বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : আগামীকাল সোমবার থেকে দেশে শুরু হচ্ছে এক সপ্তাহের লকডাউন। শনিবার (৩ এপ্রিল) এই বার্তা প্রচারের পর থেকেই রাজধানী থেকে বিভিন্ন জেলায় বাস, ট্রেন ও লঞ্চে যাত্রীর চাপ বেড়েছে। এছাড়া বিভিন্ন জেলায় অবস্থানরত ব্যক্তিরা ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছেন। বাড়তি ভাড়া দিয়েই তারা যাত্রা শুরু করছেন।
রাজধানীর মহাখালী, সায়েদাবাদ, গাবতলি বাস টার্মিনালে যাত্রী বেড়েছে। একই সাথে সকাল থেকেই রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাটে বাড়তে শুরু করেছে যাত্রীর চাপ। শনিবার সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন রাস্তায় বাড়িমুখো মানুষের ভিড় বেড়েছে। এদিকে, বাস টার্মিনালে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত। অনেকেই ঘুরছেন মাস্ক ছাড়া।
গাবতলীতে গিয়ে দেখা গেছে, এক সপ্তাহের লকডাউনের ঘোষণা শোনার পরপরই কাউন্টারগুলোতে টিকিটপ্রত্যাশীরা যোগাযোগ শুরু করেন। অনেকে আবার সপরিবারে সকাল-সকাল টার্মিনালে এসে টিকিটের জন্য অপেক্ষা করছেন। তবে কাউন্টারগুলো থেকে নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অতিরিক্ত টাকা নেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা।
টিকিটের জন্য অপেক্ষমান নজরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি বলেন, গতকাল শুনলাম লকডাউন আসছে তাই পরিবারসহ বাড়ি চলে যাচ্ছি। টিকিটের জন্য অপেক্ষা করছি। টিকিট পেলে রওনা দেব।
মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থী সুমাইয়া ও শারমিন বলেন, আগামীকাল থেকে লকডাউন আসছে এ কারণে আমাদের কলেজ ছুটি দিয়েছে। হোস্টেলের সব ছাত্রীরা বাড়ি ফিরে যাচ্ছে। এক ঘণ্টা অপেক্ষা করে টিকিট সংগ্রহ করেছি। বেলা সাড়ে ১২টায় বাস ছাড়বে।
বেসরকারি চাকরিজীবী রফিকুল ইসলাম বলেন, একটি আইটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করি আমি। আমি নিজেও একটু অসুস্থ। যে কারণে লকডাউনের সময় আমাকে হোম অফিসের সুযোগ দিয়েছে অফিস। তাই লকডাউনের সময়ে ঢাকায় না থেকে বাড়ি চলে যাচ্ছি।
নির্মাণ শ্রমিক রইচ উদ্দিন বলেন, নির্মাণাধীন একটি ভবনে কাজ করতাম। কিন্তু কাল (সোমবার) থেকে লকডাউন, তাই কাজ বন্ধ। এই সময় আমরা খাবো কী, করব কী? তাই বাধ্য হয়েই আজ ঢাকা থেকে চলে যাচ্ছি। আমাদের চাঁপাইনবাবগঞ্জের অনেকে নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে ঢাকায় কাজ করেন। এদের বেশিরভাগই আজ ঢাকা ছেড়ে চলে যাচ্ছে।
বিজনেস আওয়ার/০৪ এপ্রিল, ২০২১/এ