বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : রাজধানী ও রাজধানীর বাইরে বিভিন্ন বিপণি-বিতান, শপিংমল, কারখানা ও সেবা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করে ভ্যাট সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহের লক্ষে চারটি জরিপ টিম গঠন করেছে ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদফতর। সোমবার (২৪ মে) এই জরিপ টিম গঠন করা হয় বলে জানিয়েছেন নিরীক্ষা, গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের (মূল্য সংযোজন কর) মহাপরিচালক ড. মইনুল খান।
তিনি বলেন, এই চারটি টিম আজ ঢাকার চারটি ভ্যাট কমিশনারেটের (ঢাকা উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব ও পশ্চিম) আওতাধীন গুরুত্বপূর্ণ মার্কেটে জরিপ করছে। একটি টিম মোহাম্মদপুরের টোকিও স্কয়ারে, একটি টিম ধানমন্ডির সানরাইজ প্লাজা ও অর্কিড প্লাজায়, একটি টিম গুলশান-১-এর নাভানা টাওয়ার ও বারিধারার অনন্যা মার্কেটে জরিপ করছেন, অপর একটি টিম আছে রুপগঞ্জ হাজী হোসেন প্লাজায়।
জরিপ দলের কর্মকর্তারা নির্ধারিত ফর্মে ভ্যাটযোগ্য প্রতিষ্ঠানের তথ্য সংগ্রহ করবে এবং পরে যাচাই করে প্রতিবেদন দিবে। মাঠপর্যায়ের এসব তথ্য সংগ্রহের পর স্থানীয় ভ্যাট অফিস এবং ভ্যাট অনলাইন সিস্টেমের সঙ্গে যাচাই করে প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হবে।
ভ্যাট সংক্রান্ত এসব তথ্য সংগ্রহের মধ্যে রয়েছে- ভ্যাট নিবন্ধন নম্বর, নিবন্ধন সনদ দৃশ্যমান স্থানে প্রদর্শিত আছে কি-না, বিক্রিত পণ্য বা সেবার প্রকৃতি, টিন, দোকানের আয়তন ও ভাড়া, কর্মচারীর সংখ্যা ও তাদের আনুমানিক বেতন, মাসিক গড়ে বিদ্যুৎ বিলের পরিমাণ, জুলাই ২০২০ থেকে এপ্রিল ২০২১ পর্যন্ত ১০ মাসে ভ্যাট রিটার্ন দিয়েছে কি-না এবং মাসভিত্তিক ভ্যাটের পরিমাণ।
তিনি বলেন, এই সার্ভের মাধ্যমে যারা ভ্যাটের আওতাভুক্ত নেই তাদেরকে আইনের আওতায় উদ্বুদ্ধ করা হবে। একই সঙ্গে সঠিক পরিমাণ ভ্যাট নিয়মিতভাবে সরকারি কোষাগার জমা দিতে নিবন্ধিতদের আইনের বিধান সম্পর্কে অবহিত করা হবে। এই সার্ভে করার সময় সংশ্লিষ্ট মার্কেট সমিতির সহায়তা নেয়া হচ্ছে। ভ্যাট আইন অনুসারে ভ্যাটযোগ্য প্রতিষ্ঠানকে ভ্যাট নিবন্ধন নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করা বাধ্যতামূলক।
পাশাপাশি প্রতিটি পণ্য বা সেবা বিক্রির সময়ে ক্রেতাকে যথাযথভাবে মূসক-৬.৩-এ চালান প্রদান এবং ক্রেতার নিকট থেকে কর্তিত ভ্যাট মাস শেষে ১৫ তারিখের মধ্যে সরকারি কোষাগারে জমা দিয়ে রিটার্ন দেয়ার বিধান রয়েছে। এর ব্যত্যয় ঘটলে তদন্তের মাধ্যমে ফাঁকি দেয়া ভ্যাট, জরিমানা ও সুদসহ আদায় করা হচ্ছে।
বিজনেস আওয়ার/২৪ মে, ২০২১/এ