বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক (কক্সবাজার) : আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কক্সবাজারের টেকনাফের একটি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই রোহিঙ্গা ডাকাত দলের মধ্যে ঘণ্টাব্যাপী গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় একজন নিহত এবং ২৩ জনের বেশি আহত হয়। রবিবার (১০ জানুয়ারি) ভোরে হোয়াইক্যংয়ে চাকমারকুল ক্যাম্পে এই ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানিয়েছে, তোহা বাহিনী ও আরেক ডাকাত দলের দ্বন্দ্বে গোলাগুলির ঘটনায় ঘটে। এ ঘটনায় একজন মারা গেছে, আরও ২৩ জন আহত হয়েছে। নিহত নুর হাকিম ওই ক্যাম্পের বাসিন্দা। আহতদের বেসরকারি সংস্থা সেভ দ্যা চিলড্রনের অধীনে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
নিহতের শরীরের কোথাও গুলির কোন চিহ্ন পাওয়া যায়নি। গোলাগুলির শব্দে আতঙ্কিত হয়ে দৌড়াদৌড়ির সময় তিনি পড়ে গিয়ে মারা যেতে পারেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে, ক্যাম্পের ভেতরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটতে পারে।তবে এর পেছনে কারা জড়িত সেটা খতিয়ে দেখতে তদন্ত চলছে।
এপিবিএন ১৬ নম্বর ব্যাটেলিয়নের পক্ষ থেকে বলা হয়, রাত তিনটার দিকে ক্যাম্পের নিরাপত্তায় যে পুলিশ সদস্যরা পাহারায় ছিলেন, তারা গোলাগুলির শব্দ শুনতে পান। মানুষের শোরগোলের শব্দও পাওয়া যাচ্ছিল। পরে ভোরের দিকে ক্যাম্পের ভেতর থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়। এছাড়া আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন। কারও গায়ে কোন গুলির আঘাত নেই।
বিষয়টি নিশ্চিত করে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের প্রতিনিধি এবং টেকনাফ চাকমারকুল রোহিঙ্গা শিবিরের সহাকারী কর্মকর্তা (সিআইসি) সাধনা ত্রিপুরা জানান, হোয়াইক্যংয়ে চাকমারকুল রোহিঙ্গা শিবিরে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এই নিয়ে কাজ করছি, বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
বিজনেস আওয়ার/১০ জানুয়ারি, ২০২০/এ