বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : নির্বাচনে জয়-পরাজয় থাকবে। কিন্তু বিএনপি পরাজয় মেনে নিতে চায় না। ১৯৯৪ সালের আজকের দিনে ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের পরের দিন বিএনপির পরাজিত কাউন্সিলর প্রার্থী আবদুল আজিজ পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে সশস্ত্র হামলা চালায়। সেদিন লালবাগে সাতজন আওয়ামী লীগের নেতা প্রাণ হারান। বললেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
রোববার (৩১ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর আজিমপুরে সেভেন মার্ডার দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। ওবায়দুল কাদের তাঁর সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।
বিএনপি ‘হত্যা ও সন্ত্রাসের’ রাজনীতির উত্তরাধিকার জন্মলগ্ন থেকেই বহন করে চলেছে উল্লেখ্য করে তিনি বলেন, বিএনপির অপরাজনীতি শুধু ১৯৯৪ সালেই নয়, ২০০১ সালেও তারা ক্ষমতায় এসে ২১ হাজার নেতাকর্মীর রক্তে রঞ্জিত করেছিল বাংলার জনপদ জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে হত্যার রাজনীতির ধারাবাহিকতা বহন করে চলছে বিএনপি।
আন্দোলন ও নির্বাচনে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি এখন সহিংসতার পথ বেছে নিয়েছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, অতীতে তাদের নেতিবাচক রাজনীতির কারণে জনগণ তাদের আর বিশ্বাস করে না। বিএনপি নির্বাচনে পরাজিত হয়ে শুধু নির্বাচন ব্যবস্থাকেই প্রশ্নবিদ্ধ করছে না, তারা প্রতিহিংসার আগুন জ্বালিয়ে দেয়, তাদের রাজনীতিতে পরমত সহিংসতা নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
পৌরসভা নির্বাচন বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, জনগণ বিএনপির অপরাজনীতি প্রত্যাখ্যান করেছে বলেই তাদের এমন পরাজয়। অপরদিকে শেখ হাসিনার উন্নয়নের রাজনীতির প্রতি আস্থার বহিঃপ্রকাশই হচ্ছে আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের নিরঙ্কুশ বিজয়। বিএনপির অভিযোগ সেখানেই, যেখানে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, উগ্র সাম্প্রদায়িকতাকে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে বিএনপি এখন বাংলাদেশের মেরুদণ্ডকে আঘাত আনতে চায়। দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে সাম্প্রদায়িকতাকে রুখে দিতে প্রস্তুত।
বিজনেস আওয়ার/৩১ জানুয়ারি, ২০২০/এ