বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : বিএনপি নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশ না নিয়ে, জনগণের কাছে না গিয়ে আন্তর্জাতিক বলয়ে সহায়তা প্রার্থনা করছে। তারা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য অগণতান্ত্রিক পথ খুঁজছে। এসব একটি জনবিচ্ছিন্ন দলের রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বের প্রমাণ। বললেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রামের ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশনাল সেন্টারে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি। চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এদেশ লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে গড়া। এদেশের রাজনৈতিক বোদ্ধা এদেশের জনগণ। জনগণ তাদের নেতৃত্ব ও সরকার নির্বাচন করবে সংবিধানসম্মত উপায়ে। কোনো বিদেশি শক্তি বা সংস্থার ইচ্ছায় আমরা ক্ষমতায় বসিনি। অন্যদিকে কখনো পরাশ্রয়ী আন্দোলন, কখনো আগুন সন্ত্রাসের উপর ভর করে বিএনপি রাজনীতি করছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির অন্ধ ও নেতিবাচক রাজনীতি তাদেরকে জনবিচ্ছিন্ন করছে। সন্ত্রাসনির্ভর করে তুলেছে। এখন তারা মরণ কামড় দিতে চায়। এদেশের ১৭ কোটি জনতা তাদের ষড়যন্ত্র রুখে দেবে, তারা রুখে দাঁড়াবে, আমি সেই আশা পোষণ করছি।
তিনি বলেন, রাজনীতিকে বিএনপি জনগণের দুয়ার থেকে বিদেশি দূতাবাসের দরজায় নিয়ে গেছে। জনগণের কাছে না গিয়ে তারা করছে দেশে-বিদেশে নালিশের রাজনীতি। তারা দেশের মানুষের কাছে নালিশ দিতে চায় না। তারা নালিশ দিতে যায় বিদেশিদের কাছে। বিএনপি এখন বাংলাদেশ ন্যাশনাল নালিশ পার্টিতে পরিণত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বঙ্গবন্ধু কন্যা একটি অসাম্প্রদায়িক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার কাজ করে যাচ্ছেন। অথচ বিএনপি উগ্র সাম্প্রদায়িক শক্তিকে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে দেশের অগ্রগতির পথকে রুদ্ধ করছে। যারা ৭১’ এ একটি মুক্ত-স্বাধীন দেশ চায়নি, তারা এদেশের এগিয়ে যাওয়া মেনে নিতে পারছে না।
সেতুমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার স্থপিতকে হত্যার মধ্য দিয়ে বিএনপির রাজনীতির শুরু, তারা এখনো সুযোগ খুঁজছে। পদে পদে তারা বঙ্গবন্ধুকে ছোট করতে চায়। পদে পদে তারা জাতির পিতার অবমাননা করতে চায়। তাই আমাদের প্রতিটি নেতা-কর্মীকে সজাগ থাকতে হবে। এখন চট্টগ্রামের দিকে সারা দেশ তাকিয়ে আছে।
চট্টগ্রামের নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, আমি ধন্যবাদ জানাই বীর চট্টলাকে। আবারো নতুন করে বীরত্বের বেশে আমরা দেখতে পেলাম। বঙ্গবন্ধুকে অবমাননাকারী ভাস্কর্যবিরোধী বক্তব্য যারা দিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম আবারো বীরের মতো দাঁড়িয়েছে। তাদের প্রতিহত করেছে। সেজন্য আমি চট্টগ্রামের নেতাকর্মী ও ভাইবোনদের আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
আলোচনা সভায় উপস্থিত আরো উপস্থিত ছিলেন প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর সন্তান ও শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান এম জহিরুল আলম দোভাষ ও মহানগর আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা।
বিজনেস আওয়ার/১৫ ডিসেম্বর, ২০২০/এ