বিএনপি নির্বাচনকে উদ্দেশ্যমূলক প্রশ্নবিদ্ধ করে, গোপনে সরকার পতনের অলিগলি পথ খুঁজে আর দেশ বিদেশে গোপন বৈঠক করে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে চায়। নির্বাচনের পথে না হেঁটে ক্ষমতায় যেতে নানান অগণতান্ত্রিক পথ খোঁজা বিএনপির পুরনো অভ্যাস। বললেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
রোববার (২৯ নভেম্বর) সকালে তার সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংকালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিবৃতি আর গুজব অপপ্রচার চালিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা যায় না। তাদের দুঃশাসন এখনো মানুষকে তাড়া করে, তাই তারা জনমানুষের আস্থা হারিয়েছে। তাই আগে নিজের দলে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করুন। বিএনপির গণতন্ত্র হচ্ছে ‘মুখে শেখ ফরিদ আর বগলে ইট’।
তিনি বলেন, যেসব জেলায় আওয়ামী লীগের সম্মেলন হয়নি এবং কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে, সেসব জেলায় দ্রুত কাউন্সিল করার নির্দেশনা দিয়েছেন দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, জেলা সম্মেলনের আগে উপজেলা, ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড পর্যায়ে কাউন্সিলের মাধ্যমে কমিটি গঠন করতে হবে।
সরকার নাকি শাসন দীর্ঘায়িত করতে চায়, বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় এসেছে সুতরাং সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে পরবর্তী নির্বাচন হবে, তাই শাসন দীর্ঘায়িত করার সরকারের কোনও ইচ্ছাও নেই, সুযোগও নেই।
মাগুরা জেলা বিএনপির কার্যালয়ে হামলা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, কারা হামলা করেছে তা তদন্ত হওয়া দরকার। এ ঘটনা তাদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের বহিঃপ্রকাশ কি না তা খতিয়ে দেখাও দরকার।
নেতাকর্মীদের কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাউন্সিল করার নির্দেশ দিয়ে বলেন, চিহ্নিত অপরাধী, চাঁদাবাজ, দখলদার ও সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর কাউকে দলে নেওয়া যাবে না বলে আবারও স্মরণ করে দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ত্যাগী নেতাকর্মীদের জন্য রাজনীতিতে টিকে থাকার এবং এগিয়ে যাওয়ার পথ সৃষ্টি করে দিতে হবে।
বিজনেস আওয়ার/২৯ নভেম্বর, ২০২০/এ