স্পোর্টস ডেস্ক : বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে ম্যাচে সতীর্থ নাসুম আহমেদের সঙ্গে ঘটে যাওয়া অনাকাংখিত ঘটনার জন্য তার কাছেই ক্ষমা চেয়েছেন বেক্সিমকো ঢাকার অধিনায়ক মুশফিকুর রহীম। নিজের ভেরিফায়েড পেজ থেকে দেয়া এক ফেসবুক বার্তায় এ তথ্য নিজেই জানিয়েছেন মুশফিক।
মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে সেই সতীর্থ নাসুম আহমেদের সঙ্গে হাসি মুখে তোলা একটি ছবি পোস্ট করেন মুশফিক। সেখানেই ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টি জানিয়ে দেন তিনি।
বার্তায় মুশফিকুর রহীম লেখেন, সবাইকে আসসালামু আলাইকুম। প্রথমেই গতকাল ম্যাচ চলাকালীন যে অনাকাংখিত ঘটনা ঘটেছে সে ব্যপারে আনুষ্ঠানিকভাবে আমি ক্ষমা চাচ্ছি আমার সকল ভক্ত এবং সমর্থকদের কাছে। আমি ম্যাচের পর এরই মধ্যে আমার টিমমেট নাসুম আহমেদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছি।
দ্বিতীয়ত, আমি সব সময়ই আল্লাহর কাছ থেকে ক্ষমা চাই। আমি সব সময়ই মনে রাখার চেষ্টা করি যে, সব কিছুর ওপর আমিও একজন মানুষ। আমি এমন কোনো আচরণ যেন প্রকাশ না করি যেটা কারো কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। ইনশাআল্লাহ, আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, ভবিষ্যতে আমার দ্বারা মাঠের ভেতর এবং বাইরে এ ধরনের কোনো ঘটনা আর ঘটবে না। জাজাকাল্লাহু খাইর।
এর আগে সোমবার বাঁচা-মরার এলিমিনেটর ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল বেক্সিমকো ঢাকা ও ফরচুন বরিশাল। যেখানে শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে তামিম ইকবালদের বরিশালকে ৯ রানে হারিয়ে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে জায়গা করে নেয় মুশফিকদের ঢাকা। টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় ঘটে বরিশালের।
তবে এ ম্যাচে দ্বিতীয় ইনিংসের ১৭তম ওভারে এক অপ্রীতিকর ঘটনার সাক্ষী হতে যাচ্ছিল মিরপুর স্টেডিয়াম। সেই ওভারের শেষ বলে স্কুপ করতে গিয়ে বল হাওয়ায় ভাসিয়ে দেন বরিশালের ভরসার প্রতীক আফিফ হোসেন ধ্রুব, কিন্তু ধরা পড়েন উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিমের হাতে।
সেসময় ম্যাচ জিততে ১৯ বলে ৪৫ রান প্রয়োজন ফরচুন বরিশালের। বোলার শফিকুল ইসলামের সেই ওভারের আগের পাঁচ বলে ১০ রান উঠেছিল। আফিফকে আউট করার ক্যাচ মুশফিক গ্লাভসবন্দি করলেও ফাইন লেগে দাঁড়ানো নাসুম আহমেদের দিকে আক্রমণাত্মকভাবে তেড়ে যান তিনি, রাগী চোখে নাসুমের মুখে ঘুষি মারার ভঙ্গিমা করেন তিনি।
ঘটনাটি আসলে আফিফের ব্যাটে লেগে বল যখন পেছনের দিকে যাচ্ছিল, মুশফিক আর নাসুমও ধীর পায়ে সামনে এগুচ্ছিলেন। তবে মুশফিক বলের কাছাকাছি চলে যাওয়ায় থেমে যান নাসুম। ক্যাচটি লুফে নেয়ার পর নাসুমের সঙ্গে মৃদু ধাক্কার মতো লাগে মুশফিকের। আর এতেই চটে যান মুশি।
ইনিসের ১৩তম ওভারে এমন আরেকটি ঘটনা ঘটে। বল করছিলেন নাসুম। আফিফ হোসেন মিড অনে বল ঠেলে দেন। তখন দুজনই ফিল্ডিং করতে চলে গিয়েছিলেন সেখানে। নাসুম স্ট্যাম্প ছেড়ে বল ধরতে চলে যান অন্যদিকে কিপিং গ্লাভস হাতে দৌড়ে আসেন মুশফিকও। ঠিক সেসময় স্ট্রাইক প্রান্তটি অরক্ষিত হয়ে পড়ে। বল নেওয়ার পর মুশফিক রেগে গিয়ে নাসুমকে বল ছুঁড়তে মারতে যান।
মুশফিককে এ ম্যাচে আরও কয়েকবার চোটতে দেখা যায়। তবে ম্যাচ জয়ের জন্যই যে তিনি এমন ছিলেন, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। যদিও সঙ্গে সঙ্গে অধিনায়কের কাছে ক্ষমা চান নাসুম, পর মুহূর্তেই আবার তার পিঠ চাপড়ে দেন মুশফিকুর রহিম।
বিজনেস আওয়ার/১৫ ডিসেম্বর, ২০২০/এ