বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: দেশে করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা দিনদিন বেড়েই চলেছে। প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে নতুন রোগী শনাক্ত হয়ছেন আরও ৯১০ জন। সুস্থ হয়েছেন আরও ৯১৭ জন। শনাক্ত ও সুস্থতা হাজারের নিচে নেমেছে।
সোমবার (০৪ জানুয়ারি) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত করোনাভাইরাস বিষয়ক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৪ জনসহ দেশে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে সাত হাজার ৬৫০ জনের।
এদের মধ্যে হাসপাতালেই মারা গেছেন ২৪ জন। মৃত ২৪ জনের মধ্যে ১৮ জন পুরুষ ও নারী ছয় জন। গত ২৪ ঘন্টায় শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৮ শতাংশ।
মৃতদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৭ জন, রাজশাহী বিভাগে তিন জন। এছাড়া চট্টগ্রাম ও খুলনা বিভাগে দুই জন করে চার জন রয়েছেন। এদের মধ্যে হাসপাতালেই মারা গেছেন ২৪ জন। মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে ১৪ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে আট জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে এক জন, ১০ বছরের নিচে এক জন রয়েছেন।
করোনা ভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘন্টায় সারাদেশে সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৮০টি ল্যাবে ১২ হাজার ৯৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ সময় নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে আরও ৯১০ জন। এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৫ লাখ ১৬ হাজার ৯২৯ জন হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ৭ দশমিক ৫২ শতাংশ।
রোববারের বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও ৯১৭ হাজার জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত এক দিনে। তাতে এ পর্যন্ত সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ৪ লাখ ৬১ হাজার ৫১৫ জন হয়েছে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ২৮ শতাংশ।
বিশ্বে শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে সাড়ে ৮ কোটি ৫১ লাখ পেরিয়েছে, মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৮ লাখ ৪৩ হাজার। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ২৭তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩৬তম অবস্থানে।
উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়। এরপর প্রথম দিকে কয়েকজন করে নতুন আক্রান্ত রোগীর খবর মিললেও এখন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। প্রথম আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ার ঠিক ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম কোন রোগীর মৃত্যু হয়।
বিজনেস আওয়ার/০৪ জানুয়ারি, ২০২০/এ