ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আমদানি করা চাল বাজারে আসছে

  • পোস্ট হয়েছে : ১২:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২০
  • 108

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : বাজারে চালের সরবরাহ বাড়াতে জিটুজি পদ্ধতিতে চাল আমদানি করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ইতোমধ্যেই প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে জিটুজি পদ্ধতিতে আমদানি করা ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) দেশে পৌঁছেছে।

আগামী এক মাসের মধ্যে আরও এক লাখ টন চাল একই পদ্ধতিতে ভারত থেকে দেশে এসে পৌঁছাবে। প্রয়োজনে ভারতের বাইরেও অন্য দেশ থেকে চাল আমদানি করে সরকারি মজুত বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে সরকার। এতে চালের বাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।

আর এসব আমদানিকৃত চাল সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে ব্যবহার করে বাজারে চালের সরবরাহ বাড়ানো হবে। ফলে চালের দাম কমে আসবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

বেশ কিছুদিন ধরেই চালের বাজার ঊর্ধ্বমুখী। যে মৌসুমে মাঠের ধান কৃষকের গোলায় উঠছে, সে সময়ে বাজারে চালের এই মূল্য বৃদ্ধি সরকারকে কিছুটা ভাবিয়ে তুলেছে। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের আদেশ-নির্দেশের পরেও চালের বাজারে কোনও পরিবর্তন আসেনি, কমেনি চালের দাম, উল্টো আরও বেড়েছে।

চালের সরবরাহ বাড়ানো এবং দাম কমানোর বিষয়ে মিলারদের প্রতি বিভিন্ন হুমকি-ধামকি, আদেশ-নির্দেশ, অনুরোধ করলেও তাতে তারা কর্ণপাত করেনি। নানা জটিলতা কাটিয়েও এ বছর আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে বলে কৃষি মন্ত্রণালয় দাবি করলেও এ তথ্য সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

তারা বলেছেন, এ বছর বন্যায় পানিতে ভেসে আসা পলির কারণে ধানের উৎপাদন কম হয়েছে। প্রতি একরে ৪০ মণ ধান হওয়ার কথা থাকলেও এ বছর ২৫ থেকে ২৬ মণের বেশি কোথাও ধান উৎপাদন হয়নি। আসলে ধানের উৎপাদন কম হওয়ার কারণেই চাহিদা অনুযায়ী বাজারে ধানের সরবরাহ হচ্ছে না। এতে ধানের দাম অতীতের তুলনায় বেশি।

এদিকে এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে প্রধানমন্ত্রী চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছেন বলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।

দেশের সর্বত্র সরকারের ওএমএস কার্যক্রম না চললেও যেসব জেলায় চলছে সেসব জেলায় তা চালানোসহ আরও কিছু কর্মসূচি গ্রহণের পরিকল্পনা করছে সরকার। এসব কর্মসূচি বাস্তবায়নে দেওয়া হবে চাল। একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি পেলে কাবিটা (কাজের বিনিময়ে টাকা) আবারও পরিবর্তন করে কাবিখা (কাজের বিনিময়ে খাদ্য) করারও পরিকল্পনা রয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এসব কর্মসূচি বাস্তবায়নের ফলে বাজারে সরকারের আমদানি করা চালের সরবরাহ ব্যাপকহারে বাড়বে। যা দাম কমার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে।

জানা গেছে, এই সময়ে বাজারে সব ধরনের চালের দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। গত যে কোনও সময়ের তুলনায় এই সময়ে মোটা চালের দাম তুলনামূলক কম থাকলেও এবার সমানতালে বেড়েছে সব ধরনের চালের দাম। ফলে নিম্নআয়ের মানুষকে পড়তে হয়েছে কিছুটা বিপাকে।

করোনাপরবর্তী সময়ে অনেকেরই আয়-রোজগারে ভাটা পড়েছে। অনেকেই হয়েছেন বেকার। কারও কারও আয় কমেছে অর্ধেকের বেশি। এমন পরিস্থিতিতে অপ্রত্যাশিতভাবে চালের এই মূল্য বৃদ্ধি জীবনযাত্রা পরিচালনায় বেগ পেতে হচ্ছে। এদের বেশির ভাগই নিম্নমধ্য আয়ের মানুষ।

জানা গেছে, ৫০ কেজি ওজনের উন্নতমানের মিনিকেটের বস্তা এখন ৩১৫০ থেকে ৩২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি বস্তায় চালের দাম বেড়েছে কমপক্ষে ১০০ টাকা। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ২ হাজার ৮৫০ টাকা থেকে ৩ হাজার টাকা।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলছে, নিয়মিত বাজার মনিটরিং চলছে। তবে চালের বাজার দেখভাল করছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। এছাড়াও সরকারি পর্যায়ে জিটুজি পদ্ধতিতে চাল আমদানি হচ্ছে। এসব চাল বাজারে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

খাদ্য মন্ত্রণালয় বলছে, বাজারে চালের সংকট কৃত্রিম। অধিক মুনাফার আশায় তারা বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে সরবরাহে বাধা সৃষ্টি করছে। এতে ধানের দাম বেড়েছে। তবে এ দাম আর বাড়বে না।

চালের দাম বাড়ানোর ক্ষেত্রে খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা মিল মালিকদের দায়ী করছেন। অপরদিকে মিল-মালিকরা বলছেন, ধানের দাম বেশি হলে চালের দাম কম হবে কীভাবে? ১২শ টাকা মণ দরে ধান কিনলে চালের বাজার তো চড়বেই। তারা বলছেন, আরও বেশি দাম পাওয়ার আশায় অনেকেই ধান বিক্রি করছেন না। এতে বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো এবং ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের তথ্যানুযায়ী, গত এক দশকে (২০১০-১১ অর্থবছর) প্রতি কেজি (মাঝারি মানের) চালের গড় দাম ছিল ৪১ টাকা, যা বর্তমান বাজারে ৬০ টাকায় কিনতে হচ্ছে । গত অর্থবছরও (২০১৯-২০) প্রতি কেজি চালের গড় দাম ছিল ৫৬ টাকা।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ অটো মেজর অ্যান্ড হাসকিং মিল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক লায়েক আলী জানিয়েছেন, ধানের দাম বেশি হওয়ায় চালের দাম বেড়েছে। তবে এর বেশি আর বাড়বে না। বাজারে চালের সরবরাহ বাড়াতে পারলেও বাজার নিয়ন্ত্রণে আসবে। এ দায়িত্বটি সরকারকে পালন করতে হবে।

লায়েক আলী জানান, আসলে এ বছর ধানের উৎপাদন কম হয়েছে। একর প্রতি ৪০ মণের স্থলে এ বছর প্রতি একরে ২৬ মণ ধান উৎপাদন হয়েছে। এখানে ধানের বড় ঘাটতি তৈরি হয়েছে। এটি বাস্তবতা।

বাদামতলী-বাবুবাজার চাল আড়তদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন জানিয়েছেন, এখনও কোনও কৃত্রিম সংকট নেই। ধানের দাম বেশি হওয়ার কারণেই চালের দাম বেড়েছে। বাজারে কেউ সংকট তৈরি করেনি। তবে কৃষকদের মধ্যে অনেকেই আরও বেশি দাম পাওয়ার আশায় উৎপাদিত ধান গোলায় ভরে রেখেছেন।

তিনিও বলেছেন, তবে এ দাম আর বাড়বে না। এক সময় এসব ধান বাজারে চলে এলে বাজার স্বাভাবিক হবে। তিনি আরও জানান, দেশের কোথাও ১২শ টাকার কমে ধান পাওয়া যাচ্ছে না।

চালের বাজার আগামীতে কীভাবে নিয়ন্ত্রণে আনা হবে সে বিষয়ে জানতে চাইলে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার ও সচিব মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম উভয়েই বিষয়টি কৌশলে এড়িয়ে গেছেন। এরা কেউই কোনও মন্তব্য করেননি।

বিজনেস আওয়ার/২২ ডিসেম্বর, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

আমদানি করা চাল বাজারে আসছে

পোস্ট হয়েছে : ১২:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২০

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : বাজারে চালের সরবরাহ বাড়াতে জিটুজি পদ্ধতিতে চাল আমদানি করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ইতোমধ্যেই প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে জিটুজি পদ্ধতিতে আমদানি করা ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) দেশে পৌঁছেছে।

আগামী এক মাসের মধ্যে আরও এক লাখ টন চাল একই পদ্ধতিতে ভারত থেকে দেশে এসে পৌঁছাবে। প্রয়োজনে ভারতের বাইরেও অন্য দেশ থেকে চাল আমদানি করে সরকারি মজুত বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে সরকার। এতে চালের বাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।

আর এসব আমদানিকৃত চাল সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে ব্যবহার করে বাজারে চালের সরবরাহ বাড়ানো হবে। ফলে চালের দাম কমে আসবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

বেশ কিছুদিন ধরেই চালের বাজার ঊর্ধ্বমুখী। যে মৌসুমে মাঠের ধান কৃষকের গোলায় উঠছে, সে সময়ে বাজারে চালের এই মূল্য বৃদ্ধি সরকারকে কিছুটা ভাবিয়ে তুলেছে। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের আদেশ-নির্দেশের পরেও চালের বাজারে কোনও পরিবর্তন আসেনি, কমেনি চালের দাম, উল্টো আরও বেড়েছে।

চালের সরবরাহ বাড়ানো এবং দাম কমানোর বিষয়ে মিলারদের প্রতি বিভিন্ন হুমকি-ধামকি, আদেশ-নির্দেশ, অনুরোধ করলেও তাতে তারা কর্ণপাত করেনি। নানা জটিলতা কাটিয়েও এ বছর আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে বলে কৃষি মন্ত্রণালয় দাবি করলেও এ তথ্য সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

তারা বলেছেন, এ বছর বন্যায় পানিতে ভেসে আসা পলির কারণে ধানের উৎপাদন কম হয়েছে। প্রতি একরে ৪০ মণ ধান হওয়ার কথা থাকলেও এ বছর ২৫ থেকে ২৬ মণের বেশি কোথাও ধান উৎপাদন হয়নি। আসলে ধানের উৎপাদন কম হওয়ার কারণেই চাহিদা অনুযায়ী বাজারে ধানের সরবরাহ হচ্ছে না। এতে ধানের দাম অতীতের তুলনায় বেশি।

এদিকে এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে প্রধানমন্ত্রী চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছেন বলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।

দেশের সর্বত্র সরকারের ওএমএস কার্যক্রম না চললেও যেসব জেলায় চলছে সেসব জেলায় তা চালানোসহ আরও কিছু কর্মসূচি গ্রহণের পরিকল্পনা করছে সরকার। এসব কর্মসূচি বাস্তবায়নে দেওয়া হবে চাল। একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি পেলে কাবিটা (কাজের বিনিময়ে টাকা) আবারও পরিবর্তন করে কাবিখা (কাজের বিনিময়ে খাদ্য) করারও পরিকল্পনা রয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এসব কর্মসূচি বাস্তবায়নের ফলে বাজারে সরকারের আমদানি করা চালের সরবরাহ ব্যাপকহারে বাড়বে। যা দাম কমার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে।

জানা গেছে, এই সময়ে বাজারে সব ধরনের চালের দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। গত যে কোনও সময়ের তুলনায় এই সময়ে মোটা চালের দাম তুলনামূলক কম থাকলেও এবার সমানতালে বেড়েছে সব ধরনের চালের দাম। ফলে নিম্নআয়ের মানুষকে পড়তে হয়েছে কিছুটা বিপাকে।

করোনাপরবর্তী সময়ে অনেকেরই আয়-রোজগারে ভাটা পড়েছে। অনেকেই হয়েছেন বেকার। কারও কারও আয় কমেছে অর্ধেকের বেশি। এমন পরিস্থিতিতে অপ্রত্যাশিতভাবে চালের এই মূল্য বৃদ্ধি জীবনযাত্রা পরিচালনায় বেগ পেতে হচ্ছে। এদের বেশির ভাগই নিম্নমধ্য আয়ের মানুষ।

জানা গেছে, ৫০ কেজি ওজনের উন্নতমানের মিনিকেটের বস্তা এখন ৩১৫০ থেকে ৩২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি বস্তায় চালের দাম বেড়েছে কমপক্ষে ১০০ টাকা। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ২ হাজার ৮৫০ টাকা থেকে ৩ হাজার টাকা।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলছে, নিয়মিত বাজার মনিটরিং চলছে। তবে চালের বাজার দেখভাল করছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। এছাড়াও সরকারি পর্যায়ে জিটুজি পদ্ধতিতে চাল আমদানি হচ্ছে। এসব চাল বাজারে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

খাদ্য মন্ত্রণালয় বলছে, বাজারে চালের সংকট কৃত্রিম। অধিক মুনাফার আশায় তারা বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে সরবরাহে বাধা সৃষ্টি করছে। এতে ধানের দাম বেড়েছে। তবে এ দাম আর বাড়বে না।

চালের দাম বাড়ানোর ক্ষেত্রে খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা মিল মালিকদের দায়ী করছেন। অপরদিকে মিল-মালিকরা বলছেন, ধানের দাম বেশি হলে চালের দাম কম হবে কীভাবে? ১২শ টাকা মণ দরে ধান কিনলে চালের বাজার তো চড়বেই। তারা বলছেন, আরও বেশি দাম পাওয়ার আশায় অনেকেই ধান বিক্রি করছেন না। এতে বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো এবং ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের তথ্যানুযায়ী, গত এক দশকে (২০১০-১১ অর্থবছর) প্রতি কেজি (মাঝারি মানের) চালের গড় দাম ছিল ৪১ টাকা, যা বর্তমান বাজারে ৬০ টাকায় কিনতে হচ্ছে । গত অর্থবছরও (২০১৯-২০) প্রতি কেজি চালের গড় দাম ছিল ৫৬ টাকা।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ অটো মেজর অ্যান্ড হাসকিং মিল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক লায়েক আলী জানিয়েছেন, ধানের দাম বেশি হওয়ায় চালের দাম বেড়েছে। তবে এর বেশি আর বাড়বে না। বাজারে চালের সরবরাহ বাড়াতে পারলেও বাজার নিয়ন্ত্রণে আসবে। এ দায়িত্বটি সরকারকে পালন করতে হবে।

লায়েক আলী জানান, আসলে এ বছর ধানের উৎপাদন কম হয়েছে। একর প্রতি ৪০ মণের স্থলে এ বছর প্রতি একরে ২৬ মণ ধান উৎপাদন হয়েছে। এখানে ধানের বড় ঘাটতি তৈরি হয়েছে। এটি বাস্তবতা।

বাদামতলী-বাবুবাজার চাল আড়তদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন জানিয়েছেন, এখনও কোনও কৃত্রিম সংকট নেই। ধানের দাম বেশি হওয়ার কারণেই চালের দাম বেড়েছে। বাজারে কেউ সংকট তৈরি করেনি। তবে কৃষকদের মধ্যে অনেকেই আরও বেশি দাম পাওয়ার আশায় উৎপাদিত ধান গোলায় ভরে রেখেছেন।

তিনিও বলেছেন, তবে এ দাম আর বাড়বে না। এক সময় এসব ধান বাজারে চলে এলে বাজার স্বাভাবিক হবে। তিনি আরও জানান, দেশের কোথাও ১২শ টাকার কমে ধান পাওয়া যাচ্ছে না।

চালের বাজার আগামীতে কীভাবে নিয়ন্ত্রণে আনা হবে সে বিষয়ে জানতে চাইলে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার ও সচিব মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম উভয়েই বিষয়টি কৌশলে এড়িয়ে গেছেন। এরা কেউই কোনও মন্তব্য করেননি।

বিজনেস আওয়ার/২২ ডিসেম্বর, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: