বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : মিয়ানমারে জরুরি অবস্থা জারির ঘোষণায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। একই সঙ্গে ১৫ সদস্যের পরিষদ মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চি, প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টসহ দেশটির সরকার ও রাজনৈতিক দলের নেতাদের নির্বিচারে আটকের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তাঁদের অবিলম্বে মুক্তি দাবি করেছে নিরাপত্তা পরিষদ।
এ বিষয়ে নিরাপত্তা পরিষদ গতকাল ৪ ফেব্রুয়ারি একটি বিবৃতি দিয়েছে। মিয়ানমারের ঘনিষ্ঠ বন্ধু চীন ও রাশিয়া তাদের অবস্থান পরিবর্তন করায় শেষ পর্যন্ত নিরাপত্তা পরিষদ এই বিবৃতি দিতে পারেনি।
নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য পাঁচটি দেশ। এগুলো হলো যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, চীন ও রাশিয়া। স্থায়ী সদস্যদের ‘ভেটো’ ক্ষমতা রয়েছে। এ ছাড়া ভারত, ভিয়েতনাম, তিউনিসিয়া, এস্তোনিয়া, আয়ারল্যান্ড, কেনিয়া, মেক্সিকো, নাইজার, নরওয়ে, সেন্ট ভিনসেন্ট অ্যান্ড গ্রানাডা নিরাপত্তা পরিষদে অস্থায়ী সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে।
সাধারণত চীন ও রাশিয়া এই দুই দেশ বিভিন্ন বিষয়ে মিয়ানমারের পক্ষ নেওয়ায় নিরাপত্তা পরিষদ দেশটির ব্যাপারে কোনো অবস্থান নিতে পারছে না। এসব বিষয়ের মধ্যে অন্যতম রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর ২০১৭ সালের গণহত্যা।
নিরাপত্তা পরিষদের চলতি মাসের সভাপতি হিসেবে জাতিসংঘে যুক্তরাজ্যের স্থায়ী প্রতিনিধি বারবারা উডওয়ার্ড মিয়ানমার পরিস্থিতি নিয়ে এই বিবৃতি দিয়েছেন। সাধারণত নিরাপত্তা পরিষদে প্রতি মাসে একটি দেশ সভাপতির দায়িত্ব পালন করে থাকে।
গত মঙ্গলবার রাতে নিরাপত্তা পরিষদ মিয়ানমার পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি বৈঠক করে। কিন্তু তখন নিরাপত্তা পরিষদ বিবৃতি দেওয়ার বিষয়ে একমত হতে পারেনি। ওই বৈঠক শেষে নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতি যুক্তরাজ্য বলেছিল, তারা মিয়ানমার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাবে।
বিজনেস আওয়ার/০৫, ফেব্রুয়ারি, ২০২১/কমা