ঢাকা , শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নিজেদের নির্দোষ দাবি করে বিগত কমিশনকে দোষারোপ: কিন্তু বর্তমান কমিশনার মিজানও ক্ষুব্ধ

  • পোস্ট হয়েছে : ১১:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ মে ২০২১
  • 56

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : আইন লঙ্ঘন এবং আর্থিক কেলেঙ্কারিসহ সব অভিযোগের বিষয়ে নিজেদেরকে নির্দোষ দাবি করেছেন এলআর গ্লোবালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রিয়াজ ইসলাম। এজন্য মূলত তিনি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সাবেক দুইজন কমিশনারকে দোষারোপ করেছেন। যাদের কাছ থেকে নানা হয়রানি হওয়ার কথা তুলে ধরে তিনি বলেছেন, বিএসইসির সাবেক দু’জন কমিশনার আমাদের জীবন হেল (নরক) করে দিয়েছিল। তবে এখন সেই অবস্থা থেকে বেরিয়ে এসেছি। নিয়ন্ত্রক সংস্থার নতুন কমিশন আমাদেরকে সাহায্য করছে। কিন্তু বিএসইসির বর্তমানে মিউচ্যুয়াল ফান্ড বিভাগের দায়িত্বে থাকা কমিশনার ড. মিজানুর রহমানও অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিটির কর্মকান্ডে ক্ষুব্ধ।

শনিবার (৮ মে) ঢাকার প্রগতি সরণিতে অবস্থিত অ্যামচেম কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নিজেদেরকে নির্দোষ দাবি করে এসব কথা বলেন রিয়াজ ইসলাম।

তবে অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিটি বিভিন্ন অনিয়মে জড়িয়ে থাকলেও শাস্তির আওতায় না আনার জন্য বিএসইসি চেয়ারম্যানের উদাসীনতা বা ছাড় দেওয়াকে দায়ী করেছেন কমিশনার ড. মিজানুর রহমান। তিনি এক চিঠিতে অ্যাসেট ম্যানেজার প্রতিষ্ঠানটির “আইন লঙ্ঘন” এবং একাধিক “আর্থিক কেলেঙ্কারির বিষয়ে চেয়ারম্যান শিবলি রুবাইয়াত-উল-ইসলামের বিরুদ্ধে উপেক্ষা করার অভিযোগ এনেছেন”।

গত ৯ মার্চের এক চিঠিতে মিজানুর রহমান বলেছেন, অনিয়মের দায়ে এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশ, এর প্রধান নির্বাহি কর্মকর্তা (সিইও) এবং অন্যান্য ম্যানেজমেন্ট নির্বাহিদেরকে তদন্ত কমিটির সুপারিশের আলোকে কমিশন আইনগত ব্যবস্থা নিতে দায়বদ্ধ।

পাঁচ পৃষ্ঠার ওই চিঠিতে ছয়টি তালিকাভুক্ত মিউচুয়াল ফান্ডের পরিচালক সম্পদ ব্যবস্থাপক এলআর গ্লোবালের অনিয়ম তুলে ধরা হয়। এই অ্যাসেট ম্যানেজার ক্রমাগত আর্থিক কেলেঙ্কারি করে যাচ্ছে। এরমধ্যে অর্থপাচার, ব্যক্তিগত লাভের জন্য মিউচুয়াল ফান্ডের সম্পদের অপব্যবহার এবং অবৈধ বিনিয়োগ এবং ব্যয় রয়েছে বলে চিঠিতে বলা হয়।

গত নভেম্বরে বিএসইসির তদন্ত কমিটি এলআর গ্লোবালকে ছয়টি মিউচ্যুয়াল ফান্ড থেকে বহিষ্কার করার এবং বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষার জন্য ফান্ডগুলোকে অন্য সম্পদ ব্যবস্থাপক প্রতিষ্ঠানে স্থানান্তরের সুপারিশ করে।

বিএসইসির কমিশনার মিজান অভিযোগ করেন, “বিএসইসির চেয়ারম্যান এই ধারাবাহিক আর্থিক কেলেঙ্কারি ও আইন লঙ্ঘনের বিষয়টি উপেক্ষা করতে চান। যে কারনে মিজানুর রহমান গত ৩ ফেব্রুয়ারি কমিশন সভায় হতাশা প্রকাশ করে বলেন, বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ হলেও কমিশন আইন বিভাগের বিবিধ এজেন্ডা ছাড়া, এমনকি ওয়ার্কিং পেপার ছাড়াই হালকাভাবে আলোচনা করেছিল।

যা মিউচ্যুয়াল ফান্ড বিভাগের সঙ্গে পরামর্শও করা হয়নি এবং বিষয়টি সর্ম্পক্যে আগে জানানো হয়নি। চেয়ারম্যান এই বিভাগের অফিশিয়াল মতামত নেওয়া পছন্দ করেনি। যা সংশ্লিষ্ট বিভাগের দায়িত্বে থাকা কমিশনারের কাছে বোধগম্য নয় বলে চিঠিতে লেখা হয়েছে।

এছাড়া ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে গ্রীন ডেল্টা মিউচুয়াল ফান্ড ও ডিবিএইচ ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ডের অ্যাসেট ম্যানেজার প্রতিষ্ঠান পরিবর্তনে সংখ্যাগরিষ্ঠ ইউনিটোল্ডারদের রায় প্রত্যাহার করারও সমালোচনা করেছেন মিজানুর রহমান। শেয়ারবাজারে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করার ক্ষেত্রে কমিশনের এই অ্যাসেট ম্যানেজার পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার গুরুতর ভুল হবে। যা ৯৩টি মিউচুয়াল ফান্ডের উপর সুশাসন নিশ্চিত করতে এবং হাজার হাজার মিউচুয়াল ফান্ড বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষা করতে কমিশনের নিয়ন্ত্রন কার্যকারিতা ক্ষতিগ্রস্থ করবে।

বর্তমান কমিশনার মিজানুর রহমান এলআর গ্লোবালের বিরুদ্ধে এই গুরুতর অভিযোগ তুললেও রিয়াজ ইসলাম আজকের সংবাদ সম্মেলনে শুধুমাত্র বিগত কমিশনকে দোষারোপ করেছেন।

এজন্যই আজকের সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিক বলেছিলেন, যে কমিশন দায়িত্বে থাকে, তখন তারা ভালো। দায়িত্ব থেকে চলে গেলেই খারাপ হয়ে যায়। হয়তো বর্তমান কমিশনও যখন বিদায় নেবে, তখন তারা খারাপ হয়ে যাবে।

রিয়াজ ইসলাম বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তোলা হয়েছিল, তার ৯৯ শতাংশ ফেব্রিকেটেড (বানোয়াট)। আমরা আদালতেও গিয়েছিলাম। আর বিদেশী শেয়ারহোল্ডারদের অভিযোগের বিষয়ে বলেন, এটা অন্যকোনভাবে করা হয়েছে। বিষয়টি বিদেশী শেয়ারহোল্ডারেরাও জানে না।

এ সময় বিএসইসির নতুন কমিশনের প্রশংসা করে তিনি বলেন, কারসাজির সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করা, তাদের জরিমানা করা, বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য বিদেশে রোড শো করা, আইপিও অনুমোদন প্রক্রিয়া সহজ করা, ভালো শেয়ারের সরবরাহ বাড়ানো, বন্ড মার্কেটের উন্নয়ন, নতুন নতুন পণ্য চালু করা, বাজারকে স্থিতিশীল করতে ২১ হাজার কোটি টাকার তহবিল গঠন, সামগ্রিকভাবে স্বচ্ছ এবং বিনিয়োগবান্ধব একটি পরিবেশ গড়ে তোলার চেষ্টাসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে বর্তমান কমিশন।

তিনি বলেন, বিনিয়োগকারীদের মধ্যে তথ্য আর বিনিয়োগ সম্পর্কিত জ্ঞানের ঘাটতি রয়েছে। এলআর গ্লোবাল এই ঘাটতি পূরণে সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করতে চায়। এজন্য তারা সর্বশক্তি নিয়োগ করবে।

রিয়াজ ইসলাম বলেন, যাত্রা শুরুর পর থেকে নানা চ্যালেঞ্জের মধ্যেও এলআর গ্লোবাল দেশের অন্যতম সেরা অ্যাসেট ম্যানেজার হিসেবে নিজেদের অবস্থান ধরে রেখেছে। এলআর গ্লোবালের দায়িত্বে থাকা ফান্ডগুলো বাজারের তুলনায় বছরে গড়ে ৫ শতাংশ ভালো ফল দেখিয়েছে, ডিভিডেন্ড দিয়েছে ৪৬.৬০ শতাংশের বেশি।

বিজনেস আওয়ার/০৮ মে, ২০২১/আরএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

ডিএসই ট্রেনিং একাডেমীর ফান্ডামেন্টাল এনালাইসিস, ইনভেস্টমেন্ট টেকনিকস এন্ড টুলস” শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

নিজেদের নির্দোষ দাবি করে বিগত কমিশনকে দোষারোপ: কিন্তু বর্তমান কমিশনার মিজানও ক্ষুব্ধ

পোস্ট হয়েছে : ১১:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ মে ২০২১

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : আইন লঙ্ঘন এবং আর্থিক কেলেঙ্কারিসহ সব অভিযোগের বিষয়ে নিজেদেরকে নির্দোষ দাবি করেছেন এলআর গ্লোবালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রিয়াজ ইসলাম। এজন্য মূলত তিনি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সাবেক দুইজন কমিশনারকে দোষারোপ করেছেন। যাদের কাছ থেকে নানা হয়রানি হওয়ার কথা তুলে ধরে তিনি বলেছেন, বিএসইসির সাবেক দু’জন কমিশনার আমাদের জীবন হেল (নরক) করে দিয়েছিল। তবে এখন সেই অবস্থা থেকে বেরিয়ে এসেছি। নিয়ন্ত্রক সংস্থার নতুন কমিশন আমাদেরকে সাহায্য করছে। কিন্তু বিএসইসির বর্তমানে মিউচ্যুয়াল ফান্ড বিভাগের দায়িত্বে থাকা কমিশনার ড. মিজানুর রহমানও অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিটির কর্মকান্ডে ক্ষুব্ধ।

শনিবার (৮ মে) ঢাকার প্রগতি সরণিতে অবস্থিত অ্যামচেম কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নিজেদেরকে নির্দোষ দাবি করে এসব কথা বলেন রিয়াজ ইসলাম।

তবে অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিটি বিভিন্ন অনিয়মে জড়িয়ে থাকলেও শাস্তির আওতায় না আনার জন্য বিএসইসি চেয়ারম্যানের উদাসীনতা বা ছাড় দেওয়াকে দায়ী করেছেন কমিশনার ড. মিজানুর রহমান। তিনি এক চিঠিতে অ্যাসেট ম্যানেজার প্রতিষ্ঠানটির “আইন লঙ্ঘন” এবং একাধিক “আর্থিক কেলেঙ্কারির বিষয়ে চেয়ারম্যান শিবলি রুবাইয়াত-উল-ইসলামের বিরুদ্ধে উপেক্ষা করার অভিযোগ এনেছেন”।

গত ৯ মার্চের এক চিঠিতে মিজানুর রহমান বলেছেন, অনিয়মের দায়ে এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশ, এর প্রধান নির্বাহি কর্মকর্তা (সিইও) এবং অন্যান্য ম্যানেজমেন্ট নির্বাহিদেরকে তদন্ত কমিটির সুপারিশের আলোকে কমিশন আইনগত ব্যবস্থা নিতে দায়বদ্ধ।

পাঁচ পৃষ্ঠার ওই চিঠিতে ছয়টি তালিকাভুক্ত মিউচুয়াল ফান্ডের পরিচালক সম্পদ ব্যবস্থাপক এলআর গ্লোবালের অনিয়ম তুলে ধরা হয়। এই অ্যাসেট ম্যানেজার ক্রমাগত আর্থিক কেলেঙ্কারি করে যাচ্ছে। এরমধ্যে অর্থপাচার, ব্যক্তিগত লাভের জন্য মিউচুয়াল ফান্ডের সম্পদের অপব্যবহার এবং অবৈধ বিনিয়োগ এবং ব্যয় রয়েছে বলে চিঠিতে বলা হয়।

গত নভেম্বরে বিএসইসির তদন্ত কমিটি এলআর গ্লোবালকে ছয়টি মিউচ্যুয়াল ফান্ড থেকে বহিষ্কার করার এবং বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষার জন্য ফান্ডগুলোকে অন্য সম্পদ ব্যবস্থাপক প্রতিষ্ঠানে স্থানান্তরের সুপারিশ করে।

বিএসইসির কমিশনার মিজান অভিযোগ করেন, “বিএসইসির চেয়ারম্যান এই ধারাবাহিক আর্থিক কেলেঙ্কারি ও আইন লঙ্ঘনের বিষয়টি উপেক্ষা করতে চান। যে কারনে মিজানুর রহমান গত ৩ ফেব্রুয়ারি কমিশন সভায় হতাশা প্রকাশ করে বলেন, বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ হলেও কমিশন আইন বিভাগের বিবিধ এজেন্ডা ছাড়া, এমনকি ওয়ার্কিং পেপার ছাড়াই হালকাভাবে আলোচনা করেছিল।

যা মিউচ্যুয়াল ফান্ড বিভাগের সঙ্গে পরামর্শও করা হয়নি এবং বিষয়টি সর্ম্পক্যে আগে জানানো হয়নি। চেয়ারম্যান এই বিভাগের অফিশিয়াল মতামত নেওয়া পছন্দ করেনি। যা সংশ্লিষ্ট বিভাগের দায়িত্বে থাকা কমিশনারের কাছে বোধগম্য নয় বলে চিঠিতে লেখা হয়েছে।

এছাড়া ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে গ্রীন ডেল্টা মিউচুয়াল ফান্ড ও ডিবিএইচ ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ডের অ্যাসেট ম্যানেজার প্রতিষ্ঠান পরিবর্তনে সংখ্যাগরিষ্ঠ ইউনিটোল্ডারদের রায় প্রত্যাহার করারও সমালোচনা করেছেন মিজানুর রহমান। শেয়ারবাজারে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করার ক্ষেত্রে কমিশনের এই অ্যাসেট ম্যানেজার পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার গুরুতর ভুল হবে। যা ৯৩টি মিউচুয়াল ফান্ডের উপর সুশাসন নিশ্চিত করতে এবং হাজার হাজার মিউচুয়াল ফান্ড বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষা করতে কমিশনের নিয়ন্ত্রন কার্যকারিতা ক্ষতিগ্রস্থ করবে।

বর্তমান কমিশনার মিজানুর রহমান এলআর গ্লোবালের বিরুদ্ধে এই গুরুতর অভিযোগ তুললেও রিয়াজ ইসলাম আজকের সংবাদ সম্মেলনে শুধুমাত্র বিগত কমিশনকে দোষারোপ করেছেন।

এজন্যই আজকের সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিক বলেছিলেন, যে কমিশন দায়িত্বে থাকে, তখন তারা ভালো। দায়িত্ব থেকে চলে গেলেই খারাপ হয়ে যায়। হয়তো বর্তমান কমিশনও যখন বিদায় নেবে, তখন তারা খারাপ হয়ে যাবে।

রিয়াজ ইসলাম বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তোলা হয়েছিল, তার ৯৯ শতাংশ ফেব্রিকেটেড (বানোয়াট)। আমরা আদালতেও গিয়েছিলাম। আর বিদেশী শেয়ারহোল্ডারদের অভিযোগের বিষয়ে বলেন, এটা অন্যকোনভাবে করা হয়েছে। বিষয়টি বিদেশী শেয়ারহোল্ডারেরাও জানে না।

এ সময় বিএসইসির নতুন কমিশনের প্রশংসা করে তিনি বলেন, কারসাজির সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করা, তাদের জরিমানা করা, বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য বিদেশে রোড শো করা, আইপিও অনুমোদন প্রক্রিয়া সহজ করা, ভালো শেয়ারের সরবরাহ বাড়ানো, বন্ড মার্কেটের উন্নয়ন, নতুন নতুন পণ্য চালু করা, বাজারকে স্থিতিশীল করতে ২১ হাজার কোটি টাকার তহবিল গঠন, সামগ্রিকভাবে স্বচ্ছ এবং বিনিয়োগবান্ধব একটি পরিবেশ গড়ে তোলার চেষ্টাসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে বর্তমান কমিশন।

তিনি বলেন, বিনিয়োগকারীদের মধ্যে তথ্য আর বিনিয়োগ সম্পর্কিত জ্ঞানের ঘাটতি রয়েছে। এলআর গ্লোবাল এই ঘাটতি পূরণে সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করতে চায়। এজন্য তারা সর্বশক্তি নিয়োগ করবে।

রিয়াজ ইসলাম বলেন, যাত্রা শুরুর পর থেকে নানা চ্যালেঞ্জের মধ্যেও এলআর গ্লোবাল দেশের অন্যতম সেরা অ্যাসেট ম্যানেজার হিসেবে নিজেদের অবস্থান ধরে রেখেছে। এলআর গ্লোবালের দায়িত্বে থাকা ফান্ডগুলো বাজারের তুলনায় বছরে গড়ে ৫ শতাংশ ভালো ফল দেখিয়েছে, ডিভিডেন্ড দিয়েছে ৪৬.৬০ শতাংশের বেশি।

বিজনেস আওয়ার/০৮ মে, ২০২১/আরএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: