বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক (টাঙ্গাইল) : ফুলকপির দাম কম থাকায় ট্রাক ভাড়া না দিয়েই চার হাজার পিছ ফুলকপি রেখে ব্যবসায়ীর পালানোর ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে টাঙ্গাইলের পার্ক বাজারে এমনই ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, ঠাকুরগাঁও এলাকার দুই ব্যবসায়ী চার হাজার পিছ ফুলকপি কিনে ঢাকায় আড়তে বিক্রির জন্য নিতে ১৭হাজার টাকায় একটি ট্রাক ভাড়া করেন। ট্রাকটি রবিবার (১০ জানুয়ারি) রাতে রওনা হয়ে বঙ্গবন্ধু সেতু টোলপাল্লাজায় পৌঁছালে সেখানে ওজন স্টেশনে ৪ ঘণ্টা সময় লেগে যায়। পরে ট্রাকটি ১২টায় টাঙ্গাইল পৌঁছায়। আর ঢাকায় আড়তে সকাল ৭ পর্যন্ত মালামাল বেচাকেনা হয়।
টাঙ্গাইল এলাকাতেই দুপুর হওয়ায় ব্যবসায়ীরা ফুলকপি বিক্রির জন্য ট্রাকটি নিয়ে টাঙ্গাইলের পার্ক বাজারে যায়। সেখানে কপির দাম কম থাকায় ব্যবসায়ীরা ট্রাকবোঝাই কপি রেখে কৌশলে পালিয়ে যায়। এরপর কোনও উপায় না পেয়ে ট্রাক চালক ও ট্রাকটির মালিক কপিগুলো নিয়ে জেলার বাসাইল হাটে উঠায়।
সেখানে তারা ট্রাকের তেল খরচ উঠাতে পাঁচ পিছ কপি ২০টাকা করে বিক্রি শুরু করে। সন্ধ্যা পর্যন্ত তারা অল্প কিছু কপি বিক্রি করেছিল। ট্রাক চালক তোফাজ্জল হোসেন ও ট্রাকের মালিক আজহার আলী জেলার বাসাইল উপজেলার কাঞ্চনপুর এলাকার বাসিন্দা। তবে ফুলকপি ব্যবসায়ীদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।
ট্রাক চালক তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘ঠাকুরগাঁও এলাকার দুই ব্যবসায়ী চার হাজার ফুলকপি কিনেন। পরে কপিগুলো ঢাকায় নিতে আমাদের ট্রাকটি ১৭হাজার টাকায় ভাড়া করেন। ট্রাকটি বঙ্গবন্ধু সেতু টোলপ্লাজার স্কেলে ৪ঘণ্টা আটকে ছিল। এজন্য টাঙ্গাইল পৌঁছাতেই দুপুর হয়ে যায়। ঢাকার আড়তগুলো ভোরে শুরু হয়। টাঙ্গাইলেই দুপুর হওয়ায় কপিগুলো টাঙ্গাইলের পার্ক বাজারে উঠানো হয়। সেখানে ন্যার্যমূল্য না পেয়ে ব্যবসায়ীরা ট্রাক ভাড়া না দিয়েই পালিয়ে যায়। তাদের নাম পরিচয় জানতে পারিনি।’
ট্রাকের মালিক আজহার আলী বলেন, ‘ভাড়া না দিয়েই ব্যবসায়ীরা পালানোর পর কপিগুলো বাসাইল হাটে উঠানো হয়। পাঁচ পিছ কপি ২০টাকা করে বিক্রি করেছি। এ পর্যন্ত অর্ধেকও কপি বিক্রি করতে পারিনি। ট্রাকের তেল খরচ উঠবে কিনা সেটাও জানি না।’
এদিকে বাসাইল হাটে গিয়ে দেখা গেছে- দাম কম থাকায় ব্যবসায়ীরা কেজিতে বিক্রি না করে চার-পাঁচ পিছ ফুলকপি ২০ টাকা ধরে বিক্রি করছে। গত দুইদিন আগেও টাঙ্গাইলে কপির দাম ছিল চড়া। হঠাৎ করে কপির দাম কমে গেছে বলে ব্যবসায়ীরা জানান। এভাবে ফুলকপির দাম কমতে থাকলে কৃষকরা আবাদে আগ্রহ হারাবে বলে ব্যবসায়ীদের দাবী।
বিজনেস আওয়ার/১২ জানুয়ারি, ২০২০/টিএ/এ