ঢাকা , সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মেঘনা পেট ইন্ডাস্ট্রিজে অদাবিকৃত ১.২০ কোটি টাকার লভ্যাংশ

  • পোস্ট হয়েছে : ১০:১৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ মার্চ ২০২১
  • 57

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত মেঘনা পেট ইন্ডাস্ট্রিজে ১ কোটি ২০ লাখ টাকার অদাবিকৃত বা অবণ্ঠিত লভ্যাংশ রয়েছে। যা অনেক বছর আগেই ঘোষণা ও বার্ষিক সাধারন সভায় (এজিএম) অনুমোদিত হয়েছিল।

কোম্পানিটির ২০১৯-২০ অর্থবছরের আর্থিক হিসাব নিরীক্ষায় নিরীক্ষক এ তথ্য জানিয়েছেন।

নিরীক্ষক জানিয়েছেন, মেঘনা পেট ইন্ডাস্ট্রিজের আর্থিক হিসাবে ২ কোটি ২৬ লাখ টাকার মজুদ পণ্য দেখানো হয়েছে। কিন্তু এর বিপরীতে প্রমাণাদির সীমাবদ্ধতা ছিল। আর ২০২০ সালের ৩০ জুন স্বশরীরে গণনা করা যায়নি। ফলে কোম্পানিটির মজুদ পণ্যের সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি। একইসঙ্গে ওই মজুদ পণ্যের জন্য আর্থিক হিসাবে কোন সমন্বয়ের প্রয়োজন আছে কিনা, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। যে কোম্পানিটির উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

কোম্পানিটি সয়াবিন তেল কেনার জন্য অগ্রিম ১ কোটি ৮৫ লাখ টাকা অগ্রিম প্রদান করেছে বলে আর্থিক হিসাবে উল্লেখ করেছে। যা দীর্ঘদিন ধরে দেখিয়ে আসছে। তবে কোন বিশ্বাসযোগ্য ডকুমেন্টসের মাধ্যমে তা যাচাই করা যায়নি বলে জানিয়েছেন নিরীক্ষক।

উল্লেখ্য, ২০০১ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া মেঘনা পেটের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ১২ কোটি টাকা। এরমধ্যে ৫০ শতাংশ মালিকানা রয়েছে শেয়ারবাজারের বিভিন্ন শ্রেণীর (উদ্যোক্তা/পরিচালক ব্যতিত) বিনিয়োগকারীদের হাতে। বুধবার (০৩ মার্চ) লেনদেন শেষে কোম্পানিটির শেয়ার দর দাড়িঁয়েছে ১১ টাকায়।

বিজনেস আওয়ার/০৪ মার্চ, ২০২১/আরএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

মেঘনা পেট ইন্ডাস্ট্রিজে অদাবিকৃত ১.২০ কোটি টাকার লভ্যাংশ

পোস্ট হয়েছে : ১০:১৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ মার্চ ২০২১

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত মেঘনা পেট ইন্ডাস্ট্রিজে ১ কোটি ২০ লাখ টাকার অদাবিকৃত বা অবণ্ঠিত লভ্যাংশ রয়েছে। যা অনেক বছর আগেই ঘোষণা ও বার্ষিক সাধারন সভায় (এজিএম) অনুমোদিত হয়েছিল।

কোম্পানিটির ২০১৯-২০ অর্থবছরের আর্থিক হিসাব নিরীক্ষায় নিরীক্ষক এ তথ্য জানিয়েছেন।

নিরীক্ষক জানিয়েছেন, মেঘনা পেট ইন্ডাস্ট্রিজের আর্থিক হিসাবে ২ কোটি ২৬ লাখ টাকার মজুদ পণ্য দেখানো হয়েছে। কিন্তু এর বিপরীতে প্রমাণাদির সীমাবদ্ধতা ছিল। আর ২০২০ সালের ৩০ জুন স্বশরীরে গণনা করা যায়নি। ফলে কোম্পানিটির মজুদ পণ্যের সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি। একইসঙ্গে ওই মজুদ পণ্যের জন্য আর্থিক হিসাবে কোন সমন্বয়ের প্রয়োজন আছে কিনা, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। যে কোম্পানিটির উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

কোম্পানিটি সয়াবিন তেল কেনার জন্য অগ্রিম ১ কোটি ৮৫ লাখ টাকা অগ্রিম প্রদান করেছে বলে আর্থিক হিসাবে উল্লেখ করেছে। যা দীর্ঘদিন ধরে দেখিয়ে আসছে। তবে কোন বিশ্বাসযোগ্য ডকুমেন্টসের মাধ্যমে তা যাচাই করা যায়নি বলে জানিয়েছেন নিরীক্ষক।

উল্লেখ্য, ২০০১ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া মেঘনা পেটের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ১২ কোটি টাকা। এরমধ্যে ৫০ শতাংশ মালিকানা রয়েছে শেয়ারবাজারের বিভিন্ন শ্রেণীর (উদ্যোক্তা/পরিচালক ব্যতিত) বিনিয়োগকারীদের হাতে। বুধবার (০৩ মার্চ) লেনদেন শেষে কোম্পানিটির শেয়ার দর দাড়িঁয়েছে ১১ টাকায়।

বিজনেস আওয়ার/০৪ মার্চ, ২০২১/আরএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: