বিজনেস আওয়ার ডেস্ক : মুসলমানদের কাছে অত্যন্ত মহিমান্বিত রাত হলো পবিত্র লাইলাতুল কদর বা শবে কদর রাত। শনিবার (৯ মে) সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হবে শবে কদরের রজনী। প্রতিবছর মাহে রমজানের ২৬ তারিখ দিবাগত রাতে শবে কদর পালন করা হয়।
এ রাত ‘হাজার মাসের চেয়েও উত্তম’। কারণ এই রাতে শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর ওপর পবিত্র কোরআন অবতীর্ণ হয় এবং এই রাতকে কেন্দ্র করে ‘কদর’ নামে একটি সুরাও নাজিল হয়। তাই মুসলমানদের কাছে শবে কদর অত্যন্ত মহিমান্বিত একটি রাত। কদরের রাতটি ইবাদত-বন্দেগিতে কাটিয়ে দেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।
এ রাতে ঝিকির-আজগার, ইবাদত-বন্দেগী ও কোরআন তিলাওয়াতের মধ্যদিয়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মহান রাব্বুল আলামিনের রহমত কামনা করে থাকেন। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর অনুসারীদের সম্মান বৃদ্ধি করা হয় এবং মানবজাতির ভাগ্য পুনর্নির্ধারণ করা হয় এই রাতে। সারা বিশ্বের মুসলমানদের কাছে তাই এই রাত অতীব পুণ্যময় ও মহিমান্বিত।
তবে শবে কদর কবে তা নিয়ে ইসলামি চিন্তাবিদদের মধ্যে দ্বিমত রয়েছে। ২০ রমজানের পর যেকোনো বিজোড় রাতে কদর হতে পারে। তবে ২৬ রমজানের দিবাগত রাতেই লাইলাতুল কদর বলে অভিমত অধিকাংশ আলেমের।
লাইলাতুল কদর উপলক্ষে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে আলোচনা, মিলাদ ও বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়াও দেশের সব মসজিদে দিন ও রাতব্যাপী বিশেষ ইবাদত-বন্দেগি, ওয়াজ মাহফিল, ধর্মীয় বয়ান ও আখেরি মোনাজাতের আয়োজন করা হয়েছে।
পবিত্র শবে কদর উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী প্রদান করেছেন।
বিজনেস আওয়ার/০৯ মে, ২০২১/এ