ঢাকা , সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাজার সামলাতে চাল আমদানির সিদ্ধান্ত সরকারের

  • পোস্ট হয়েছে : ০৩:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২০
  • 96

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : বাজারে হু হু করে বেড়েই চলছে চালের দাম। চাল ক্রয়ে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে চরমে। তাছাড়া বাজারে চালের দাম বেশি হওয়ায় সরকারের আমন সংগ্রহ কর্মসূচি ব্যর্থ হতে চলেছে। সেইসঙ্গে কমছে সরকারি মজুত। এমন পরিস্থিতিতে বাজার সামাল দিতে আমদানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, আমনের ভরা মৌসুম হলেও ধানের দাম বেশি, এর প্রভাবে পড়ছে চালে। আমন উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম হয়েছে, তাই এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। সরকারি মজুত বাড়ানো এবং প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষকে সুবিধা দিতে খোলা বাজারে চাল বিক্রি (ওএমএস) অব্যাহত রাখা ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির জন্য আমদানিই একমাত্র সমাধান।

কর্মকর্তারা আরও বলছেন, দেড় লাখ টন চাল আমদানির প্রক্রিয়া চলছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় দরপত্রের মাধ্যমে আরও চাল আমদানির উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। জি-টু-জি (সরকার থেকে সরকার) পদ্ধতিতেও চাল আনতে বাজার খোঁজা হচ্ছে।

জানা গেছে, রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে খুচরা পর্যায়ে গত এক সপ্তাহে চালের দাম কেজিতে ৪ টাকা এবং দুই সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ৮ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৬ থেকে ৫০ টাকা কেজি, যা দুই সপ্তাহ আগে ছিল ৪২ থেকে ৪৬ টাকার মধ্যে।

সরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ঢাকা মহানগরীর নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজারদরের শনিবারের (১২ ডিসেম্বর) প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক মাসের ব্যবধানে মোটা চালের দাম বেড়েছে ৫ দশমিক ৭৫ টাকা, বছরের ব্যবধানে বেড়েছে ২৬ দশমিক ০৩ শতাংশ।

চালের দাম বাড়া প্রসঙ্গে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, আমি বিভিন্ন জেলায় খোঁজ রাখছি, বাজারে ধানের দাম বেশি। ধানের দাম বেশি হলে চালের দাম কীভাবে কমবে? আমি তো জোর করে দাম কমাতে পারব না। সাধারণ মানুষ ও কৃষক দুই পক্ষের স্বার্থই আমাদের দেখতে হয়।

তিনি বলেন, এখন প্রতি মণ ধানের দাম এক হাজার ২০০ টাকা। ৬১ কেজি ধানে ৪০ কেজি চাল হয়। তবে তো প্রতিকেজি চালের দাম পড়ে প্রায় ৪৬ টাকা। এর সঙ্গে বহন খরচও আছে। উৎপাদনের হিসাবটা আরও সঠিক হওয়া দরকার। উৎপাদন ঠিক থাকলে তো দাম বাড়ার কথা নয়।

গত ২৮ অক্টোবর খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভায় চলতি আমন মৌসুমে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ২৬ টাকা কেজি দরে ২ লাখ মেট্রিক টন ধান কেনার সিদ্ধান্ত হয়। এছাড়া ৩৭ টাকা কেজি দরে ৬ লাখ টন সিদ্ধ চাল এবং ৩৬ টাকা কেজি দরে ৫০ হাজার টন আতপ চাল কেনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়।

কিন্তু বাজারে ধান চালের দাম অনেক বেশি হওয়ায় সংগ্রহ কার্যক্রমে কোনো অগ্রগতি নেই। সরকারি গুদামে ধান-চাল দিতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না কৃষক ও মিল মালিকরা। খাদ্য অধিদফতরের ৮ ডিসেম্বরের তথ্য অনুযায়ী, ৬৪ টন ধান, ৪ হাজার ১৪১ টন সিদ্ধ চাল ও ১৫ টন আতপ চাল সংগ্রহ করা হয়েছে।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বাজারে ধানের দাম বেশি হওয়ায় কৃষক আমাদের ধান দিচ্ছে না। একইভাবে মিলারটা চাল দিচ্ছেন না। সরকার যদি জোর করে আমন সংগ্রহ চালায় তবে তো বাজার আরও অস্থিতিশীল হয়ে যাবে। তাই এই মুহূর্তে আমদানি করা ছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই।

তিনি বলেন, ধান কেনার জন্য বিষয়টি আমরা কৃষকদের জন্য ওপেন করে দিয়েছি। যে কোনো কৃষক সরকারকে ধান দিতে পারবে। আমরা যদি দাম বাড়িয়ে চাল কিনি তবে চালের সংকট আরও বাড়বে। দামে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। ভোক্তারা কষ্ট পাবে। আমাদের ওএমএস কর্মসূচি চলছে। সামনে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি শুরু হবে। কর্মসূচিগুলো চালু রাখতে আমরা চাল আমদানি করছি।

চাল আমদানির কার্যক্রম তুলে ধরে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, চাল আনতে আমরা টেন্ডার দিয়েছি, ৩৫ টাকা ৩৭ পয়সা করে রেট পড়েছে প্রতি কেজি চালে। গত বুধবার ৫০ হাজার টন আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে ক্রয় কমিটি। সেটার দাম পড়েছে ৩৪ টাকা ৬৭ পয়সা। নতুন করে আবার টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে। ওএমএস যাতে আরও সম্প্রসারণ করতে পারি, সেজন্য আমরা এই চেষ্টা চালাচ্ছি।

সরকার কী পরিমাণ চাল আমদানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে এ ব্যাপারে মন্ত্রী বলেন, এটা বলা ঠিক হবে না। কারণ এই খবরে দাম হঠাৎ কমে যেতে পারে, এতে কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আবার অসাধু ব্যবসায়ী পরিমাণটা জেনে অন্য কোনো ফন্দিও আঁটতে পারে।কৃষকের স্বার্থের বিষয়ে আমরা সজাগ আছি। কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হবে, এমন কিছুই আমরা করব না।

এ বিষয়ে খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক সারোয়ার মাহমুদ বলেন, আমরা চাল আমদানির মাধ্যমে আমাদের মজুত বাড়াব। প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষের যেন কষ্ট না হয় তা দেখছি, ওএমএস কার্যক্রম চলছে। পরিস্থিতি অনুযায়ী, আমরা চাল আমদানি করব। ইতোমধ্যে দেড় লাখ টন চাল আমদানির প্রক্রিয়া চলছে। আরও ৫০ হাজার টনের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে।

বাংলাদেশ অটো মেজর অ্যান্ড হাসকিং মিল মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুর রশিদ বলেন, আমন ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবসায়ী ও মিলাররটা ধান স্টক করে ফেলছে। এতে দামটা বেড়ে গেছে। এতে চাষিরা লাভবান হচ্ছে, তবে মৌসুমে ভোক্তারা যে কম দামে চাল খাবে সেটা আর হচ্ছে না। সবাই মনে করছে ধান রাখলে লাভ হবে, তাই কিনে রাখছে।

তিনি বলেন, সরকার আমদানিতে যেতে পারে। দাম বাড়িয়ে সরকার দেশের মধ্য থেকে চাল কিনলে বাজার আরও অস্থিতিশীল হবে। সরকার যে চাল আমদানির চিন্তা-ভাবনা করছে সেটা খারাপ না।

চালের বাজার নিয়ে বাবুবাজারের পাইকারী চাল ব্যবসায়ী নিজাম উদ্দিন বলেন, মিলে চালের দাম অনেক বেড়েছে, এ কারণে বাজারেও চালের দাম বাড়তি। মূলত ধানের দাম বাড়ার কারণে চালের এই দাম বেড়েছে বলে আমাদের ধারণা। সরকার মিল মালিকদের সঙ্গে বসে চালের একটা দাম নির্ধারণ দিলে সুবিধা হবে। পাশাপাশি চাল আমদানির উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে।

বিজনেস আওয়ার/১৩ ডিসেম্বর, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

বাজার সামলাতে চাল আমদানির সিদ্ধান্ত সরকারের

পোস্ট হয়েছে : ০৩:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২০

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : বাজারে হু হু করে বেড়েই চলছে চালের দাম। চাল ক্রয়ে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে চরমে। তাছাড়া বাজারে চালের দাম বেশি হওয়ায় সরকারের আমন সংগ্রহ কর্মসূচি ব্যর্থ হতে চলেছে। সেইসঙ্গে কমছে সরকারি মজুত। এমন পরিস্থিতিতে বাজার সামাল দিতে আমদানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, আমনের ভরা মৌসুম হলেও ধানের দাম বেশি, এর প্রভাবে পড়ছে চালে। আমন উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম হয়েছে, তাই এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। সরকারি মজুত বাড়ানো এবং প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষকে সুবিধা দিতে খোলা বাজারে চাল বিক্রি (ওএমএস) অব্যাহত রাখা ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির জন্য আমদানিই একমাত্র সমাধান।

কর্মকর্তারা আরও বলছেন, দেড় লাখ টন চাল আমদানির প্রক্রিয়া চলছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় দরপত্রের মাধ্যমে আরও চাল আমদানির উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। জি-টু-জি (সরকার থেকে সরকার) পদ্ধতিতেও চাল আনতে বাজার খোঁজা হচ্ছে।

জানা গেছে, রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে খুচরা পর্যায়ে গত এক সপ্তাহে চালের দাম কেজিতে ৪ টাকা এবং দুই সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ৮ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৬ থেকে ৫০ টাকা কেজি, যা দুই সপ্তাহ আগে ছিল ৪২ থেকে ৪৬ টাকার মধ্যে।

সরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ঢাকা মহানগরীর নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজারদরের শনিবারের (১২ ডিসেম্বর) প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক মাসের ব্যবধানে মোটা চালের দাম বেড়েছে ৫ দশমিক ৭৫ টাকা, বছরের ব্যবধানে বেড়েছে ২৬ দশমিক ০৩ শতাংশ।

চালের দাম বাড়া প্রসঙ্গে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, আমি বিভিন্ন জেলায় খোঁজ রাখছি, বাজারে ধানের দাম বেশি। ধানের দাম বেশি হলে চালের দাম কীভাবে কমবে? আমি তো জোর করে দাম কমাতে পারব না। সাধারণ মানুষ ও কৃষক দুই পক্ষের স্বার্থই আমাদের দেখতে হয়।

তিনি বলেন, এখন প্রতি মণ ধানের দাম এক হাজার ২০০ টাকা। ৬১ কেজি ধানে ৪০ কেজি চাল হয়। তবে তো প্রতিকেজি চালের দাম পড়ে প্রায় ৪৬ টাকা। এর সঙ্গে বহন খরচও আছে। উৎপাদনের হিসাবটা আরও সঠিক হওয়া দরকার। উৎপাদন ঠিক থাকলে তো দাম বাড়ার কথা নয়।

গত ২৮ অক্টোবর খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভায় চলতি আমন মৌসুমে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ২৬ টাকা কেজি দরে ২ লাখ মেট্রিক টন ধান কেনার সিদ্ধান্ত হয়। এছাড়া ৩৭ টাকা কেজি দরে ৬ লাখ টন সিদ্ধ চাল এবং ৩৬ টাকা কেজি দরে ৫০ হাজার টন আতপ চাল কেনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়।

কিন্তু বাজারে ধান চালের দাম অনেক বেশি হওয়ায় সংগ্রহ কার্যক্রমে কোনো অগ্রগতি নেই। সরকারি গুদামে ধান-চাল দিতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না কৃষক ও মিল মালিকরা। খাদ্য অধিদফতরের ৮ ডিসেম্বরের তথ্য অনুযায়ী, ৬৪ টন ধান, ৪ হাজার ১৪১ টন সিদ্ধ চাল ও ১৫ টন আতপ চাল সংগ্রহ করা হয়েছে।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বাজারে ধানের দাম বেশি হওয়ায় কৃষক আমাদের ধান দিচ্ছে না। একইভাবে মিলারটা চাল দিচ্ছেন না। সরকার যদি জোর করে আমন সংগ্রহ চালায় তবে তো বাজার আরও অস্থিতিশীল হয়ে যাবে। তাই এই মুহূর্তে আমদানি করা ছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই।

তিনি বলেন, ধান কেনার জন্য বিষয়টি আমরা কৃষকদের জন্য ওপেন করে দিয়েছি। যে কোনো কৃষক সরকারকে ধান দিতে পারবে। আমরা যদি দাম বাড়িয়ে চাল কিনি তবে চালের সংকট আরও বাড়বে। দামে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। ভোক্তারা কষ্ট পাবে। আমাদের ওএমএস কর্মসূচি চলছে। সামনে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি শুরু হবে। কর্মসূচিগুলো চালু রাখতে আমরা চাল আমদানি করছি।

চাল আমদানির কার্যক্রম তুলে ধরে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, চাল আনতে আমরা টেন্ডার দিয়েছি, ৩৫ টাকা ৩৭ পয়সা করে রেট পড়েছে প্রতি কেজি চালে। গত বুধবার ৫০ হাজার টন আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে ক্রয় কমিটি। সেটার দাম পড়েছে ৩৪ টাকা ৬৭ পয়সা। নতুন করে আবার টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে। ওএমএস যাতে আরও সম্প্রসারণ করতে পারি, সেজন্য আমরা এই চেষ্টা চালাচ্ছি।

সরকার কী পরিমাণ চাল আমদানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে এ ব্যাপারে মন্ত্রী বলেন, এটা বলা ঠিক হবে না। কারণ এই খবরে দাম হঠাৎ কমে যেতে পারে, এতে কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আবার অসাধু ব্যবসায়ী পরিমাণটা জেনে অন্য কোনো ফন্দিও আঁটতে পারে।কৃষকের স্বার্থের বিষয়ে আমরা সজাগ আছি। কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হবে, এমন কিছুই আমরা করব না।

এ বিষয়ে খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক সারোয়ার মাহমুদ বলেন, আমরা চাল আমদানির মাধ্যমে আমাদের মজুত বাড়াব। প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষের যেন কষ্ট না হয় তা দেখছি, ওএমএস কার্যক্রম চলছে। পরিস্থিতি অনুযায়ী, আমরা চাল আমদানি করব। ইতোমধ্যে দেড় লাখ টন চাল আমদানির প্রক্রিয়া চলছে। আরও ৫০ হাজার টনের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে।

বাংলাদেশ অটো মেজর অ্যান্ড হাসকিং মিল মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুর রশিদ বলেন, আমন ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবসায়ী ও মিলাররটা ধান স্টক করে ফেলছে। এতে দামটা বেড়ে গেছে। এতে চাষিরা লাভবান হচ্ছে, তবে মৌসুমে ভোক্তারা যে কম দামে চাল খাবে সেটা আর হচ্ছে না। সবাই মনে করছে ধান রাখলে লাভ হবে, তাই কিনে রাখছে।

তিনি বলেন, সরকার আমদানিতে যেতে পারে। দাম বাড়িয়ে সরকার দেশের মধ্য থেকে চাল কিনলে বাজার আরও অস্থিতিশীল হবে। সরকার যে চাল আমদানির চিন্তা-ভাবনা করছে সেটা খারাপ না।

চালের বাজার নিয়ে বাবুবাজারের পাইকারী চাল ব্যবসায়ী নিজাম উদ্দিন বলেন, মিলে চালের দাম অনেক বেড়েছে, এ কারণে বাজারেও চালের দাম বাড়তি। মূলত ধানের দাম বাড়ার কারণে চালের এই দাম বেড়েছে বলে আমাদের ধারণা। সরকার মিল মালিকদের সঙ্গে বসে চালের একটা দাম নির্ধারণ দিলে সুবিধা হবে। পাশাপাশি চাল আমদানির উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে।

বিজনেস আওয়ার/১৩ ডিসেম্বর, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: