বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সাংসদ কাজী সহিদ ইসলাম পাপুলসহ ৪ জনের ৬১৭ ব্যাংক একাউন্ট ফ্রিজের আদেশে দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে ৯২টি তফসিলভুক্ত স্থাবর সম্পত্তির কোক্রের নির্দেশ দেন। রোববার (২৭ ডিসেম্বর) শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এ আদেশ দেন।
সংশ্লিষ্ট দুদকের আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, দুদকের পক্ষ থেকে এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক এ আদেশ দেন।
এর আগে, দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ দুদকের উপ-পরিচালক সালাহউদ্দিন বাদী হয়ে গত ১১ নভেম্বর পাপুলসহ চার জনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন। মামলার অপর আসামিরা হলেন পাপুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম, শ্যালিকা জেসমিন প্রধান এবং মেয়ে ওয়াফা ইসলাম।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, আসামিদের বিরুদ্ধে ২ কোটি ৩১ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ ও ১৪৮ কোটি টাকার লন্ডারিংয়ের অভিযোগ আনা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের আড়ালে জেসমিন প্রধানের পাঁচটি হিসাবের মাধ্যমে ২০১২ সাল থেকে ২০২০ পর্যন্ত লন্ডারিং হয় ১৪৮ কোটি টাকা। অথচ মাত্র বয়স ২৩ বছর বয়সী জেসমিনের নিজের কোনো আয়ের উৎস নেই।
অন্যদিকে এফডিআর হিসাবের ২ কোটি ৩১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৩৮ টাকার কোনো উৎস শ্যালিকা জেসমিন দাখিল করতে পারেননি। যে কারণে কাজী সহিদ ইসলাম পাপুল এবং তার স্ত্রী এমপি সেলিনা ইসলাম, শ্যালিকা জেসমিন প্রধান ও মেয়ে ওয়াফা ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাটি পববর্তী তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি ধার্য রয়েছে।
বিজনেস আওয়ার/২৭ ডিসেম্বর, ২০২০/এ