বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : ২০১৩ সালের ২১ ডিসেম্বর রাজধানীর ওয়ারী এলাকার গোপীবাগের বাসায় পীর লুৎফর রহমান ফারুকসহ ৬ জন খুন হন। ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্ত শেষ হয়নি ৭ বছরেও। কবে নাগাদ শেষ হবে তাও বলতে পারছেন না তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। মামলাটি বর্তমানে তদন্ত করছে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট।
জানা গেছে, রোববার (২০ ডিসেম্বর) তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু সেদিন মামলাটির তদন্ত সংস্থা কাউন্টার টেররিজম ইউনিট প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি। শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কনক বড়ুয়া আগামী ১৯ জানুয়ারি প্রতিবেদন দাখিলের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন।
এ প্রসঙ্গে মামলার বাদী ও নিহত লুৎফর রহমান ফারুকের ছেলে আব্দুল্লাহ আল ফারুক বলেন, ৭ বছর হয়ে গেল, এখনও মামলার তদন্তই শেষ হলো না। বিচার তো দূরের কথা। মামলার কোনো অগ্রগতি নেই। নতুন তদন্ত কর্মকর্তা আসে আবার বদলি হয়। এভাবে চলছে মামলার কার্যক্রম। কবে তদন্ত শেষ হবে আবার কবে বিচার পাবো?
ফারুক বলেন, বাবা, বড় ভাইকে হারিয়েছি। ছয় স্বজন হারানোর শোক সামাল দিতে অনেক কষ্ট হয়েছে। জীবন কারও জন্য থেমে না থাকলেও প্রিয় মানুষদের অভাব অনুভব হয় ক্ষণে ক্ষণে। সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি, উপস্থাপক মাওলানা ফারুকী হত্যাসহ অনেক আলোচিত মামলার তদন্তই শেষ হচ্ছে না। এমন অমানবিক ঘটনার বিচার হলে খুশি হবো।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিটিটিসির পুলিশ পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সপ্তাহখানেক হলো মামলার তদন্তভার আমাকে দেওয়া হয়েছে। মামলার কাগজপত্র দেখলাম। এ বিষয়ে আমি এখন কিছু বলতে পারছি না। তবে তদন্ত শেষ করার জন্য যা যা করার দরকার, করব।
আসামি গোলাম সারওয়ার রাহাত ও আজমির অমিতের আইনজীবী মামুন মিয়া বলেন, আসামিরা ভিকটিমাইজড। তাদের নিয়মিত আদালতে হাজিরা দিতে হচ্ছে। মামলার তদন্ত শেষ হচ্ছে না। আমরাও চাই, মামলার তদন্ত দ্রুত শেষ হোক। সুষ্ঠু তদন্ত শেষে যারা মিথ্যাভাবে ভিকটিমাইজড তারা অব্যাহতি পাবেন। আর যদি কেউ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকেন তাহলে তাদেরও বিচার হবে।
পীর লুৎফর রহমান ফারুকসহ ছয়জন নির্মমভাবে খুনের ঘটনায় তার ছেলে আব্দুল্লাহ আল ফারুক ২০১৩ সালের ২১ ডিসেম্বর ওয়ারী থানায় মামলা করেন। মামলায় ৯ জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে দুই জন জামিনে আছেন। বাকি ৭ আসামি কারাগারে আছেন।
মামলার আসামিতরা হলেন হাদিসুর রহমান সাগর, জুলফিকার বিন সাদ ওরফে আবু ওয়াক্কাস, মামুনুর রশীদ রিপন, সৈয়দ জিয়াউল ইসলাম ওরফে জিতু ওরফে নিরব ওরফে নিয়ন ওরফে হিমু, সৈয়দ আল আমিন, তরিকুল ইসলাম, আবু রায়হান ওরফে মাহমুদ ওরফে আ. হাদী, মো. আজমির অমিত ও মো. গোলাম সরোয়ার। এদের মধ্যে আজমির অমিত ও গোলাম সরোয়ার জামিনে আছেন।
বিজনেস আওয়ার/০৩ জানুয়ারি, ২০২০/এ