বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : ব্লক মার্কেটে ফ্লোর প্রাইসের নিচে লেনদেনের সুযোগ দিয়ে স্টক এক্সচেঞ্জকে চিঠি দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। তবে সেটা বাজার দর বিবেচনায় বিদ্যমান সার্কিট ব্রেকারের থেকে বেশি নিচে নামতে পারবে না।
বুধবার (১০ জুন) বিএসইসির উপপরিচালক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম সাক্ষরিত এ চিঠি উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, বিদ্যমান সার্কিট ব্রেকারের আওতায় ফ্লোর প্রাইস ছাড়া ব্লক মার্কেটে কোম্পানির শেয়ার (পরিচালক ব্যতিত) লেনদেন করা যাবে। তবে বর্তমান ফ্লোর প্রাইসের থেকে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশের বেশি নিচে নামতে পারবে না। অনেকটা ব্লক মার্কেটের জন্য এখনকার চেয়ে ১০ শতাংশ কমে আরেকটি ফ্লোর প্রাইস তৈরী করা হয়েছে নতুন নির্দেশনার মাধ্যমে।
যেমন ২০ টাকা ফ্লোর প্রাইসের একটি শেয়ার ব্লকে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ কমে ১৮ টাকায় লেনদেন করা যাবে। তবে এই শেয়ারটি পরবর্তীতে ওই ১৮ টাকা বিবেচনায় আরও কমে লেনদেন হতে পারবে না। এটা আগের দিনের ক্লোজিং দর বিবেচনায় ১০ শতাংশ উত্থান-পতনে লেনদেন হতে পারবে। আর ফ্লোর প্রাইসের কারনে ক্লোজিং প্রাইস যেহেতু ২০ টাকার নিচে নামার সুযোগ নেই, তাই ব্লকেও ১৮ টাকার নিচে নামার সুযোগ থাকবে না।
এদিকে ২০ টাকা ফ্লোর প্রাইসের একটি শেয়ার যদি আগেরদিন ২০ টাকার উপরে ক্লোজিং প্রাইস হয়। তাহলে ওই উপরের দর বিবেচনায় ব্লকে শেয়ারটি ১০ শতাংশ উত্থান-পতনে লেনদেন হবে। ধরি, ২০ টাকার ফ্লোর প্রাইসের একটি শেয়ার গতকাল ক্লোজিং প্রাইস ছিল ২১ টাকা। এই অবস্থায় ব্লকে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ কমে সর্বনিম্ন ১৮.৯০ টাকায় লেনদেন হতে পারবে।
উল্লেখ্য, বিদ্যমান সার্কিট ব্রেকারে ২০০ টাকা পর্যন্ত দরের শেয়ারে ১০ শতাংশ উত্থান-পতনের সীমা থাকলেও এর উপরের শেয়ারে এই শতাংশটা কম। ২০১ টাকা থেকে ৫০০ টাকার শেয়ারে ৮.৭৫ শতাংশ, ৫০১ টাকা থেকে ১০০০ টাকার শেয়ারে ৭.৫০ শতাংশ, ১০০১ টাকা থেকে ২০০০ টাকার শেয়ারে ৬.২৫ শতাংশ, ২০০১ টাকা থেকে ৫০০০ টাকার শেয়ারে ৫ শতাংশ এবং ৫০০০ টাকার উপরের শেয়ারে ৩.৭৫ শতাংশ উত্থান-পতনের সীমা রয়েছে।
বিজনেস আওয়ার/১০ জুন, ২০২০/আরএ