বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার আরোপিত কঠোর বিধিনিষেধের দ্বিতীয় দিন আজ। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) সকাল থেকে অফিস ও জরুরি কাজে বাইরে বের হওয়া মানুষদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। রিকশা ছাড়া কোনো পরিবহনই পাচ্ছেন না নগরবাসী। যেকোনো গন্তব্যে যেতে রিকশাই এখন রাজধানীবাসীর একমাত্র ভরসা।
রাজধানীবাসীর অনেকের অফিস খোলা থাকায় বাইরে যেতে হচ্ছে। আবার নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে বা ওষুধের জন্যও কেউ কেউ বের হচ্ছেন। এদের অনেকেই বয়স্ক বা রোগী। তাদের পক্ষে দীর্ঘ পথ হেঁটে যাওয়া সম্ভব নয়। তাই সবাইকে রিকশা নিয়েই গন্তব্যে ছুটতে হচ্ছে। মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর আসাদগেট, ধানমন্ডি, কলাবাগান, সায়েন্স ল্যাবরেটরি ও নিউমার্কেট এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
নিউমার্কেট থেকে রিকশাযোগে মতিঝিলে যাওয়া বেসরকারি ব্যাংকে কর্মরত সালাউদ্দিন বলেন, অফিস খোলা রেখে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ রাখার মতো অযৌক্তিক সিদ্ধান্তের ফলে সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। কোনও গাড়ি চলছে না। তাই বাধ্য হয়েই রিকশায় যেতে হচ্ছে। কষ্ট যত আমাদের মতো কর্মজীবী মানুষদের। আসোলে কিছু বলার নেই।
এদিকে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় রিকশার চাহিদা বেশি। এই সুযোগে রিকশাচালকরাও ভাড়া বেশি নিচ্ছেন বলে অভিযোগ যাত্রীদের। অনিল দাস নামে একজন বললেন, আগে নিউমার্কেট থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত যেতে ৪০ টাকা রিকশা ভাড়া লাগত। এখন রিকশাচালকরা ১২০-১৫০ টাকা চাইছেন। এত বেশি ভাড়া দিয়ে কীভাবে যাব?
তবে বেশিরভাগ রিকশাচালকই অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ মানতে নারাজ। তাদের মতে, গণপরিবহন বন্ধ থাকার পরও যাত্রীদের যেভাবে গন্তব্যস্থলে পৌঁছে দিচ্ছেন তাতে একটু বেশি ভাড়াই ন্যায্য। হাসেম আলী নামে এক রিকশাচালক বললেন, আমরা লকডাউনে ঢাকায় থেকে মানুষের উপকার করছি। এছাড়া চাল-ডাল সবকিছুর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। একটু বেশি টাকা না দিলে আমাদের সংসার চলবে কীভাবে?
বিজনেস আওয়ার/০৬ এপ্রিল, ২০২১/এ