ঢাকা , বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যুদ্ধবিমান বাংলাদেশেই তৈরি করা হবে : প্রধানমন্ত্রী

  • পোস্ট হয়েছে : ১২:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • 45

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : যুদ্ধবিমান বাংলাদেশেই তৈরি করা হবে। কাজেই এর ওপর গবেষণা করা ও আকাশসীমা রক্ষা নিজেরাই যেন করতে পারি সেভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছি। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে আরও ১০ ধাপ এগিয়ে নিতে কাজ করছি। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিমান বাহিনীর ১১ স্কোয়াড্রন ও ২১ স্কোয়াড্রনকে জাতীয় পতাকা প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় বিমান বাহিনী প্রধানসহ সরকারের পদস্থ কর্মকর্তা ও বিমান বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটা গৌরবময় ইতিহাস রয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন,জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রমানের ডাকে সাড়া দিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কাঁধ মিলিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয় বিমান বাহিনী। পাকিস্তানের অসংখ্য লক্ষ্যবস্তুতে হামলা করে তারা। সীমিত শক্তি নিয়েও তারা যে সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছে, জাতি চিরদিন স্মরণ রাখবে।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর জাতির পিতা স্বপ্ন দেখেছেন, সবদিক থেকে বাংলাদেশ সমৃদ্ধ হবে। সেই স্বপ্ন থেকেই সীমিত সম্পদ দিয়ে সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তুলেছিলেন। বিশেষ করে আধুনিক বিমান গড়ে তুলেছিলেন তিনি। বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা নীতিমালা-১৯৭৪ করে দিয়ে যান। সে আলোকে আমরা সশস্ত্র বাহিনীকে গড়ে তুলছি।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, দেশের প্রতিরক্ষা খাত আধুনিকায়ন ও কয়েক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ করছি। লালমনিরহাটে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিয়েশন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাসহ নানা কাজ করে যাচ্ছি। আজ বাংলাদেশ বিমান বাহিনী দেশ ও বিদেশে সম্মানজনক অবস্থান তৈরি করেছে।

জাতীয় পতাকা পাওয়া বিমান বাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতীয় পতাকা পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করা গৌরব ও সম্মানের। এ পতাকার মান রক্ষা করা সবার দায়িত্ব। আমি মনে করি, আপনারা এই মর্যাদা রক্ষা ও দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে সদা প্রস্তুত থাকবেন।

তিনি আরও বলেন, বিশ্বায়নের যুগে যেকোনো দেশের জন্য পেশাদার বিমান বাহিনী অপরিহার্য। আধুনিক ও যুগোপযোগী বাহিনী গড়তে আমরা ফোর্সেস গোল বাস্তবায়নে কাজ করছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিমানবাহিনী তার মূল কার্যক্রমের পাশাপাশি সব সময় জাতি গঠনের কাজে নিজেদের নিয়োজিত রাখে। বর্তমানে করোনাভাইরাস সারাবিশ্বকে স্থবির করে দিয়েছে। করোনাকালে সময়ে বিমানবাহিনী যথেষ্ট দায়িত্ব পালন করেছে। করোনা পরিস্থিতিতে বিমানবাহিনী হেলিকপ্টারে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে করোনা আক্রান্ত অনেক রোগীকে ঢাকায় এনেছে। এতে অনেকে উন্নত চিকিৎসা পেয়েছে। জীবন রক্ষা পেয়েছে। 

তিনি আরও বলেন, বিমানবাহিনীর এই কার্যক্রম বর্তমানেও অব্যাহত রয়েছে। বিমানবাহিনীর পরিবহন বিমানের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশ থেকে স্বাস্থ্যসুরক্ষা সামগ্রী পরিবহনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেগুলো সময়মতো নিয়ে এসেছেন বিমানবাহিনী।

বিজনেস আওয়ার/২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

যুদ্ধবিমান বাংলাদেশেই তৈরি করা হবে : প্রধানমন্ত্রী

পোস্ট হয়েছে : ১২:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২১

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : যুদ্ধবিমান বাংলাদেশেই তৈরি করা হবে। কাজেই এর ওপর গবেষণা করা ও আকাশসীমা রক্ষা নিজেরাই যেন করতে পারি সেভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছি। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে আরও ১০ ধাপ এগিয়ে নিতে কাজ করছি। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিমান বাহিনীর ১১ স্কোয়াড্রন ও ২১ স্কোয়াড্রনকে জাতীয় পতাকা প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় বিমান বাহিনী প্রধানসহ সরকারের পদস্থ কর্মকর্তা ও বিমান বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটা গৌরবময় ইতিহাস রয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন,জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রমানের ডাকে সাড়া দিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কাঁধ মিলিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয় বিমান বাহিনী। পাকিস্তানের অসংখ্য লক্ষ্যবস্তুতে হামলা করে তারা। সীমিত শক্তি নিয়েও তারা যে সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছে, জাতি চিরদিন স্মরণ রাখবে।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর জাতির পিতা স্বপ্ন দেখেছেন, সবদিক থেকে বাংলাদেশ সমৃদ্ধ হবে। সেই স্বপ্ন থেকেই সীমিত সম্পদ দিয়ে সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তুলেছিলেন। বিশেষ করে আধুনিক বিমান গড়ে তুলেছিলেন তিনি। বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা নীতিমালা-১৯৭৪ করে দিয়ে যান। সে আলোকে আমরা সশস্ত্র বাহিনীকে গড়ে তুলছি।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, দেশের প্রতিরক্ষা খাত আধুনিকায়ন ও কয়েক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ করছি। লালমনিরহাটে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিয়েশন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাসহ নানা কাজ করে যাচ্ছি। আজ বাংলাদেশ বিমান বাহিনী দেশ ও বিদেশে সম্মানজনক অবস্থান তৈরি করেছে।

জাতীয় পতাকা পাওয়া বিমান বাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতীয় পতাকা পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করা গৌরব ও সম্মানের। এ পতাকার মান রক্ষা করা সবার দায়িত্ব। আমি মনে করি, আপনারা এই মর্যাদা রক্ষা ও দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে সদা প্রস্তুত থাকবেন।

তিনি আরও বলেন, বিশ্বায়নের যুগে যেকোনো দেশের জন্য পেশাদার বিমান বাহিনী অপরিহার্য। আধুনিক ও যুগোপযোগী বাহিনী গড়তে আমরা ফোর্সেস গোল বাস্তবায়নে কাজ করছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিমানবাহিনী তার মূল কার্যক্রমের পাশাপাশি সব সময় জাতি গঠনের কাজে নিজেদের নিয়োজিত রাখে। বর্তমানে করোনাভাইরাস সারাবিশ্বকে স্থবির করে দিয়েছে। করোনাকালে সময়ে বিমানবাহিনী যথেষ্ট দায়িত্ব পালন করেছে। করোনা পরিস্থিতিতে বিমানবাহিনী হেলিকপ্টারে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে করোনা আক্রান্ত অনেক রোগীকে ঢাকায় এনেছে। এতে অনেকে উন্নত চিকিৎসা পেয়েছে। জীবন রক্ষা পেয়েছে। 

তিনি আরও বলেন, বিমানবাহিনীর এই কার্যক্রম বর্তমানেও অব্যাহত রয়েছে। বিমানবাহিনীর পরিবহন বিমানের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশ থেকে স্বাস্থ্যসুরক্ষা সামগ্রী পরিবহনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেগুলো সময়মতো নিয়ে এসেছেন বিমানবাহিনী।

বিজনেস আওয়ার/২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: