ঢাকা , শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গায় শীতের তীব্রতা বেড়েছে

  • পোস্ট হয়েছে : ১১:৩৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২০
  • 51

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক (চুয়াডাঙ্গা) : তীব্র শীতে কাপছে গোটা দেশ। পুরো মৌসুমে তিনটি শৈত্যপ্রবাহের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। উত্তরাঞ্চল ছাড়িয়ে পশ্চিমাঞ্চল তথা চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, যশোরেও শৈত্যপ্রবাহের বিস্তার ঘটছে।

চুয়াডাঙ্গায় গত মঙ্গলবার রাত থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা এক লাফে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে ৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ঠেকেছে। ফলে গতরাতে শীতের তীব্রতা আরও বেড়েছে। যা চলতি মৌসুমে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।

শৈত্যপ্রবাহে দুর্ভোগ বেড়েছে ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষের। রোগ-বালাইও বাড়ছে। এদিকে, শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ শুরু করেছে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন। শনিবার রাতে ২’শ জন অসহায় দুস্থদের মাঝে কম্বল বিতরণ করেছেন জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার।

এ সময় তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে শীতার্ত মানুষের জন্য এ পর্যন্ত ২০ হাজার ৭০০ কম্বল ও নগদ ২৪ লাখ টাকা আর্থিক সহযোগিতা পাওয়া গেছে। এগুলো জেলার চার উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের অনুকূলে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে যা বিতরণ করা হচ্ছে। প্রয়োজনে আরও চাহিদা পাঠানো হবে।

তিনি বলেন, ভৌগলিক কারণে চুয়াডাঙ্গায় শীতের সময় বেশি শীত ও গরমের সময় বেশি গরম অনুভূত হয়। এখন শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। তাই এই কঠিন সময়ে প্রশাসনের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবানসহ স্বচ্ছল ব্যক্তিদের অসহায় ও দুস্থ মানুষের সহযোগিতায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

কম্বল বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ সাদিকুর রহমান, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইসরাত জাহান, জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর আমজাদ হোসেনসহ জেলার অন্যান্ন কর্মকর্তারা।

আবহাওয়া দপ্তর চুয়াডাঙ্গার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম জানান, বাতাসের গতি তীব্র হওয়ায় শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে। তীব্র শীতের কারণে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না। কিন্তু হতদরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষের জীবিকার সন্ধানে বের হতে হচ্ছে। তাঁরা চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু বিভাগের পরামর্শক মাহবুবুর রহমান জানান, হাসপাতালে ৫০টি শিশু ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে। এর মধ্যে বেশির ভাগই নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত। এ ছাড়া গতকাল বহির্বিভাগে ১২৭টি শিশুকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

বিজনেস আওয়ার/২০ ডিসেম্বর, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

চুয়াডাঙ্গায় শীতের তীব্রতা বেড়েছে

পোস্ট হয়েছে : ১১:৩৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২০

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক (চুয়াডাঙ্গা) : তীব্র শীতে কাপছে গোটা দেশ। পুরো মৌসুমে তিনটি শৈত্যপ্রবাহের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। উত্তরাঞ্চল ছাড়িয়ে পশ্চিমাঞ্চল তথা চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, যশোরেও শৈত্যপ্রবাহের বিস্তার ঘটছে।

চুয়াডাঙ্গায় গত মঙ্গলবার রাত থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা এক লাফে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে ৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ঠেকেছে। ফলে গতরাতে শীতের তীব্রতা আরও বেড়েছে। যা চলতি মৌসুমে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।

শৈত্যপ্রবাহে দুর্ভোগ বেড়েছে ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষের। রোগ-বালাইও বাড়ছে। এদিকে, শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ শুরু করেছে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন। শনিবার রাতে ২’শ জন অসহায় দুস্থদের মাঝে কম্বল বিতরণ করেছেন জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার।

এ সময় তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে শীতার্ত মানুষের জন্য এ পর্যন্ত ২০ হাজার ৭০০ কম্বল ও নগদ ২৪ লাখ টাকা আর্থিক সহযোগিতা পাওয়া গেছে। এগুলো জেলার চার উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের অনুকূলে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে যা বিতরণ করা হচ্ছে। প্রয়োজনে আরও চাহিদা পাঠানো হবে।

তিনি বলেন, ভৌগলিক কারণে চুয়াডাঙ্গায় শীতের সময় বেশি শীত ও গরমের সময় বেশি গরম অনুভূত হয়। এখন শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। তাই এই কঠিন সময়ে প্রশাসনের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবানসহ স্বচ্ছল ব্যক্তিদের অসহায় ও দুস্থ মানুষের সহযোগিতায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

কম্বল বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ সাদিকুর রহমান, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইসরাত জাহান, জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর আমজাদ হোসেনসহ জেলার অন্যান্ন কর্মকর্তারা।

আবহাওয়া দপ্তর চুয়াডাঙ্গার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম জানান, বাতাসের গতি তীব্র হওয়ায় শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে। তীব্র শীতের কারণে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না। কিন্তু হতদরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষের জীবিকার সন্ধানে বের হতে হচ্ছে। তাঁরা চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু বিভাগের পরামর্শক মাহবুবুর রহমান জানান, হাসপাতালে ৫০টি শিশু ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে। এর মধ্যে বেশির ভাগই নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত। এ ছাড়া গতকাল বহির্বিভাগে ১২৭টি শিশুকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

বিজনেস আওয়ার/২০ ডিসেম্বর, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: