ঢাকা , সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শুধুমাত্র আইল্যান্ড সিকিউরিটিজের নিয়ম পরিপালন করে ডিজিটাল বুথের আবেদন

  • পোস্ট হয়েছে : ০২:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২১
  • 2

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : সকল শর্ত পরিপালন করে কেবলমাত্র আইল্যান্ড সিকিউরিটিজ স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে দেশের অভ্যন্তরে ডিজিটাল বুথ স্থাপনের জন্য আবেদন জমা দিয়েছে। এছাড়া ১২টি ব্রোকারেজ হাউজ অসম্পূর্ণ আবেদন জমা দিয়েছে। যেগুলো গ্রহণযোগ্য নয় বলে মনে করছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

তথ্য মতে, ডিজিটাল বুথ স্থাপনের জন্য বিএসইসির কাছে আবেদন জানিয়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্যভুক্ত মোট ১৩টি ব্রোকারেজ হাউজ। এর মধ্যে ১১টি ব্রোকারেজ হাউজ সিএসইর মাধ্যমে এবং প্রথকভাবে ডিএসইর ২টি ব্রোকারজে হাউজ আবেদন জানিয়েছে। এই ১৩টি ব্রোকারেজ হাউজ বিভিন্ন জেলায় মোট ১৬৩টি বুথ স্থাপনের জন্য আবেদন জানিয়েছে। এছাড়া ১৩টি দেশে বুথ স্থাপনের জন্য আবেদন করেছে হাউজগুলো। তবে এর মধ্যে মাত্র একটি ব্রোকারেজ হাউজ সকল শর্ত পরিপালন সাপেক্ষে স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে বিএসইসিতে আবেদন জানিয়েছে।

ডিজিটাল বুথের জন্য অসম্পূর্ণ আবেদন করা সিএসইর ব্রোকারেজ হাউজগুলো হলো- রেমন্স ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড সিকিউরিটিজ, মিরপুর সিকিউরিটিজ, রয়েল ক্যাপিটাল, ইস্টার্ন শেয়ার অ্যান্ড সিকিউরিটিজ, অ্যাসোসিয়েটেড ক্যাপিটাল সিকিউরিটিজ, ডি এন সিকিউরিটিজ, আইডিএলসি সিকিউরিটিজ, প্রাইম ইসলামী সিকিউরিটিজ, ইসলামী ব্যাংক সিকিউরিটিজ ও যমুনা ব্যাংক সিকিউরিটিজ। এর মধ্যে রেমন্স ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড সিকিউরিটিজ দেশের সকল জেলায় বুথ স্থাপন করবে বলে আবেদন জানিয়েছে।

এছাড়া অসম্পূর্ণ আবেদন করা সিএসইর ব্রোকারেজ হাউজগুলো হলো- লংকাবাংলা সিকিউরিটিজ ও মাল্টি সিকিউরিটি অ্যান্ড সার্ভিসেস।

তবে ব্রোকারেজ হাউজগুলো বলছে, নির্দেশনা জারির আগে দেশের অভ্যন্তরে যেসব জায়গায় (সিটি, জেলা ও ইউনিয়ন) ডিজিটাল বুথ স্থাপনের জন্য বিএসইসিতে আবেদন দেওয়া হয়েছে, তা চূড়ান্ত নয়। ডিজিটাল বুথ স্থাপনের বিষয়ে আগ্রহী হিসেবে ওই আবেদন জানানো হয়েছে। তবে সকল শর্ত পরিপালন সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট জায়গায় ডিজিটাল বুথ স্থাপনের জন্য স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে বিএসইসিতে আবেদন করা হবে।

বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ৪ নভেম্বর বিএসইসির ৭৪৭তম নিয়মিত সভায় ডিজিটাল বুথ সংক্রান্ত নীতিমালার অনুমোদন দেওয়া হয়। পরবর্তীতে ১৪ ডিসেম্বর এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করে বিএসইসি। ওই নির্দেশনা পরিপালন সাপেক্ষে আইল্যান্ড সিকিউরিটিজ চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) কাছে রাঙ্গামাটি ও কক্সবাজার জেলায় ডিজিটাল বুথ স্থাপনের জন্য আবেদন জানায়। পরবর্তীতে সিএসই তা অনুমোদনের জন্য বিএসইসিতে পাঠিয়েছে। সিএসই গত ৪ ও ৭ জানুয়ারি দু’টি পৃথক চিঠিতে আইল্যান্ড সিকিউরিটিজের ডিজিটাল বুথ স্থাপনের অনুমোদন চেয়েছে।

এদিকে বিএসইসির নির্দেশনা জারি হওয়ার পর কেবলমাত্র আইল্যান্ড সিকিউরিটিজই প্রথম ডিজিটাল বুথ স্থাপনের জন্য যথাযথভাবে আবেদন করেছে। এছাড়া ডিজিটাল বুথের জন্য যেসব আবেদন জমা পড়েছে, তা সবগুলোই নির্দেশনা জারির আগে করা হয়েছে। ফলে ওই ব্রোকারেজ হাউজগুলোর ডিজিটাল বুথ স্থাপন সংক্রান্ত নির্দেশনা পরিপালন না করেই আবেদন জানিয়েছে। এতে তাদের ডিজিটাল বুথ স্থাপনের আবেদন গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচনায় নিচ্ছে না বিএসইসি। তাই ব্রোকারেজ হাউজগুলোকে ডিজিটাল বুথ স্থাপনের জন্য পুনরায় আবেদন করতে হবে। ইতোমধ্যে বেশ কিছু ব্রোকারেজ হাউজ সকল শর্ত পরিপালন সাপেক্ষে ডিজিটাল বুথ স্থাপনের বিষয়ে পুনরায় স্টক এক্সচেঞ্জে আবেদন জানিয়েছে বলে জানা গেছে।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইতে ইউসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্টকে এবং চলতি বছরের ৪ জানুয়ারি কানাডার টরেনটোতে পদ্মা ব্যাংক সিকিউরিটিজকে ডিজিটাল বুথ খোলার অনুমোদন দেয় বিএসইসি।

বিজনেস আওয়ার/১৮ জানুয়ারি, ২০২১/আরএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

শুধুমাত্র আইল্যান্ড সিকিউরিটিজের নিয়ম পরিপালন করে ডিজিটাল বুথের আবেদন

পোস্ট হয়েছে : ০২:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২১

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : সকল শর্ত পরিপালন করে কেবলমাত্র আইল্যান্ড সিকিউরিটিজ স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে দেশের অভ্যন্তরে ডিজিটাল বুথ স্থাপনের জন্য আবেদন জমা দিয়েছে। এছাড়া ১২টি ব্রোকারেজ হাউজ অসম্পূর্ণ আবেদন জমা দিয়েছে। যেগুলো গ্রহণযোগ্য নয় বলে মনে করছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

তথ্য মতে, ডিজিটাল বুথ স্থাপনের জন্য বিএসইসির কাছে আবেদন জানিয়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্যভুক্ত মোট ১৩টি ব্রোকারেজ হাউজ। এর মধ্যে ১১টি ব্রোকারেজ হাউজ সিএসইর মাধ্যমে এবং প্রথকভাবে ডিএসইর ২টি ব্রোকারজে হাউজ আবেদন জানিয়েছে। এই ১৩টি ব্রোকারেজ হাউজ বিভিন্ন জেলায় মোট ১৬৩টি বুথ স্থাপনের জন্য আবেদন জানিয়েছে। এছাড়া ১৩টি দেশে বুথ স্থাপনের জন্য আবেদন করেছে হাউজগুলো। তবে এর মধ্যে মাত্র একটি ব্রোকারেজ হাউজ সকল শর্ত পরিপালন সাপেক্ষে স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে বিএসইসিতে আবেদন জানিয়েছে।

ডিজিটাল বুথের জন্য অসম্পূর্ণ আবেদন করা সিএসইর ব্রোকারেজ হাউজগুলো হলো- রেমন্স ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড সিকিউরিটিজ, মিরপুর সিকিউরিটিজ, রয়েল ক্যাপিটাল, ইস্টার্ন শেয়ার অ্যান্ড সিকিউরিটিজ, অ্যাসোসিয়েটেড ক্যাপিটাল সিকিউরিটিজ, ডি এন সিকিউরিটিজ, আইডিএলসি সিকিউরিটিজ, প্রাইম ইসলামী সিকিউরিটিজ, ইসলামী ব্যাংক সিকিউরিটিজ ও যমুনা ব্যাংক সিকিউরিটিজ। এর মধ্যে রেমন্স ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড সিকিউরিটিজ দেশের সকল জেলায় বুথ স্থাপন করবে বলে আবেদন জানিয়েছে।

এছাড়া অসম্পূর্ণ আবেদন করা সিএসইর ব্রোকারেজ হাউজগুলো হলো- লংকাবাংলা সিকিউরিটিজ ও মাল্টি সিকিউরিটি অ্যান্ড সার্ভিসেস।

তবে ব্রোকারেজ হাউজগুলো বলছে, নির্দেশনা জারির আগে দেশের অভ্যন্তরে যেসব জায়গায় (সিটি, জেলা ও ইউনিয়ন) ডিজিটাল বুথ স্থাপনের জন্য বিএসইসিতে আবেদন দেওয়া হয়েছে, তা চূড়ান্ত নয়। ডিজিটাল বুথ স্থাপনের বিষয়ে আগ্রহী হিসেবে ওই আবেদন জানানো হয়েছে। তবে সকল শর্ত পরিপালন সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট জায়গায় ডিজিটাল বুথ স্থাপনের জন্য স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে বিএসইসিতে আবেদন করা হবে।

বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ৪ নভেম্বর বিএসইসির ৭৪৭তম নিয়মিত সভায় ডিজিটাল বুথ সংক্রান্ত নীতিমালার অনুমোদন দেওয়া হয়। পরবর্তীতে ১৪ ডিসেম্বর এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করে বিএসইসি। ওই নির্দেশনা পরিপালন সাপেক্ষে আইল্যান্ড সিকিউরিটিজ চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) কাছে রাঙ্গামাটি ও কক্সবাজার জেলায় ডিজিটাল বুথ স্থাপনের জন্য আবেদন জানায়। পরবর্তীতে সিএসই তা অনুমোদনের জন্য বিএসইসিতে পাঠিয়েছে। সিএসই গত ৪ ও ৭ জানুয়ারি দু’টি পৃথক চিঠিতে আইল্যান্ড সিকিউরিটিজের ডিজিটাল বুথ স্থাপনের অনুমোদন চেয়েছে।

এদিকে বিএসইসির নির্দেশনা জারি হওয়ার পর কেবলমাত্র আইল্যান্ড সিকিউরিটিজই প্রথম ডিজিটাল বুথ স্থাপনের জন্য যথাযথভাবে আবেদন করেছে। এছাড়া ডিজিটাল বুথের জন্য যেসব আবেদন জমা পড়েছে, তা সবগুলোই নির্দেশনা জারির আগে করা হয়েছে। ফলে ওই ব্রোকারেজ হাউজগুলোর ডিজিটাল বুথ স্থাপন সংক্রান্ত নির্দেশনা পরিপালন না করেই আবেদন জানিয়েছে। এতে তাদের ডিজিটাল বুথ স্থাপনের আবেদন গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচনায় নিচ্ছে না বিএসইসি। তাই ব্রোকারেজ হাউজগুলোকে ডিজিটাল বুথ স্থাপনের জন্য পুনরায় আবেদন করতে হবে। ইতোমধ্যে বেশ কিছু ব্রোকারেজ হাউজ সকল শর্ত পরিপালন সাপেক্ষে ডিজিটাল বুথ স্থাপনের বিষয়ে পুনরায় স্টক এক্সচেঞ্জে আবেদন জানিয়েছে বলে জানা গেছে।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইতে ইউসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্টকে এবং চলতি বছরের ৪ জানুয়ারি কানাডার টরেনটোতে পদ্মা ব্যাংক সিকিউরিটিজকে ডিজিটাল বুথ খোলার অনুমোদন দেয় বিএসইসি।

বিজনেস আওয়ার/১৮ জানুয়ারি, ২০২১/আরএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: