ঢাকা , রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ক্যাপিটল ভবনে আবারও হামলার শঙ্কা

  • পোস্ট হয়েছে : ১১:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ মার্চ ২০২১
  • 51

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রের প্রতীক ক্যাপিটল ভবনে আবারও হামলার আশঙ্কার কথা জানিয়েছে দেশটির পুলিশ। এরপর ভবনের আশেপাশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) এই হামলা হতে পারে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে ক্যাপিটল পুলিশ।

যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে ক্যাপিটল ভবনে সবচেয়ে বড় হামলার দুই মাসেরও কম সময়ের মধ্যে আবারও হামলার আশঙ্কায় সৃষ্টি হয়েছে আতঙ্ক। এদিকে হামলার আশঙ্কা এবং আইনপ্রণেতাদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে কংগ্রেসের অধিবেশন স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন।

এক বিবৃতিতে ক্যাপিটল পুলিশ জানায়, সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ক্যাপিটলে হামলা চলাতে পারে; এমন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, কংগ্রেসের সদস্যদের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য যেকোন হামলা মোকাবিলায় তারা প্রস্তুত রয়েছেন। (হামলার বিষয়ে পাওয়া) গোয়েন্দা তথ্যকে আমরা খুবই গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছি।

তবে কোন সন্ত্রাসী গোষ্ঠী, কখন বা কীভাবে এই হামলার ঘটনা ঘটাতে পারে সে বিষয়ে কিছু জানায়নি পুলিশ। বিবৃতিতে বলা হয়, তথ্যটি খুব সংবেদনশীল হওয়ার কারণে আমরা এর বেশি কোনো তথ্য এই মুহূর্তে দিতে পারছি না। ক্যাপিটল ভবনের ওপরে হামলার যেকোনো হুমকি বানচাল করতে স্থানীয়, প্রাদেশিক এবং কেন্দ্রীয় অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করছি আমরা।

উল্লেখ্য, গত ৬ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট ভবন ক্যাপিটলে জো বাইডেনকে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্বীকৃতি দিতে যৌথ অধিবেশন বসেছিল কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস এবং উচ্চকক্ষ সিনেট সদস্যদের। অধিবেশন চলাকালে সেখানে হামলা করেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের কয়েক হাজার উন্মত্ত সমর্থক। ওই দাঙ্গায় পুলিশ সদস্যসহ নিহত হয়েছিলেন ৫ জন।

ক্ষমতা থেকে বিদায় নেওয়ার মাত্র দুই সপ্তাহ আগে হওয়া এই হামলার ঘটনায় ট্রাম্পের উস্কানি ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে ট্রাম্প এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এমনকি এই অভিযোগে প্রতিনিধি পরিষদে অভিশংসিত হলেও সিনেটে চূড়ান্ত অভিশংসনের হাত থেকে রেহাই পেয়েছেন তিনি। এই ঘটনার পর সমালোচনার মুখে ক্যাপিটল পুলিশের প্রধান পদত্যাগ করেছিলেন।

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ডেমোক্র্যাটদের অভিযোগ ছিল, নির্বাচনে কারচুপি ও জালিয়াতি হয়েছে বলে ট্রাম্প একের পর এক প্রমাণহীন অভিযোগ দিতে থাকেন। কিন্তু তার ওই অভিযোগ ছিল পুরোপুরি মিথ্যা। তারপর কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনের সময় ক্যাপিটল ভবনে যেতে সমর্থকদের উস্কানি দিয়েছেন ট্রাম্প। নির্বাচনে জালিয়াতির কথা শুনে সমর্থকরা আগে থেকেই উত্তেজিত ছিলেন।

কিন্তু এর সঙ্গে যোগ হয়েছিল হামলার উস্কানি। এ কারণেই ক্যাপিটল ভবনে হামলা করে ট্রাম্প সমর্থকরা। গত ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল ভবনের পাশে একটি পার্কে আয়োজিত সমাবেশে ভাষণ দেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, এরপরই কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে হামলা চালায় তার সমর্থকরা

বিজনেস আওয়ার/০৪ মার্চ, ২০২১/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

ক্যাপিটল ভবনে আবারও হামলার শঙ্কা

পোস্ট হয়েছে : ১১:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ মার্চ ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রের প্রতীক ক্যাপিটল ভবনে আবারও হামলার আশঙ্কার কথা জানিয়েছে দেশটির পুলিশ। এরপর ভবনের আশেপাশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) এই হামলা হতে পারে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে ক্যাপিটল পুলিশ।

যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে ক্যাপিটল ভবনে সবচেয়ে বড় হামলার দুই মাসেরও কম সময়ের মধ্যে আবারও হামলার আশঙ্কায় সৃষ্টি হয়েছে আতঙ্ক। এদিকে হামলার আশঙ্কা এবং আইনপ্রণেতাদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে কংগ্রেসের অধিবেশন স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন।

এক বিবৃতিতে ক্যাপিটল পুলিশ জানায়, সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ক্যাপিটলে হামলা চলাতে পারে; এমন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, কংগ্রেসের সদস্যদের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য যেকোন হামলা মোকাবিলায় তারা প্রস্তুত রয়েছেন। (হামলার বিষয়ে পাওয়া) গোয়েন্দা তথ্যকে আমরা খুবই গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছি।

তবে কোন সন্ত্রাসী গোষ্ঠী, কখন বা কীভাবে এই হামলার ঘটনা ঘটাতে পারে সে বিষয়ে কিছু জানায়নি পুলিশ। বিবৃতিতে বলা হয়, তথ্যটি খুব সংবেদনশীল হওয়ার কারণে আমরা এর বেশি কোনো তথ্য এই মুহূর্তে দিতে পারছি না। ক্যাপিটল ভবনের ওপরে হামলার যেকোনো হুমকি বানচাল করতে স্থানীয়, প্রাদেশিক এবং কেন্দ্রীয় অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করছি আমরা।

উল্লেখ্য, গত ৬ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট ভবন ক্যাপিটলে জো বাইডেনকে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্বীকৃতি দিতে যৌথ অধিবেশন বসেছিল কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস এবং উচ্চকক্ষ সিনেট সদস্যদের। অধিবেশন চলাকালে সেখানে হামলা করেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের কয়েক হাজার উন্মত্ত সমর্থক। ওই দাঙ্গায় পুলিশ সদস্যসহ নিহত হয়েছিলেন ৫ জন।

ক্ষমতা থেকে বিদায় নেওয়ার মাত্র দুই সপ্তাহ আগে হওয়া এই হামলার ঘটনায় ট্রাম্পের উস্কানি ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে ট্রাম্প এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এমনকি এই অভিযোগে প্রতিনিধি পরিষদে অভিশংসিত হলেও সিনেটে চূড়ান্ত অভিশংসনের হাত থেকে রেহাই পেয়েছেন তিনি। এই ঘটনার পর সমালোচনার মুখে ক্যাপিটল পুলিশের প্রধান পদত্যাগ করেছিলেন।

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ডেমোক্র্যাটদের অভিযোগ ছিল, নির্বাচনে কারচুপি ও জালিয়াতি হয়েছে বলে ট্রাম্প একের পর এক প্রমাণহীন অভিযোগ দিতে থাকেন। কিন্তু তার ওই অভিযোগ ছিল পুরোপুরি মিথ্যা। তারপর কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনের সময় ক্যাপিটল ভবনে যেতে সমর্থকদের উস্কানি দিয়েছেন ট্রাম্প। নির্বাচনে জালিয়াতির কথা শুনে সমর্থকরা আগে থেকেই উত্তেজিত ছিলেন।

কিন্তু এর সঙ্গে যোগ হয়েছিল হামলার উস্কানি। এ কারণেই ক্যাপিটল ভবনে হামলা করে ট্রাম্প সমর্থকরা। গত ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল ভবনের পাশে একটি পার্কে আয়োজিত সমাবেশে ভাষণ দেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, এরপরই কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে হামলা চালায় তার সমর্থকরা

বিজনেস আওয়ার/০৪ মার্চ, ২০২১/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: