বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের আস্থা থেকে দূরে সরে গেছে। একদলীয় শাসনই এই সরকারের টিকে থাকার একমাত্র ভরসা। তাই দেশকে বিরোধী দলহীন করার জন্য সরকার তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী ও সরকারী যন্ত্রকে লাগামহীনভাবে ব্যবহার করছে। বললেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শুক্রবার (১৮ ডিসেম্বর) দলের সহ-দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকারের ভয়াবহ দুঃশাসন মোকাবিলার লক্ষ্যে দল-মত নির্বিশেষে সবাইকে এই মুহূর্তে ঐক্যবদ্ধ হয়ে একদলীয় শাসনের অবসান ঘটাতে হবে। তা না হলে দেশ থেকে দুর্দিন কখনো যাবে না। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের অনুপস্থিতির কারণেই নির্বাচন নিয়ে দুর্বৃত্তদের দৌরাত্ম্য বেড়েই চলেছে।
তিনি বলেন, বিনাভোটে স্থানীয় ক্ষমতা আয়ত্তে নিতে বিএনপিসহ বিরোধী প্রার্থীদের ওপর চালানো হচ্ছে নির্যাতন-নিপীড়ন। জনগণের কাছে জবাবদিহিতা নেই বলেই ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী আধিপত্য বজায় রাখতে বিরোধী প্রার্থীদের রক্তে হাত রঞ্জিত করছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকার ভোট নিয়ে হুমকি প্রদান ও আতঙ্ক সৃষ্টি করছে, যাতে ভোটাররা নির্বাচনী পদ্ধতি ভুলে যায়। আর সেটারই ধারাবাহিক অংশ হিসেবে কুমিল্লার লাকসামে পৌর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের দ্বারা সশস্ত্র তাণ্ডব চালানো হচ্ছে।
লাকসাম পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী বেলাল রহমান মজুমদার, কাউন্সিলর প্রার্থী ও পৌর যুবদলের সাবেক সভাপতি মাহবুবুর রহমান মানিক, পৌর শ্রমিক দলের সভাপতি বাবুল মিয়া, বিএনপি নেতা শাহ আলমের ওপর আওয়ামী সন্ত্রাসীদের নিষ্ঠুর হামলা এবং তাদেরকে গুরুতর আহত করার ঘটনায় এটি সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয় যে, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান দূরের কথা, বিএনপিসহ বিরোধী প্রার্থীদের ওপর জুলুম-নির্যাতন চালিয়ে বিনা ভোটে নিজেদের প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করা হবে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আরও বলেন, আমি অবিলম্বে লাকসামে বিএনপির সম্ভাব্য মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের ওপর হামলাকারীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানাচ্ছি। আহতদের সুস্থতা কামনা করছি।
বিজনেস আওয়ার/১৮ ডিসেম্বর, ২০২০/এ