ঢাকা , রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চাল আমদানির অনুমতি পেল আরও ৫৭ প্রতিষ্ঠান

  • পোস্ট হয়েছে : ১০:১৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ মার্চ ২০২১
  • 5

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : দেশে চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে বেসরকারি পর্যায়ে আরও ৫৭ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ ৮০ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। সোমবার (০১ মার্চ) অনুমতির এই চিঠি খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে পাঠানো হয়েছে। এর আগে খাদ্য মন্ত্রণালয় ৩২০ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে ১০ লাখ ১৪ হাজার ৫০০ টন চাল আমদানির অনুমতি দেয়।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে বলা হয়েছে, সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ ভাঙ্গা দানাবিশিষ্ট বাসমতি নয় এমন সিদ্ধ চাল শর্তসাপেক্ষে আমদানির জন্য অনুমতি দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে যারা ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এলসি খুলতে ব্যর্থ হয়েছিল, তাদের চাল আমদানির অনুমতি বাতিল করেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।

এর আগে বেসরকারিভাবে চাল আমদানির জন্য বরাদ্দপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে যেসকল আমদানিকারক এলসি খুলেছেন কিন্তু চাল বাজারজাত করতে পারেননি, তাদের এলসি করা সম্পূর্ণ চাল বাজারজাতকরণের জন্য আগামী ১৫ মার্চ পর্যন্ত সময় বৃদ্ধি করেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।

জানা গেছে, বেসরকারিভাবে চাল আমদানির জন্য মোট ৩২০টি প্রতিষ্ঠানের অনকূলে বরাদ্দকৃত চাল আমদানির জন্য এলসি খোলার সময়সীমা গত ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বৃদ্ধি করে খাদ্য মন্ত্রণালয়৷ এছাড়া এলসি কম্পর্কিত তথ্য (পোর্ট অব এন্ট্রিসহ) তাৎক্ষণিকভাবে ই-মেইলে ([email protected]) জানাতে হবে।

এক্ষেত্রে বরাদ্দপত্রে উল্লিখিত সময়সীমার মধ্যে আবশ্যিকভাবে আমদানির সব চাল বাংলাদেশে বাজারজাত করতে হবে। ইতোমধ্যে বেসরকারি পর্যায়ে চাল আমদানির অনুমতি পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে যারা ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ঋণপত্র (লেটার অব ক্রেডিট-এলসি) খুলতে পারেনি, তাদের বরাদ্দপত্র বাতিল করা হয়েছে।

জানা গেছে, খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে গত ২৭ ডিসেম্বর বেসরকারিভাবে চাল আমদানির জন্য বৈধ আমদানিকারকদের প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্রসহ ১০ জানুয়ারির মধ্যে খাদ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করতে বলা হয়। এরপর বিভিন্ন শর্তে বেসরকারি পর্যায়ে সর্বমোট ৩২০ ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানকে ১০ লাখ ১৪ হাজার ৫০০ টন চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছে। এই অনুমতির চিঠি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।

চাল আমদানির শর্তে বলা হয়, বরাদ্দপত্র ইস্যুর সাত দিনের মধ্যে ঋণপত্র (এলসি) খুলতে হবে। এ সংক্রান্ত তথ্য খাদ্য মন্ত্রণালয়কে তাৎক্ষণিকভাবে ই-মেইলে জানাতে হবে। ব্যবসায়ীদের মধ্যে যারা এক থেকে পাঁচ হাজার টন বরাদ্দ পেয়েছেন, তাদের এলসি খোলার ১০ দিনের মধ্যে ৫০ শতাংশ এবং ২০ দিনের মধ্যে বাকি চাল বাজারজাত করতে হবে।

এছাড়া যেসব প্রতিষ্ঠান পাঁচ হাজার টনের চেয়ে বেশি চাল আমদানির বরাদ্দ পেয়েছে তাদের এলসি খোলার ১৫ দিনের মধ্যে ৫০ শতাংশ এবং ৩০ দিনের মধ্যে বাকি ৫০ শতাংশ চাল এনে বাজারজাত করতে হবে বলে শর্ত দেয় খাদ্য মন্ত্রণালয়।

এবার আমন মৌসুমে মোটা চালের দাম ৫০ টাকা ছুঁয়েছে। এই পরিস্থিতিতে চাল আমদানির শুল্ক কমিয়ে চাল আমদানির উদ্যোগ নেয় সরকার। পাশাপাশি খাদ্যশস্যের বাজারমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রবণতা রোধ, নিম্নআয়ের জনগোষ্ঠীকে সহায়তা এবং বাজারদর স্থিতিশীল রাখতে বেসরকারি পর্যায়ে চালের আমদানি শুল্ক ৬২ দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ নির্ধারণ করে সরকার।

বিজনেস আওয়ার/০২ মার্চ, ২০২১/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

চাল আমদানির অনুমতি পেল আরও ৫৭ প্রতিষ্ঠান

পোস্ট হয়েছে : ১০:১৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ মার্চ ২০২১

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : দেশে চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে বেসরকারি পর্যায়ে আরও ৫৭ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ ৮০ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। সোমবার (০১ মার্চ) অনুমতির এই চিঠি খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে পাঠানো হয়েছে। এর আগে খাদ্য মন্ত্রণালয় ৩২০ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে ১০ লাখ ১৪ হাজার ৫০০ টন চাল আমদানির অনুমতি দেয়।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে বলা হয়েছে, সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ ভাঙ্গা দানাবিশিষ্ট বাসমতি নয় এমন সিদ্ধ চাল শর্তসাপেক্ষে আমদানির জন্য অনুমতি দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে যারা ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এলসি খুলতে ব্যর্থ হয়েছিল, তাদের চাল আমদানির অনুমতি বাতিল করেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।

এর আগে বেসরকারিভাবে চাল আমদানির জন্য বরাদ্দপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে যেসকল আমদানিকারক এলসি খুলেছেন কিন্তু চাল বাজারজাত করতে পারেননি, তাদের এলসি করা সম্পূর্ণ চাল বাজারজাতকরণের জন্য আগামী ১৫ মার্চ পর্যন্ত সময় বৃদ্ধি করেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।

জানা গেছে, বেসরকারিভাবে চাল আমদানির জন্য মোট ৩২০টি প্রতিষ্ঠানের অনকূলে বরাদ্দকৃত চাল আমদানির জন্য এলসি খোলার সময়সীমা গত ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বৃদ্ধি করে খাদ্য মন্ত্রণালয়৷ এছাড়া এলসি কম্পর্কিত তথ্য (পোর্ট অব এন্ট্রিসহ) তাৎক্ষণিকভাবে ই-মেইলে ([email protected]) জানাতে হবে।

এক্ষেত্রে বরাদ্দপত্রে উল্লিখিত সময়সীমার মধ্যে আবশ্যিকভাবে আমদানির সব চাল বাংলাদেশে বাজারজাত করতে হবে। ইতোমধ্যে বেসরকারি পর্যায়ে চাল আমদানির অনুমতি পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে যারা ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ঋণপত্র (লেটার অব ক্রেডিট-এলসি) খুলতে পারেনি, তাদের বরাদ্দপত্র বাতিল করা হয়েছে।

জানা গেছে, খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে গত ২৭ ডিসেম্বর বেসরকারিভাবে চাল আমদানির জন্য বৈধ আমদানিকারকদের প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্রসহ ১০ জানুয়ারির মধ্যে খাদ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করতে বলা হয়। এরপর বিভিন্ন শর্তে বেসরকারি পর্যায়ে সর্বমোট ৩২০ ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানকে ১০ লাখ ১৪ হাজার ৫০০ টন চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছে। এই অনুমতির চিঠি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।

চাল আমদানির শর্তে বলা হয়, বরাদ্দপত্র ইস্যুর সাত দিনের মধ্যে ঋণপত্র (এলসি) খুলতে হবে। এ সংক্রান্ত তথ্য খাদ্য মন্ত্রণালয়কে তাৎক্ষণিকভাবে ই-মেইলে জানাতে হবে। ব্যবসায়ীদের মধ্যে যারা এক থেকে পাঁচ হাজার টন বরাদ্দ পেয়েছেন, তাদের এলসি খোলার ১০ দিনের মধ্যে ৫০ শতাংশ এবং ২০ দিনের মধ্যে বাকি চাল বাজারজাত করতে হবে।

এছাড়া যেসব প্রতিষ্ঠান পাঁচ হাজার টনের চেয়ে বেশি চাল আমদানির বরাদ্দ পেয়েছে তাদের এলসি খোলার ১৫ দিনের মধ্যে ৫০ শতাংশ এবং ৩০ দিনের মধ্যে বাকি ৫০ শতাংশ চাল এনে বাজারজাত করতে হবে বলে শর্ত দেয় খাদ্য মন্ত্রণালয়।

এবার আমন মৌসুমে মোটা চালের দাম ৫০ টাকা ছুঁয়েছে। এই পরিস্থিতিতে চাল আমদানির শুল্ক কমিয়ে চাল আমদানির উদ্যোগ নেয় সরকার। পাশাপাশি খাদ্যশস্যের বাজারমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রবণতা রোধ, নিম্নআয়ের জনগোষ্ঠীকে সহায়তা এবং বাজারদর স্থিতিশীল রাখতে বেসরকারি পর্যায়ে চালের আমদানি শুল্ক ৬২ দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ নির্ধারণ করে সরকার।

বিজনেস আওয়ার/০২ মার্চ, ২০২১/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: