ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টাইগারদের ২৮৭ রানের টার্গেট দিল লঙ্কানরা

  • পোস্ট হয়েছে : ০৫:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ মে ২০২১
  • 42

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : শেষ ম্যাচে অধিনায়ক কুশল পেরেরার সেঞ্চুরিতে ভর করে ৬ উইকেটে ২৮৬ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে শ্রীলঙ্কা। এদিকে তিন ম্যাচ জিতে লঙ্কানদের হোয়াইটওয়াশ করতে এখন বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য ২৮৭ রানের।

মিরপুরের মাঠে স্বাগতিকরা ২৫০ রানের বেশি তাড়া করে জিতেছে মাত্র দুইবার। যার সবশেষটি ২০১৫ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে। অর্থাৎ আজ জিততে হলে ব্যাটসম্যানদের অনেক দিন পর কঠিন পরীক্ষায় পড়তে হবে।

এই ম্যাচে সিরিজে প্রথমবারের মতো টস হেরেছে বাংলাদেশ। হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর মিশনে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক কুশল পেরেরা। প্রথম দুই ম্যাচে টস হেরে পরে ব্যাটিং করতে হয়েছিল সফরকারিদের। আজ টস ভাগ্য বদলে ব্যাটিংয়ের শুরুটাও দুর্দান্ত করে তারা।

শুরুতে দাপট দেখানো শ্রীলঙ্কাকে কিছুটা ঝাপটে ধরেন তাসকিন এক ওভারে জোড়া উইকেট নেয়া। এরপর শ্রীলঙ্কার ইনিংসের হাল ধরেন কুশল পেরেরা ও কুশল মেন্ডিস। তাদের তৃতীয় উইকেট জুটিতে ২৫ ওভারের মধ্যেই দেড়শ রান করে ফেলে তারা। পেরেরা-মেন্ডিসের জুটিতে ৬৮ রান হওয়ার পর ইনিংসের ২৬তম ওভারে তৃতীয়বারের মতো আঘাত হানেন তাসকিন।

একপ্রান্ত থেকে রান থামিয়ে রাখার কাজটি ভালোভাবেই করেন মিরাজ। কিন্তু অন্যপ্রান্তে দেদারসে রান বিলিয়েছেন শরিফুল, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও তাসকিন আহমেদরা। এ কারণেই মূলত প্রথম দশ ওভারের মধ্যে এক পাশে মিরাজকে রেখে, অন্যপাশে তিন বোলারকে ব্যবহার করতে হয়েছে তামিমকে।

ইনিংসের এগার নম্বর ওভারে আনা হয় মোস্তাফিজুর রহমানকে। প্রথম দুই ম্যাচে যথাক্রমে ২৪ ও ৩০ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েছিল লঙ্কানরা। এবার শেষ ম্যাচে গিয়ে তাদের উদ্বোধনী জুটি যোগ করে ফেলল ৮২ রান। ইনিংসের দ্বাদশ ওভারে নিজের দ্বিতীয় ওভার করতে এসে গুনাথিলাকাকে বোল্ড করেন তাসকিন। একই ওভারের শেষ বলে কট বিহাইন্ড হয়েছেন লঙ্কান প্রতিভাবান তরুণ নিসাঙ্কা।

সাকিবের করা ২৫তম ওভারেও আউট হতে পারতেন লঙ্কান অধিনায়ক। বড় শটের আশায় স্লগ করেছিলেন পেরেরা, বল উঠে যায় আকাশে। শর্ট মিড উইকেট থেকে মিড অনের দিকে দৌড়ে বলের নিচে গেলেও, সেটি তালুবন্দী করতে পারেননি আফিফ হোসেন ধ্রুব। ফলে ৭৯ রানে দ্বিতীয় জীবন পান পেরেরা।

তবে অধিনায়কের মতো ভাগ্য সুপ্রসন্ন ছিল না মেন্ডিসের। তাসকিনের করা ২৬তম ওভারের দ্বিতীয় বলে স্লগ করতে গিয়ে শর্ট মিড অফে দাঁড়ানো তামিম ইকবালের হাতে ক্যাচ দেন লঙ্কান সহ-অধিনায়ক। আউট হওয়ার আগে ৩৬ বলে ২২ রান করেন তিনি। এরপর আবার জীবন পান কুশল পেরেরা।

ইনিংসের ৩২তম ওভারের পঞ্চম বলে ৯৯ রানে খেলছিলেন লঙ্কান অধিনায়ক। মোস্তাফিজের স্লোয়ারে অনসাইডে খেলতে গিয়ে লিডিং এজ হয় পেরেরার, বল চলে যায় মিড অফে দাঁড়ানো মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের হাতে। কিন্তু সেটি হাতে রাখতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ। ফলে তৃতীয়বারের মতো বেঁচে যান পেরেরা। পরের বলেই ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি।

সেঞ্চুরির পর অবশ্য হাত খুলতে পারেননি পেরেরা। শেষ পর্যন্ত তাকে সাজঘরে ফেরান বাঁহাতি পেসার শরিফুল। ইনিংসের ৪০তম ওভারে মাহমুদউল্লাহর হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হওয়ার আগে ১২২ বলে ১২০ রান করেন লঙ্কান অধিনায়ক। এরপর প্রত্যাশামাফিক খেলতে পারেননি নিরোশান ডিকভেলা, রানআউট হন ৯ বলে ৭ রান করে।

বাংলাদেশের পক্ষে ডানহাতি পেসার তাসকিন একাই নিয়েছেন ৪ উইকেট। অন্য উইকেট গেছে বাঁহাতি পেসার শরিফুল হকের ঝুলিতে।

বিজনেস আওয়ার/২৮ মে, ২০২১/কমা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

টাইগারদের ২৮৭ রানের টার্গেট দিল লঙ্কানরা

পোস্ট হয়েছে : ০৫:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ মে ২০২১

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : শেষ ম্যাচে অধিনায়ক কুশল পেরেরার সেঞ্চুরিতে ভর করে ৬ উইকেটে ২৮৬ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে শ্রীলঙ্কা। এদিকে তিন ম্যাচ জিতে লঙ্কানদের হোয়াইটওয়াশ করতে এখন বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য ২৮৭ রানের।

মিরপুরের মাঠে স্বাগতিকরা ২৫০ রানের বেশি তাড়া করে জিতেছে মাত্র দুইবার। যার সবশেষটি ২০১৫ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে। অর্থাৎ আজ জিততে হলে ব্যাটসম্যানদের অনেক দিন পর কঠিন পরীক্ষায় পড়তে হবে।

এই ম্যাচে সিরিজে প্রথমবারের মতো টস হেরেছে বাংলাদেশ। হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর মিশনে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক কুশল পেরেরা। প্রথম দুই ম্যাচে টস হেরে পরে ব্যাটিং করতে হয়েছিল সফরকারিদের। আজ টস ভাগ্য বদলে ব্যাটিংয়ের শুরুটাও দুর্দান্ত করে তারা।

শুরুতে দাপট দেখানো শ্রীলঙ্কাকে কিছুটা ঝাপটে ধরেন তাসকিন এক ওভারে জোড়া উইকেট নেয়া। এরপর শ্রীলঙ্কার ইনিংসের হাল ধরেন কুশল পেরেরা ও কুশল মেন্ডিস। তাদের তৃতীয় উইকেট জুটিতে ২৫ ওভারের মধ্যেই দেড়শ রান করে ফেলে তারা। পেরেরা-মেন্ডিসের জুটিতে ৬৮ রান হওয়ার পর ইনিংসের ২৬তম ওভারে তৃতীয়বারের মতো আঘাত হানেন তাসকিন।

একপ্রান্ত থেকে রান থামিয়ে রাখার কাজটি ভালোভাবেই করেন মিরাজ। কিন্তু অন্যপ্রান্তে দেদারসে রান বিলিয়েছেন শরিফুল, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও তাসকিন আহমেদরা। এ কারণেই মূলত প্রথম দশ ওভারের মধ্যে এক পাশে মিরাজকে রেখে, অন্যপাশে তিন বোলারকে ব্যবহার করতে হয়েছে তামিমকে।

ইনিংসের এগার নম্বর ওভারে আনা হয় মোস্তাফিজুর রহমানকে। প্রথম দুই ম্যাচে যথাক্রমে ২৪ ও ৩০ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েছিল লঙ্কানরা। এবার শেষ ম্যাচে গিয়ে তাদের উদ্বোধনী জুটি যোগ করে ফেলল ৮২ রান। ইনিংসের দ্বাদশ ওভারে নিজের দ্বিতীয় ওভার করতে এসে গুনাথিলাকাকে বোল্ড করেন তাসকিন। একই ওভারের শেষ বলে কট বিহাইন্ড হয়েছেন লঙ্কান প্রতিভাবান তরুণ নিসাঙ্কা।

সাকিবের করা ২৫তম ওভারেও আউট হতে পারতেন লঙ্কান অধিনায়ক। বড় শটের আশায় স্লগ করেছিলেন পেরেরা, বল উঠে যায় আকাশে। শর্ট মিড উইকেট থেকে মিড অনের দিকে দৌড়ে বলের নিচে গেলেও, সেটি তালুবন্দী করতে পারেননি আফিফ হোসেন ধ্রুব। ফলে ৭৯ রানে দ্বিতীয় জীবন পান পেরেরা।

তবে অধিনায়কের মতো ভাগ্য সুপ্রসন্ন ছিল না মেন্ডিসের। তাসকিনের করা ২৬তম ওভারের দ্বিতীয় বলে স্লগ করতে গিয়ে শর্ট মিড অফে দাঁড়ানো তামিম ইকবালের হাতে ক্যাচ দেন লঙ্কান সহ-অধিনায়ক। আউট হওয়ার আগে ৩৬ বলে ২২ রান করেন তিনি। এরপর আবার জীবন পান কুশল পেরেরা।

ইনিংসের ৩২তম ওভারের পঞ্চম বলে ৯৯ রানে খেলছিলেন লঙ্কান অধিনায়ক। মোস্তাফিজের স্লোয়ারে অনসাইডে খেলতে গিয়ে লিডিং এজ হয় পেরেরার, বল চলে যায় মিড অফে দাঁড়ানো মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের হাতে। কিন্তু সেটি হাতে রাখতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ। ফলে তৃতীয়বারের মতো বেঁচে যান পেরেরা। পরের বলেই ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি।

সেঞ্চুরির পর অবশ্য হাত খুলতে পারেননি পেরেরা। শেষ পর্যন্ত তাকে সাজঘরে ফেরান বাঁহাতি পেসার শরিফুল। ইনিংসের ৪০তম ওভারে মাহমুদউল্লাহর হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হওয়ার আগে ১২২ বলে ১২০ রান করেন লঙ্কান অধিনায়ক। এরপর প্রত্যাশামাফিক খেলতে পারেননি নিরোশান ডিকভেলা, রানআউট হন ৯ বলে ৭ রান করে।

বাংলাদেশের পক্ষে ডানহাতি পেসার তাসকিন একাই নিয়েছেন ৪ উইকেট। অন্য উইকেট গেছে বাঁহাতি পেসার শরিফুল হকের ঝুলিতে।

বিজনেস আওয়ার/২৮ মে, ২০২১/কমা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: