ঢাকা , সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রভিশনিং ঘাটতিতে ফার্স্ট ফাইন্যান্স

  • পোস্ট হয়েছে : ০১:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ এপ্রিল ২০২১
  • 62

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ফার্স্ট ফাইন্যান্সের প্রদত্ত ঋণের বিপরীতে ৪৬ কোটি টাকার প্রভিশনিং ঘাটতি রয়েছে। তবে এই ঘাটতি সমন্বয়ে কোম্পানিটিকে ৫ বছর (২০২০-২০২৪ সাল) সময় দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

সম্প্রতি কোম্পানিটির প্রকাশিত ২০১৯ সালের আর্থিক হিসাব নিরীক্ষায় এই মন্তব্য করেছেন নিরীক্ষক।

নিরীক্ষক জানিয়েছেন, কোম্পানিটির এফআইসিএল স্টেটমেন্ট ও লেজারে ঋণের হিসাবে ২০ কোটি ৫৮ লাখ টাকার পার্থক্য বা গরমিল রয়েছে। তবে এই গরমিল সমন্বয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ৩ বছরের সময় পেয়েছে কোম্পানিটি। এরমধ্যে ২০১৯ সালে ৬ কোটি ৮৬ লাখ টাকা সমন্বয় করা হয়েছে। এখনো গরমলি রয়েছে ১৩ কোটি ৭২ লাখ টাকা।

কোম্পানি কর্তৃপক্ষ ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ২৪ কোটি ১৫ লাখ টাকার সুদজনিত ব্যয় কম দেখিয়েছে। তবে ২০১৭ সালের জুন মাস থেকে এই বিষয়টি সমন্বয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ৩ বছরের সময় পেয়েছে। যা সমন্বয়ে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ ‘ডেফার্ড ইন্টারেস্ট এক্সপেন্স’ হিসেবে ব্যালেন্স শীটে সম্পদ গঠন করে। যা ওই সময় থেকে এমরটাইজড করা হচ্ছে। তবে এখনো ৮ কোটি ৩০ লাখ টাকা এমরটাইজড করতে হবে। এরমধ্যে অবশ্য ২০১৯ সালে ৮ কোটি ৮ লাখ টাকা ব্যয় হিসেবে দেখানো হয়েছে। বাকি ২২ লাখ টাকা ২০ সালে দেখানো হবে।

ফিন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিলের (এফআরসি) গত বছরের ২ মার্চের এক নির্দেশনায় শেয়ার মানি ডিপোজিটকে অফেরতযোগ্য ও ৬ মাসের মধ্যে শেয়ার ক্যাপিটালে রুপান্তর করার কথা বলা হয়েছে। এছাড়া শেয়ার মানি ডিপোজিটকে শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) গণনায় বিবেচনায় নিতে বলা হয়েছে। তবে ফার্স্ট ফাইন্যান্স কর্তৃপক্ষ এফআরসির এই নির্দেশনা মানছে না বলে জানিয়েছেন নিরীক্ষক।

কোম্পানিটির কাছে শেয়ার মানি ডিপোজিট হিসাবে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা আছে। কিন্তু কোম্পানি কর্তৃপক্ষ এই শেয়ার মানি ডিপোজিটকে শেয়ার ক্যাপিটালে রুপান্তর করেনি।

এই কোম্পানি কর্তৃপক্ষ অফিস ভাড়ার ক্ষেত্রে আইএফআরএস-১৬ পরিপালন করেনি ও শ্রম আইন মানছে না বলে জানিয়েছেন নিরীক্ষক।

উল্লেখ্য, ২০০৩ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া ফার্স্ট ফাইন্যান্সের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ১১৬ কোটি ২২ লাখ টাকা। এরমধ্যে শেয়ারবাজারের বিভিন্ন শ্রেণীর (উদ্যোক্তা/পরিচালক ব্যতিত) বিনিয়োগকারীদের মালিকানা ৫৮.৬৯ শতাংশ। দূর্বল ব্যবসার এ কোম্পানিটির ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের শেয়ারটি সোমবার (০৫ এপ্রিল) লেনদেন শেষে দাড়িঁয়েছে ৬.৭০ টাকায়।

আরও পড়ুন……
সম্পদ বেশি দেখিয়েছে বিডি অটোকার্স

বিজনেস আওয়ার/০৬ এপ্রিল, ২০২১/আরএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

One thought on “প্রভিশনিং ঘাটতিতে ফার্স্ট ফাইন্যান্স

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

প্রভিশনিং ঘাটতিতে ফার্স্ট ফাইন্যান্স

পোস্ট হয়েছে : ০১:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ এপ্রিল ২০২১

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ফার্স্ট ফাইন্যান্সের প্রদত্ত ঋণের বিপরীতে ৪৬ কোটি টাকার প্রভিশনিং ঘাটতি রয়েছে। তবে এই ঘাটতি সমন্বয়ে কোম্পানিটিকে ৫ বছর (২০২০-২০২৪ সাল) সময় দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

সম্প্রতি কোম্পানিটির প্রকাশিত ২০১৯ সালের আর্থিক হিসাব নিরীক্ষায় এই মন্তব্য করেছেন নিরীক্ষক।

নিরীক্ষক জানিয়েছেন, কোম্পানিটির এফআইসিএল স্টেটমেন্ট ও লেজারে ঋণের হিসাবে ২০ কোটি ৫৮ লাখ টাকার পার্থক্য বা গরমিল রয়েছে। তবে এই গরমিল সমন্বয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ৩ বছরের সময় পেয়েছে কোম্পানিটি। এরমধ্যে ২০১৯ সালে ৬ কোটি ৮৬ লাখ টাকা সমন্বয় করা হয়েছে। এখনো গরমলি রয়েছে ১৩ কোটি ৭২ লাখ টাকা।

কোম্পানি কর্তৃপক্ষ ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ২৪ কোটি ১৫ লাখ টাকার সুদজনিত ব্যয় কম দেখিয়েছে। তবে ২০১৭ সালের জুন মাস থেকে এই বিষয়টি সমন্বয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ৩ বছরের সময় পেয়েছে। যা সমন্বয়ে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ ‘ডেফার্ড ইন্টারেস্ট এক্সপেন্স’ হিসেবে ব্যালেন্স শীটে সম্পদ গঠন করে। যা ওই সময় থেকে এমরটাইজড করা হচ্ছে। তবে এখনো ৮ কোটি ৩০ লাখ টাকা এমরটাইজড করতে হবে। এরমধ্যে অবশ্য ২০১৯ সালে ৮ কোটি ৮ লাখ টাকা ব্যয় হিসেবে দেখানো হয়েছে। বাকি ২২ লাখ টাকা ২০ সালে দেখানো হবে।

ফিন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিলের (এফআরসি) গত বছরের ২ মার্চের এক নির্দেশনায় শেয়ার মানি ডিপোজিটকে অফেরতযোগ্য ও ৬ মাসের মধ্যে শেয়ার ক্যাপিটালে রুপান্তর করার কথা বলা হয়েছে। এছাড়া শেয়ার মানি ডিপোজিটকে শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) গণনায় বিবেচনায় নিতে বলা হয়েছে। তবে ফার্স্ট ফাইন্যান্স কর্তৃপক্ষ এফআরসির এই নির্দেশনা মানছে না বলে জানিয়েছেন নিরীক্ষক।

কোম্পানিটির কাছে শেয়ার মানি ডিপোজিট হিসাবে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা আছে। কিন্তু কোম্পানি কর্তৃপক্ষ এই শেয়ার মানি ডিপোজিটকে শেয়ার ক্যাপিটালে রুপান্তর করেনি।

এই কোম্পানি কর্তৃপক্ষ অফিস ভাড়ার ক্ষেত্রে আইএফআরএস-১৬ পরিপালন করেনি ও শ্রম আইন মানছে না বলে জানিয়েছেন নিরীক্ষক।

উল্লেখ্য, ২০০৩ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া ফার্স্ট ফাইন্যান্সের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ১১৬ কোটি ২২ লাখ টাকা। এরমধ্যে শেয়ারবাজারের বিভিন্ন শ্রেণীর (উদ্যোক্তা/পরিচালক ব্যতিত) বিনিয়োগকারীদের মালিকানা ৫৮.৬৯ শতাংশ। দূর্বল ব্যবসার এ কোম্পানিটির ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের শেয়ারটি সোমবার (০৫ এপ্রিল) লেনদেন শেষে দাড়িঁয়েছে ৬.৭০ টাকায়।

আরও পড়ুন……
সম্পদ বেশি দেখিয়েছে বিডি অটোকার্স

বিজনেস আওয়ার/০৬ এপ্রিল, ২০২১/আরএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: