বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : দেশে চলমান পৌরসভা নির্বাচনের চতুর্থ ধাপের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ হয়েছে যা বিরতিহীনভাবে চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। ২৯টি পৌরসভায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) এবং ২৬টি পৌরসভায় ভোটগ্রহণ হচ্ছে ব্যালট পেপারে।
শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণের জন্য মাঠে রয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), বর্ডার গার্ড বাংলাদেশসহ (বিজিবি) আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর সদস্যরা। নির্বাচনী অপরাধের বিচারার্থে নিয়োজিত রয়েছে নির্বাহী ও বিচারিক হাকিমরাও। এছাড়া ৫৫ পৌরসভার ভোটে বহিরাগতদের হস্তক্ষেপ নিয়ন্ত্রণে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে যান চলাচলের উপর।
গত ৩ জানুয়ারি চতুর্থ ধাপে ৫৬ পৌরসভায় ভোটগ্রহণের জন্য তফসিল ঘোষণা করে ইসি। ফেনীর পরশুরাম পৌরসভায় সব পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। সবমিলিয়ে রোববার ৫৫ পৌরসভায় ভোটগ্রহণ হচ্ছে। ৫৫টি পৌরসভায় মেয়র পদে ২২১ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২ হাজার ৭৩ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৬১৮ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
নির্বাচনে ৭৯৩টি ভোটকেন্দ্র ও চার হাজার ৮৮৭টি ভোটকক্ষে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন ১৬ লাখ ৪৭ হাজার ৯৭ জন ভোটার। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার আট লাখ ৪২ হাজার ৯৪৫ জন ও নারী ভোটার আট লাখ ৪৪ হাজার ১৫২ জন।
জানা গেছে, ভোটের দায়িত্বে নিয়োজিত করা হয়েছে- পুলিশের ১৬৭টি মোবাইল ও ৫৫টি স্ট্রাইকিং ফোর্স, ১৬৭টি র্যাবের টিম। প্রত্যেক পৌরসভায় গড়ে দুই প্লাটুন বিজিবি ও উপকূলীয় এলাকায় প্রতি পৌরসভায় এক প্লাটুন কোস্টগার্ডও ভোটের দায়িত্বে করছে। এছাড়া বিচারিক কাজের জন্য নিয়োজিত রয়েছে ৫০১ জন নির্বাহী ও ৫৫ জন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট।
২০২০ সালের ২৮ ডিসেম্বর প্রথম ধাপে ২৪টি পৌরসভায় সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দেশের পৌরসভাগুলোতে ভোটগ্রহণ শুরু করে ইসি। এরপর দ্বিতীয় ধাপে ১৬ জানুয়ারি ৬১ পৌরসভায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। তৃতীয় ধাপে গত ৩০ জানুয়ারি ৬৪ পৌরসভায় ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করে ইসি।
বিজনেস আওয়ার/১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১/এ