বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রভাব বাড়লেও দেশে শেয়ারবাজার আর বন্ধ রাখা হবে না বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
বিএসইসি থেকে জানানো হয়, সম্প্রতি করোনার প্রভাব বেড়েছে। এ বিষয়টিকে কেন্দ্র করে বেশকিছু কারসাজি চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তারা শেয়ারবাজার বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে গুজব ছড়িয়ে বিনিয়োগকারীদের বিভ্রান্ত করা চেষ্টা করছে। শেয়ারবাজারকে প্রভাবিত করতে কিছু চক্র এ ধরনের গুজব ছড়াচ্ছে। শেয়ারবাজার বন্ধ রাখার কোনো পরিকল্পনা নেই কমিশনের। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে ব্যাংক খোলা থাকলে। একই সাথে শেয়ারবাজারও খোলা থাকবে।
জানা গেছে, সম্প্রতি দেশের শেয়ারবাজারে সবচেয়ে বেশিমাত্রায় গুজব ছড়ানো হচ্ছে- করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়েছে, তাই শেয়ারবাজার বন্ধ করে দেওয়া হবে। বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউজে এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছেন বিনিয়োগকারীরা। অনেকেই আতঙ্কে শেয়ার বিক্রি করে দিচ্ছেন। তবে শেয়ারবাজার বন্ধ না রাখার পক্ষে রয়েছেন অধিকাংশ বিনিয়োগকারীরা।
শেয়ারবাজার বন্ধ করে দেওয়া হবে- এমন গুজব সম্পর্কে জানতে চাইলে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, করোনার সংক্রমণের প্রভাবে শেয়ারবাজার বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে এক শ্রেণির সংঘবদ্ধ চক্র গুজব ছড়াচ্ছে। খবরটি পুরোপুরি ভিত্তিহীন। বিএসইসি এখনও পর্যন্ত এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি। বিএসইসির এ ধরনের কোনো পরিকল্পনাও নেই। ব্যাংক খোলা থাকলে শেয়ারবাজারও খোলা থাকবে। তাই বিনিয়োগকারীদের এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকার গত বছরের ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি ঘোষণার সঙ্গে সমন্বয় করে শেয়ারবাজারের লেনদেনও বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে বিনিয়োগকারীসহ সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের অনুরোধে ৬৬ দিন বন্ধ থাকার পর অর্থাৎ ২০২০ সালের ৩০ মে শেয়ারবাজারের লেনদেন চালু করা হয়। বাংলাদেশের ইতিহাসে এতো দীর্ঘ সময় শেয়ারবাজার বন্ধ ছিল।
বিজনেস আওয়ার/১৮ মার্চ, ২০২১/এস