বিজনেস আওয়ার ডেস্ক : এক জন পুরুষ এবং এক জন নারীর মধ্যে সহজীবন-যাপনের শরিয়ত মোতাবেক যে বন্ধন স্থাপিত হয় তারই নাম বিবাহ। বিয়ের বন্ধন কেবলমাত্র গতানুগতিক বা কোনো সামাজিক প্রথা নয়, এটা মানব জীবনের ইহকাল ও পরকালের মানবীয় পবিত্রতা রক্ষার জন্য আল্লাহ পাকের একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ নেয়ামত।
যৌনবাসনা কিংবা বিয়ের সক্ষমতাকে ধ্বংস করে দেয়া ইসলাম বিরোধী কাজ। হাদিসে এসেছে-
- একবার কিছু সাহাবি প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি সাল্লামের কাছে তাদের যৌনবাসনাকে ধ্বংস করে দিতে অনুমতি চাইলো। তিনি তাদেরকে এটা করতে নিষেধ করে দিলেন এবং বিয়ে না করাকে জীবন থেকে পলায়ন করা হিসেবে আখ্যায়িত করলেন। এ জন্য ইসলাম জীবন থেকে পলায়ন করাকে অপছন্দ ঘোষণা করেছেন।
- রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন- মানুষের কী হলো? তারা এমন এমন কথা বলে। কিন্তু আমি নামাজ পড়ি এবং ঘুমাই, নফল রোজা রাখি, আবার কখনও রাখি না। আবার বিয়ে-শাদিও করি। অতএব যে ব্যক্তি আমার সুন্নাত হতে মুখ ফিরিয়ে নেবে সে আমার উম্মতের অন্তর্ভুক্ত নয়।’ (মুসলিম)
বৈবাহিক সম্পর্কের মাধ্যমে নারীকে করা হয়েছে পুরুষের জীবন সঙ্গিনী ও অর্ধাঙ্গিনী। কারণ পুরুষ নিজ জীবনে আপন ভূবনে স্বয়ং সম্পূর্ণ নয় বলেই একজন জীবনসঙ্গিনীর প্রতি একান্ত মুখাপেক্ষী। নারীর অবর্তমানে পুরুষের হৃদয় শূন্য কোঠা সমতুল্য।
বিজনেস আওয়ার/০৪ জুন, ২০২০/এ
ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: