দ্বিতীয়ার্ধে গোল শোধের জন্য বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি সোসিয়েদাদকে। ম্যাচের ৫১ মিনিটের সময় ডি-বক্সের মধ্যে হ্যান্ডবল করেন ফ্রেংকি ডি ইয়ং। ফলে পেনাল্টি পায় সোসিয়েদাদ। সফল স্পট কিকে দলকে লিড এনে দেন মিকেল ওয়ারজাবাল।
এরপর বেশ কয়েকটি সুযোগ আসে বার্সেলোনার সামনে। কিন্তু কোনোটিই কাজে লাগাতে পারেননি ওসুমানে দেম্বেলে, অ্যান্তনিও গ্রিজম্যানরা। নির্ধারিত ৯০ মিনিটে আর হয়নি গোল। ফলে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত ত্রিশ মিনিটে। যেখানে শুরু ও শেষে অসাধারণ দুইটি সেভ করেন স্টেগান। যা বাঁচিয়ে রাখে বার্সেলোনার আশা।
শুধু মূল ম্যাচেই নয়, টাইব্রেকারেও নায়ক স্টেগান। ত্রিশ মিনিটে দুই দল গোল না পাওয়ায় ফল মীমাংসার জন্য খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। যেখানে জন বাতিস্তা ও ওয়াজাবালের নেয়া প্রথম দুই শট ঠেকিয়ে দেন স্টেগান। তৃতীয় শট পোস্টে মারেন উইলিয়াম হোসে।
ফলে উজ্জ্বল সম্ভাবনা দেখা দেয় বার্সেলোনার সামনে। কিন্তু বার্সার হয়েও প্রথম শট মিস করেন ডি ইয়ং। তবে দ্বিতীয়, তৃতীয় শটে গোল করেন ওসুমানে দেম্বেলে ও মিরালেম পিয়ানিচ। পরে চতুর্থ শটে সোসিয়েদাদের প্রথম গোল করেন মিকেল মেরিনো কিন্তু মিস করেন বার্সেলোনার গ্রিজম্যান।
পঞ্চম শটে আবার লক্ষ্যভেদ করে সোসিয়েদাদের আশা বাঁচিয়ে রাখেন আদনান ইয়ানুজাই।ফলে ম্যাচের ফল নির্ধারণের ভার গিয়ে পড়ে সাহসী তরুণ রিকি পুইগের কাঁধে। বুদ্ধিদীপ্ত শটে গোলরক্ষকে ডানে পাঠিয়ে বিপরীত দিকে গোল করেন পুইগ।
বিজনেস আওয়ার/১৪ জানুয়ারি, ২০২১/এ