে সাইকেল লেন, ওয়াকওয়ে এবং গাছ দিয়ে দৃষ্টি নন্দন পার্ক করা অবশ্যই একটি কঠিন কাজ।

তিনি আরও বলেন, সদিচ্ছা থাকলে আমাদের নদীগুলোর মতো খালগুলোও প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দখলের কবল থেকে উদ্ধার করতে পারব। সরকারি জমি অন্য কেউ দখল করে নিয়ে যাবে আমরা চেয়ে চেয়ে দেখবো সে দিন শেষ। এক্ষেত্রে আইনের প্রয়োজন হলে নেব।

বিজনেস আওয়ার/২৬ নভেম্বর, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: