বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : ব্যাংকখাতে আমানতের সুদ কমে যাওয়ায় মানুষ এখন ঝুঁকছে সঞ্চয়পত্রের দিকে। যে কারণে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ বেড়েছে। ২০২০-২১ অর্থবছরে সরকার সঞ্চয়পত্র থেকে ২০ হাজার কোটি টাকা ঋণ গ্রহণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।
জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের হিসাবে নভেম্বর মাস পর্যন্ত ১৯ হাজার ৪৪ কোটি ৯২ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে। অর্থাৎ চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসেই বিক্রি হয়েছে লক্ষ্যমাত্রার ৯৫ দশমিক ২২ শতাংশ সঞ্চয়পত্র।
চলতি বছরের অর্থবছরের জুলাই থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত সঞ্চয়পত্রের প্রকৃত বিক্রির পরিমাণ ছিল ১৩ হাজার ৯০৩ কোটি ২৮ লাখ টাকা। ২০১৯-২০ অর্থবছরের একই সময়ে বিক্রির পরিমাণ ছিল ৫১৪১ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।
নভেম্বর মাসে সঞ্চয়পত্র বিক্রি ৯৬১ দশমিক ২৫ শতাংশ বা ৩ হাজার ৮১ কোটি টাকা বেড়েছে। আগের অর্থবছরের একই সময়ে বিক্রির পরিমাণ ছিল ৩২০ কোটি ৬২ লাখ টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে সরকারের বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। বছর শেষে বিক্রির পরিমাণ ৪০ হাজার কোটি টাকা অতিক্রম করতে পারে।
সঞ্চয় অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরের অক্টোবর শেষে বিক্রির পরিমাণ ৩৯০ দশমিক ২৫ শতাংশ বেড়ে ৩ হাজার ২১১ কোটি ৫৮ লাখ টাকা হয়েছে। ২০১৯ সালের অক্টোবর শেষে বিক্রির পরিমাণ ছিল ৮২২ কোটি ৯৫ লাখ টাকা।
চলতি বছরের ১ এপ্রিল থেকে ঋণের সুদ ৯ শতাংশ বাস্তবায়ন করার পরে অধিকাংশ ব্যাংক আমানতের সুদ ৬ শতাংশের নিচে নামিয়ে এনেছে। অপরদিকে কিছু কিছু ব্যাংকের আমানতের সুদ ২ শতাংশ পর্যন্ত নেমেছে।
এখনো সঞ্চয়পত্রের সুদ ১২ শতাংশ হওয়ার কারণে ১০ শতাংশ ট্যাক্স দেওয়ার পরেও মানুষ সঞ্চয়পত্রের দিকে ঝুঁকছে।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারা ও বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ না থাকায় বিভিন্ন সংস্থা তাদের তহবিল ব্যাংকে রাখার পরিবর্তে নিরাপদ এবং উচ্চ সুদে বিনিয়োগ করতে পছন্দ করছে।
বিজনেস আওয়ার/০৬ জানুয়ারি, ২০২০/এ